আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
211 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
edited by
১/ কোনো এক বক্তা বলছিলেন যে কারো জন্য এক মাজহাব এর কোনো বিধান মানা কঠিন হলে অন্য মাজহাব এর বিধান সে মানতে পারবে। এটা কতটুকু সঠিক?

২/ চার মাজহাব ই তো সঠিক। তাহলে কারো নিয়ত ঠিক থাকলে কেন অন্য মাজহাব এর অনুসরণ করতে পারবে না?

৩/ আমি যে সঠিক পন্থা অবলম্বন করছি এটা বুঝার উপায় আছে কি? যদি আলেম দের দ্বারা বোঝার বিষয় থাকে তাহলে আমি যেই আলেম এর কাছে যাব উনি শতভাগ ঠিক এটা বোঝা যাবে কিভাবে?

৪/ কখন কোনো ব্যক্তি অর্থাৎ কোন পর্যায়ে গেলে কোনো ব্যক্তি বিভিন্ন আলেম গণ এর মতামত বিশ্লেষণ করে নিজের বিবেগ অনুযায়ী মাসালা নির্ধারণ করতে পারবে?

৫/ যেহেতু আহমাদ ইবনুল হাম্বল রা. সর্বশেষ হিসেবে নতুন ভাবে মাজহাব সংকলন করেন তাহলে কেন সবাই তার মাজহাব অনুসরণ করে না? মাজহাব এর মূল ভিত্তি কি তাহলে?

৬/ আকীদাহ এর ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে সাহাবে কেরাম দের থেকে কোনো সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না সেসব ক্ষেত্রে এমন মনোভাব পোষণ করা যে "আল্লাহ ই ভালো জানেন আমার জানার প্রয়োজন নেই এই জানার আখাংখা হয়ত শয়তানের পক্ষ থেকে" এতে কি সমস্যা আছে?

৭/ আসলে আশয়ারি মাতুরিদি সালাফি আক্বীদাহ এর খেত্রে দেখা যায় যে অন্য আক্বীদাহ এর প্রতি সহনশীলতার মাত্রা কিছুটা কম। এর কারণ কি?

৮/তো যদি কেও দাবি করে আমি এই তিন আক্বীদাহ এর ব্যপারে জানার চেষ্টা ও করব না এবং কারো অন্তর্ভুক্ত হব না সম্পূর্ণ সরল আক্বীদাহ ধারণ করব এতে কি সমস্যা হবে?

৯/ মাজহাব তো অনেক আগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাহলে বিভিন্ন মাজহাব এর অধীনের ফতোয়াগুলো কিভাবে সংরক্ষিত রয়েছে এত বছর পরেও? অনেকেই বলে এসব নাকি অনেক কিছুই বিশুদ্ধ, অনেক কিছুই নাকি এতদিনে বিকৃত, অনেক সাধারণ মানুষ ও বলে থাকে অনেক কিছু নাকি গ্রহণ করা যাবে না। তাই দয়া করে বিস্তারিত জানাবেন এখনো কোন পন্থায় বা কিভাবে মাজহাব এর হাদিস বা মাসালা মাসায়েল এতদিন পরেও সংরক্ষিত রয়েছে এবং এর নিশ্চয়তাই বা কি?

১০/  মাজহাব এর অধীনস্থ বা লা মাজহাবী এমন অনেকেই আছেন যাদের কথা শুনলে মনে হয় তারাই একমাত্র ঠিক, আবার অনেক বাতেল ফিরকা এর জনগণ (যেমন কাদীয়ানি, ভন্ড পীর, মাজার পূজারি) তারাও দাবি করে এবং মনে লালন করে যে তারাই সবচেয়ে বিশুদ্ধ। অন্যদের ব্যপারে জানার ইচ্ছা নেই কিন্তু আমি যে সঠিক বা আমি যে হক এর উপর কিংবা আমি যে আল্লাহ এর কাছে জবাব দিহিতা থেকে মুক্ত থাকতে পারব এর মানদণ্ড কি?
১১/ অনেকেই আমি যেই চিন্তা চেতনা ধারণ করি তার জন্য আমাকে ভুল ভাবে আবার আমার অনেক কর্ম পন্থা ও অনেকের সাথে  মিলে না তাই আপেক্ষিকভাবে মনে হয় আমি হয়ত আমি ঠিক বা তারা (আল্লাহ ই ভালো জানেন) এখানে আমার করণিয় কি দয়া করে জানাবেন।
উত্তর গুলো জানা খুব জরুরী। অনুগ্রহ করে বিস্তারিত জানাবেন যাতে স্পষ্ট হতে পারি

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুজতাহিদ নয় এমন সবার জন্য মাযহাব মানা ফরয।বিস্তারিত জানতে দেখুন!জাস্টিস আল্লামা তাক্বী উসমানী রচিত"মাযহাব কি ও কেন?"

মাযহাব অর্থ হল,কুরআন-হাদীসের ব্যাখা জানতে কারো সাহায্য গ্রহণ করা।অর্থাৎ যারা নিজে সরাসরি কুরআনের আয়াত বা হাদীসে রাসূল এর মর্মার্থ বুঝতে পারেন না, তারা অন্যর সাহায্য নিয়ে কুরআন-হাদীস এর মর্মার্থ বুঝবেন,এবং সে অনুযায়ী আ'মল করবেন।

সুতরাং কোনো এক অালেম বা মৌলিক মূলনীতি এক এমন একদল আলেমের কুরাআন-সুন্নাহ অনুসৃত মত ও পন্থাকে অনুসরণ করার নামই হল মাযহাব।এক্ষেত্রে সকল মাস'আলায় শুধুমাত্র একজনকেই অনুসরণ করতে হবে।নতুবা একেকজনকে একেক মাস'আলা অনুসরণ মূলত প্রবৃত্তির অনুসরণ হবে,।এজন্য এমন কোনো এক আলেম বা মূলনীতি এক এমন একদল আলেমকে অনুসরণ করতে হবে যাদের প্রায় সকল বিষয়ে ইজতেহাদ রয়েছে।এই হল মাযহাব এর তাৎপর্য। সুতরাং এ দৃষ্টিকোনে নবীজী সাঃ কোনো মাযহাবের অনুসারী হওয়ার প্রশ্নই আসে না। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/402

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1936

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2024


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কারো জন্য এক মাজহাব এর কোনো বিধান মানা কঠিন হলে, অন্য মাজহাব এর বিধান সে মানতে পারবে। 
এটা সম্পূর্ণ মনগড়া কথা।

(২) চার মাজহাব-ই সঠিক । নিয়ত ঠিক থাকারও পরও অন্য মাজহাব এর অনুসরণ করা জায়েয হবে না।

(৩) আপনি যেটাকে কুরআন সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী মনে করবেন, সেটারই অনুসরণ করবেন।

(৪) মুজতাহিদ ফিল মাযহাব।অর্থাৎ যিনি আরবী ভাষার কুরআন হাদীস থেকে নিজে নিজে হুকুম ও সহীহ -যঈফ বুঝে নিতে সক্ষম হবেন।

(৫) প্রশ্নটা অপ্রাসঙ্গিক। 

(৬) আকীদাহ এর ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে সাহাবে কেরাম দের থেকে কোনো সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না সেসব ক্ষেত্রে এমন মনোভাব পোষণ করা যাবে যে "আল্লাহ ই ভালো জানেন।

(৭) সহনশীলতার প্রশ্নটি অপ্রাসঙ্গিক। এখানে মূলত বিষয় হল, দলীল প্রমাণের গ্রহণযোগ্যতা। দলীল প্রমাণ পেশ করতে গিয়ে কেউ কেউ শক্ত অবস্থানে বিরাজ করেন।

(৮) না, এমনটা সম্ভব না।বরং যে কোনো একটিকে ফলো করতে।

(৯) এটাই আল্লাহর কুদরতের নমুনা।

(১০) আপনি কওমি ঘরণার কোনো আলেমের সাথে যোগাযোগ করবেন।

(১১)আপনি মসজিদের ইমাম মুওজ্জিন সাহেবের সাথে বন্ধুত্ব করে নিবেন। অথবা নেককার কোনো মানুষের সংস্পর্শ গ্রহণ করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 249 views
...