আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
184 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
আসসালামু ওয়ালাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ শায়খ,
##আমি একজন চাকুরীজীবী অবিবাহিতা নারী।আমার বাবা বা ভাই কেউ নেই।আমি একা চাকরি করে আমি,আমার মা এবং ছোট বোন এই ৩ জনের পরিবারের ভরণপোষণ এবং আমার ছোট বোনের লেখাপড়ার খরচ বহন করি।আলহামদুলিল্লাহ ধারদেনা নেই এবং স্বচ্ছলভাবেই জীবনযাপন করছি।তবে আমার কোনো ক্যাশ সঞ্চয় বা স্থাবর জমিজায়গা নেই।এই হলো আমার অর্থনৈতিক অবস্থা।
##আমি আমার সাংসারিক ব্যয় বহনের পর যাই থাকে আত্মীয় / প্রতিবেশীদের কর্যে হাসানা দেই এবং ঈদ/উৎসব এ সামর্থ্য অনুযায়ী উপহার দেওয়ার চেষ্টা করি।

.###আমার এমন আত্মীয় আছে যে দীর্ঘদিন যাবত কিছুই করে না এবং করার চেষ্টা ও করেনা।আমি বিভিন্ন সময় আমার সামর্থ্য অনুযায়ী ১/২/৩/৪/৫ হাজার,কখনো বা আরো বেশি টাকা দিয়েছি।কখনো স্বেচ্ছায় দিয়েছি কখনো বা ইচ্ছাকৃত দিতে চাইনি কিন্তু হাতে টাকা আছে মিথ্যা কথাও বলতে পারছিনা তাই বাধ্য হয়ে দিয়েছি।আর যদিও বা কখনো কখনো আমার কাছ থেকে ধার বলে নিয়েছে।তবে অতীত অভিজ্ঞতা থেকে জানি এই টাকা আমি কখনোই ফেরত পাব না।

###এই আত্নীয় এর সাথে আমার অনেক ইমোশনাল সম্পর্ক আছে।আমি এতীম।ছোট বেলায় আমাকে প্রায় ঈদ শপিং করে দিত,সিজনাল ফল ফ্রুট কিনে দিত।এবং আমি তাকে খুব ভালোবাসি অন্তর থেকে আল্লাহ র কাছে তার জন্য অনেক দুয়া করি।সে চাইলে না দিয়ে মিথ্যা কথা বলতে পারিনা,আবার তার চাহিদাও অনেক বেশি,সেই অনুযায়ী দিতে গেলে আমি সমস্যাই পড়ে যাই।এই ব্যপার টা নিয়ে ইদানীং আমি অনেক মনোকষ্ট এ আছি।

এখন আমার প্রশ্ন হলো:

১.আমি ত প্রায়শই অনিচ্ছাকৃত দিয়েছি(আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার্থে/মিথ্যা পরিহার করতে),অইসব দেওয়া কি না দেওয়ার মতই?মানে তাতে কি আমার কোনো সাওয়াব হবেনা??

২.উনি যদি না বুঝে অবিবেচক এর মত প্রতিমাসে আমার কাছে ২/৩ বার করে চায়,আমি যদি টাকা হাতে থাকা সত্ত্বেও না দেই তবে কি গুনাহগার হব?উনি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ সবল পুরুষ মানুষ।
৩.আমি এখন উনার চাহিদা অনুযায়ী দিতে না পারলে রাগ করে তেমন কথা বার্তা বলেনা বা বাসায় ও আসেনা।কিন্তু উনি ত আমার জন্য ছোটবেলায় কিছু করেছে এখন আমি ত উনাকে সন্তুষ্ট করতে পারছিনা,সেক্ষেত্রে কি আমি অকৃতজ্ঞ হিসেবে গুনাহগার হব??

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّ الْمُصَّدِّقِينَ وَالْمُصَّدِّقَاتِ وَأَقْرَضُوا اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا يُضَاعَفُ لَهُمْ وَلَهُمْ أَجْرٌ كَرِيمٌ
নিশ্চয় দানশীল ব্যক্তি ও দানশীলা নারী, যারা আল্লাহকে উত্তমরূপে ধার দেয়, তাদেরকে দেয়া হবে বহুগুণ এবং তাদের জন্যে রয়েছে সম্মানজনক পুরস্কার।(সূরা হাদীদ-১৮)
وَاللَّهُ فِي عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِي عَوْنِ أَخِيهِ
বান্দা যতক্ষণ তার ভাই এর সহযোগিতায় আত্মনিয়োগ করে আল্লাহ ততক্ষণ তার সহযোগিতা করতে থাকেন।(সহীহ মুসলিম-২৬৯৯)
وَالَّذِينَ فِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ مَّعْلُومٌ لِّلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ
এবং যাদের ধন-সম্পদে নির্ধারিত হক আছে যাঞ্ছাকারী ও বঞ্চিতের(সূরা মা'আরিজ-২৪-২৫)

" مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُقْرِضُ مُسْلِمًا قَرْضًا مَرَّتَيْنِ إِلاَّ كَانَ كَصَدَقَتِهَا مَرَّةً " .
’’কোন মুসলিম অপর মুসলিমকে দু’বার করয দিলে সে সেই পরিমাণ মাল একবার দান-খয়রাত করার সমান সওয়াব পায়।’’(ইবনে মা'জা-২৪৩০)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ أَخَذَ أَمْوَالَ النَّاسِ يُرِيدُ أَدَاءَهَا أَدَّى اللهُ عَنْهُ وَمَنْ أَخَذَ يُرِيدُ إِتْلاَفَهَا أَتْلَفَهُ اللهُ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মানুষের মাল (ধার) নেয় পরিশোধ করার উদ্দেশে আল্লাহ তা‘আলা তা আদায়ের ব্যবস্থা করে দেন। আর যে তা নেয় বিনষ্ট করার নিয়্যাতে আল্লাহ তা‘আলা তাকে ধ্বংস করেন। (বোখারী-২৩৮৭)

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ أَخِي وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَطْلُ الْغَنِيِّ ظُلْمٌ
 তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ধনী ব্যক্তির (ঋণ আদায়ে) গড়িমসি করা যুলম। (সহীহ বোখারী-২৪০০)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিজের কাছে প্রয়োজন অতিরিক্ত টাকা থাকলে, এবং তখন কেউ ঋণের আবেদন করলে,ঋণ দিয়ে দেয়া উচিৎ।কাউকে ঋণ দেয়ার পর সে পরিশোধ না করলে, পরবর্তীতে আবার ঋণের আবেদন করলে কিংবা কারো হাবভাব থেকে বুঝা গেলে যে, সে ঋণকে পরিশোধ করবে না, এমন ব্যক্তিকে ঋণ না দিলে কোনো সমস্যা হবে না।গোনাহ হবে না।

প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী ঐ ব্যক্তিদের ঋণ না দেয়ার সুযোগ আপনার জন্য থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...