আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
122 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (60 points)

( কয়েকটি পরিস্থিতি তে একসাথে পড়ায় কিছু অধিক হয়ে গেছে ্, ক্ষমা করে যদি জবাব জানিয়ে দিতেন উপকার হতো , চেষ্টা করবো আর এই সংক্রান্ত প্রশ্ন না করার) 

মালা বুদ্দা মিনহু কিতাবে একটি লিখা পাই লিখাটি এমন 

কোন কাজ করেও যদি কেউ বলে, 'আল্লাহ তা'আলা জানেন আমি একাজ করিনি" তাহলে তার বিধান কি ?#উত্তরঃ কেউ যদি কোন কাজ করে থাকে এবং অস্বিকার বলে, আল্লাহ তা'আলার জানা আছে আমি এ কাজ করিনি, তাহলে তার কুফরীর ব্যাপারে দুটি অভিমত আছে। তবে সহিহ মত হলো সে কাফের হয়ে যাবে। ইমাম সারাখসী (রাহ.) থেকে বর্ণিত আছে, যদি উক্ত কসমকারী ব্যক্তির ইহা জানা থাকে যে, এই ধরনের মিথ্যা বলা কুফরী তবে কাফের হয়ে যাবে। আর যদি ইহা জানা না থাকে, তাহলে কাফের হবে না।

এইটা দেখে কিছু প্রশ্ন মাথায় আসছে তা জানতে চাচ্ছি 

১. কেও যদি একটি কাজ  না করার জন্য বলে “ আল্লাহ  সাক্ষী  এই কাজ আর করবো না “ বলার পরে এই কাজ করলে কি তার কুফর হবে? 

২.  আমার কাছে মনে হচ্ছো আমি এই রকম ভাবে একটি কাজ না করার কথা বলেছিলাম , আমার উপরে বর্নিত মাসআলা টি জানা ছিলো । তবে সেই কাজ  না করার কথাটি এই ভাবে বলার পরেও ( আল্লাহ  সাক্ষী  এই কাজ আর করবো না)  আমি সেই কাজটি করে ফেলি । আমার যতোটুক মনে হচ্ছে  এই ভাবে কথা দিয়ে কাজ করলে শপথ ভঙ্গ হয় না বা কুফর হবে না কোথায় যেনো জেনেছিলাম আর সেই মনে হওয়া থেকে কাজটি করে ফেলেছি। এতে কি আমার কুফর হবে?? 

৩. দুই নং এর ক্ষেত্রে আমি যদি শিওর হতাম যে এই কথা বলেই আমি ওয়াদা করেছি তবে দুই নং এর পরবর্তী বর্ণনা অনুযায়ী কি কুফর হয়ে যেতো ? 

৪. উদ্দিপকে মালা বুদ্দা মিনহু কিতাবের যে বর্ণনা  আছে হানাফী মাজহাবে কি সেই অনুযায়ী ফতোয়া দেওয়া হয় ? জানতে চাওয়ার কারণ হলো সেখানের আরো কিছু বিষয়ে কুফর হবে লিখা থাকার পরে তা অনেক মুফতি কুফর হবে না বলে বলেছেন 

৫. https://ifatwa.info/74569/কমেন্টটা একটু দেখবেন?

৬. একটি গানে একটা লাইন আছে " উপরে আল্লাহ নিচে পৃথিবী " এই গান কেও গাইলে কি কুফর হবে?

৭. কেও যদি তার বউক একটা বিষয় করতে বলার পরে সে না করে, তখন স্বামী যদি বলে "তোমাকে তোমার হালতে ছেড়ে দিলাম" (সে যা ইচ্ছে করুক এই উদ্দেশ্যে)  / " তোমাকে তোমার মতো ছেড়ে দিলাম,করো যা ইচ্ছে "  এগুলো নিয়ত ছাড়া বললেও কি তালাক হবে?

৮. কেও যদি তার বউকে  বলে ১০ টা পর্যন্ত কথা বলে তোমাকে চেড়ে দিবো ( তার উদ্দেশ্য ফোন কেটে দিবে) বা ১০ বাজার পরে যদি বলে ঠিক আছে ১০ বেজে গেছে তোমাকে ছে্ে েএ  দিলাম ( মানে ফোন রেখে দাও )  এর তে কি তার বিাবহ নষ্ট হবে? 

৯. আমার বউ বললো ”এতো চিন্তা না করে সব  আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে ছেঢ়ে দাও “ ( দৃশ্চিন্তা বা অন্য কিছু বুজিযেছে হয়তো) তখন আমি কিছু সময় চুপ থেকে অন্য টপিকের ই অন্য কথা বলি , এতে কি আমাদের বিবাহে সমস্যা হবে? 

  ১০ “ আল্লাহ নিজে কইয়া দিছইন দিনদিন শাসকরা খারাপ ওইব... এক্সাক্ট লাইন মনে নাই। তখন মনইব আগের জনই ভালা আছলো ’’ আমার বউ আামাকে এই ম্যাসেজটি দিয়েছিলো এই কথায় কি তার কুফর হবে? বা গুনাহ হবে?

১১. তালা*, ছেঢ়ে দিলাম েএই সব লেখার সময় বউকে উদ্দেশ্য বলার কথা কল্পনায় বা মাথায় চলে আসে তবে কি সমস্যা হবে? তার ্বউ এর উদ্দেম্য এইসব বলার কোনো ইচ্চই নাই । 

১২. https://ifatwa.info/51290/  এই লিংক এর প্রথম প্রশ্নের জবাব  টা কি ঠিক  আছে ? ( প্রশ্নটি এডিট করা তো তাই মুফতি সাহেব কোন প্রশ্ন দেখে জবাব দিয়েছেন তা জানতে চাই , এর সাথে আমার ও মিল আছে , সবশেষ অর্থাত বর্তমানে যে প্রশ্ন আছে সেই অনুযায়ী জবাব ঠিক আছে কি ?/??

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


সুরা মায়েদার ৮৯ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন 

 لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰہُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَ لٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا عَقَّدۡتُّمُ الۡاَیۡمَانَ ۚ فَکَفَّارَتُہٗۤ اِطۡعَامُ عَشَرَۃِ مَسٰکِیۡنَ مِنۡ اَوۡسَطِ مَا تُطۡعِمُوۡنَ اَہۡلِیۡکُمۡ اَوۡ کِسۡوَتُہُمۡ اَوۡ تَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ ؕ فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ ؕ ذٰلِکَ کَفَّارَۃُ اَیۡمَانِکُمۡ اِذَا حَلَفۡتُمۡ ؕ وَ احۡفَظُوۡۤا اَیۡمَانَکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمۡ اٰیٰتِہٖ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۸۹﴾

আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অর্থহীন কসমের ব্যাপারে, কিন্তু যে কসম তোমরা দৃঢ়ভাবে কর সে কসমের জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করেন। সুতরাং এর কাফফারা হল দশ জন মিসকীনকে খাবার দান করা, মধ্যম ধরনের খাবার, যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। অতঃপর যে সামর্থ্য রাখে না তবে তিন দিন সিয়াম পালন করা। এটা তোমাদের কসমের কাফ্ফারা, যদি তোমরা কসম কর, আর তোমরা তোমাদের কসম হেফাযত কর। এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন যাতে তোমরা শোকর আদায় কর। 
,
★সুতরাং শপথ তিন প্রকার। এক. যদি অতীত ঘটনা সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা শপথ করা হয়, তাকে 'ইয়ামিনে গুমুস' বা পাপে নিমজ্জিত শপথ বলা হয়। উদাহরণত, কেউ কোনো কাজ করে জেনেশুনে শপথ করে বলল যে সে কাজটি করেনি। এ মিথ্যা শপথ কবিরা গুনাহ। তবে এর জন্য কাফফারা ওয়াজিব হবে না।

দুই. নিজ ধারণায় সত্য মনে করে কোনো অতীত ঘটনা সম্পর্কে শপথ করা। অথচ বাস্তবে তা অসত্য। যেমন- কোনো অসমর্থিত সূত্রে জানা গেল, অমুক ব্যক্তি এসে গেছে। এর ওপর নির্ভর করে কেউ আল্লাহর নামে শপথ করে বলল, 'অমুক ব্যক্তি এসে গেছে।' এরপর দেখা গেল, এটি বাস্তবের বিপরীত। এ ধরনের শপথকে 'ইয়ামিনে লগ্ভ' বলা হয়। 

এ ছাড়া অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখে শপথবাক্য উচ্চারিত হলে একেও 'ইয়ামিনে লগ্ভ' বা অহেতুক শপথ বলা হয়। এ-জাতীয় শপথে কোনো গুনাহ নেই। কাফফারাও দিতে হয় না।

তিন. আল্লাহর নাম নিয়ে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার শপথ করা। এ রকম শপথকে 'ইয়ামিনে মুনআকিদ' বা কার্যকর শপথ বলা হয়। এ শপথ ভঙ্গ করলে কাফফারা ওয়াজিব হবে। এমনকি কোনো কোনো অবস্থায় গুনাহও হয়।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এছুরতটি কসমের অন্তর্ভুক্ত হবে।
সুতরাং কেহ যদি বলে “ আল্লাহ  সাক্ষী  এই কাজ আর করবো না “  এ কথা বলার পরে এই কাজ করলে তার কুফর হবেনা। তবে তাকে কসম ভঙ্গের কাফফারা আদায় করতে হবে।

(০২)
এতে কুফর হবেনা।

(০৩)
এতে কুফর হয়ে যেতোনা।

(০৪)
বিষয়গুলি মতবিরোধ পূর্ণ। 
হানাফি মাযহাবের অনেকেই এভাবে ফতোয়া প্রদান করেননা।

(০৫)
জী,দেখছি,,,,

(০৬)
কুফর হবেনা। তবে এটি আকীদা বিধ্বংসি বাক্য।

(০৭)
নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হবেনা। 

(০৮)
এতে তার বিবাহ নষ্ট হবেনা।

(০৯)
এতে আপনাদের বিবাহে কোনো সমস্যা হবেনা।

(১০)
এই কথায় তার কুফর হবেনা বা গুনাহ হবেনা।

(১১)
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় ওয়াসওয়াসা বশত হচ্ছে।
তাই এতে তালাক হবেনা।

(১২)
হ্যাঁ, জবাব ঠিক আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...