আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
১.আমি অনেক দিন ধরে আমার স্ত্রী কে আমার কাছে চাইতেছি।কিন্তু কোনো একটা কারণে আমি আমার স্ত্রী কে কাছে পাইতেছিনা কিছু দিন এইভাবে চলে যায়। এরপর আবার কাছে চাই তখন ও কোনো একটা কারণে আমি আমার স্ত্রী কে কাছে পাই না।তখন আমার রাগ উঠে যায় এরপর আমি আমার স্ত্রী কে বলি তোমার এইসব কিছু আমি আমার বিতর থেকে উঠায়া দিবো নানিমু যানি বলছি । তোমার এইসব কিছু বলতে আমার স্ত্রীর উপর যে একটা যৌন চাহিদা ,বা স্ত্রীর দেহের উপর যে একটাচাহিদা,বা স্ত্রীর দেহের যে একটা লোভ,বা স্ত্রীর দেহ,স্ত্রীর সরিল ,এইসব কিছু বুঝিয়েছি। এখন আমি যে বললাম তোমার এইসবকিছু আমি আমার বিতর  থেকে উঠায়া দিবো বা নিমু তাতে কি তালাক পতিত হবে?
২.একদিন রাতে আমার অনেক যৌন উত্তেজনা উঠে তখন আমার স্ত্রী কোনো একটা কাজে তার বাবার বাড়িতে ছিলো।তখনআমি আমার স্ত্রী কে কাছে না পেয়ে পর্নোগ্রাফি দেখে হস্তমৈথুন করে ফেলি। এরপর আমি বুঝতে পারি আমি অনেক বড়ো গুনাহকরেছি।
এখন আমি যে পর্নোগ্রাফি দেখে হস্তমৈথুন করে ফেলি তাতে কি আমদের বিয়ের মধ্যে কোনো সমস্যা হবে কি? আমাদের বিয়েঠিক থাকবে তো?কোনো তালাক পতিত হবে না তো?

আমি যে এই গুনাহ করেছি এখন আমি কিভাবে তওবা করবো ,তওবার কোনো বিষেস দোয়া আছে কি?


শায়েখ আমার প্রশ্নের উত্তর পয়েন্ট অনুযায়ী দেওয়ার অণুরোধ রইলো।
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
"তোমার এইসব কিছু আমি আমার ভিতর থেকে উঠায়া দিবো/নিমু"

উক্ত বাক্যের দরুন কোনোভাবেই তালাক পতিত হবেনা।
আপনি নিশ্চিন্ত মনে থাকুন, আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে মতোই বহাল রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ  

(০২)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا [٤:١٧] وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا [٤:١٨

অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন,যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে,অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,রহস্যবিদ। আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে,এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়,তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। {সূরা নিসা-১৭-১৮}

عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ»

হযরত ইবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, গোনাহ থেকে তওবাকারী গোনাহ করে নাই ব্যক্তির মত হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০] 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
খাঁটিভাবে তাওবা করলে আল্লাহ্ তাআলা অতীতের ছোট বড় সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। তবে বান্দার কোন হক নষ্ট করে থাকলে তাওবার পাশাপাশি তাকে তার হক তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া জরুরী।

 তওবা তিনটি জিনিসের সমন্বয়-
(বান্দার হক থাকলে আগে সেটি আদায় করে আসতে হবে,বা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে আসতে হবে।)

এক. পূর্বের গোনাহের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া। আর অপরের হক নষ্ট করলে তা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া।

দুই. ভবিষ্যতে গোনাহ না করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করা।

তিন. আল্লাহ্ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।

আরো জানুনঃ 
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তওবার জন্য আপনি উক্ত গুনাহ একেবারে ছেড়ে দিবেন,ভবিষ্যতেও আর করবেননা,এ মর্মে আল্লাহর কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন,এরপর লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে আবেগ ভরা হ্রদয়ে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।
তাহলে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ক্ষমা করবেন।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যে পর্নোগ্রাফি দেখে হস্তমৈথুন করে ফেলেছিলেন,তাতে আপনাদের বিয়ের মধ্যে কোনো সমস্যা হবেনা।

আপনাদের বিয়ে ঠিক থাকবে।
কোনো তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...