ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
ছবি সম্পূর্ণ হারাম।বিস্তারিত জানতে দেখুন- 2253
নির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে ছবির অনুমোদন রয়েছে।তন্মধ্যে কিছু ক্ষেত্র রয়েছে,যা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত।যেমন পাসপোর্ট ইত্যাদির জন্য ছবি তোলা।এবং কিছু ক্ষেত্র এমন রয়েছে,যাতে ফুকাহাদের মতবিরোধ রয়েছে।এর মধ্য থেকে একটি হল,শিশুদের জন্য খেলনা ও শিশুদের জন্য শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ছবি বিধান।
সুতরাং বলা যায় যে,শিশুদের জন্য ছবির বেলায় রুখসত রয়েছে কি না?এ সম্পর্কে ফুকাহাদের মতবিরোধ রয়েছে।অনেকেই পুতুল জাতীয় জিনিষকে শিশুদের জন্য হারাম ঘোষনা দিলেও শিক্ষার স্বার্থে ফটো-ছবি অনুমোদন দিয়ে থাকেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন- 320
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার ছবির বিষয়টা শিশুদের শিক্ষার সাখে সংশ্লিষ্ট। সুতরাং এক্ষেত্রে ছবির হুকুমে শীতিলতা চলে আসবে। তবে সাবধান! এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে যে,যাতে করে ছবিতে কোনো প্রকার বেপর্দা ও উলঙ্গপনা চলে না আসে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,তিনি বলেন,
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مِنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ أَوْ خَيْبَرَ وَفِي سَهْوَتِهَا سِتْرٌ فَهَبَّتْ رِيحٌ فَكَشَفَتْ نَاحِيَةَ السِّتْرِ عَنْ بَنَاتٍ لِعَائِشَةَ لُعَبٍ، فَقَالَ: مَا هَذَا يَا عَائِشَةُ؟ قَالَتْ: بَنَاتِي، وَرَأَى بَيْنَهُنَّ فَرَسًا لَهُ جَنَاحَانِ مِنْ رِقَاعٍ، فَقَالَ: مَا هَذَا الَّذِي أَرَى وَسْطَهُنَّ قَالَتْ: فَرَسٌ قَالَ وَمَا هَذَا الَّذِي عَلَيْهِ؟ قَالَتْ: قُلْتُ: جَنَاحَانِ، قَالَ فَرَسٌ لَهُ جَنَاحَانِ، قَالَتْ أَمَا سَمِعْتَ أَنَّ لِسُلَيْمَانَ خَيْلًا لَهَا أَجْنِحَةٌ؟ قَالَتْ: فَضَحِكَ حَتَّى رَأَيْتُ نَوَاجِذَهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ.
রাসূলুল্লাহ সাঃ তাবুক বা খায়বার এর যুদ্ধ থেকে ফিরে ঘরে আসছেন।আয়েশা রাযি এর রুমের সামনে পর্দা টানানো থাকতো।বাতাশ পর্দার একটি অংশকে সরিয়ে ফেললে আয়েশা রাযি এর খেলার সাথী কিছু বালিকাকে রাসূলুল্লাহ সাঃ দেখতে পেলেন। রাসূলুল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন,হে আয়েশা এরা কারা? তখন আয়েশা রাযি জবাবে বললেন,এরা আমার খেলার সাথী। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাঃ ঐ সমস্ত বালিকাদের মধ্যখানে দুই পাখা বিশিষ্ট কাপরের একটি গোড়া দেখতে পেলেন।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,এটা কী জিনিষ যা আমি তাদের মধ্যখানে দেখলাম।আয়েশা রাযি জবাবে বললেন, এটা (একটা খেলনার)গোড়া। তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ আবার জিজ্ঞেস করলেন,ঐটা কোন জিনিষ?যা এই গোড়ার সাথে লাগানো দেখলাম। আয়েশা রাযি জবাবে বললেন,এটা তার ডানা।রাসূলুল্লাহ সাঃ আবার জিজ্ঞেস করলেন,গোড়ার কি পাখা থাকে?আয়েশা রাযি প্রতিউত্তরে বললেন, আপনি কি শুনেননি যে, হযরত সুলাইমান আঃ এর একটি দুই ডানা বিশিষ্ট গোড়া ছিলো?
আয়েশা রাযি বলেন,তৎক্ষণাৎ রাসূলুল্লাহ সাঃ এমনকরে হাসলেন যে,উনার সামনের সাড়ির দাতগুলো দেখা গেলো।
(সুনানে আবু-দাউদ;৪৯৩২মিরকাত-৩২৬৫)