আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
197 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,

আমি একজন খুবই ওয়াসওয়াসা রুগী। হুজুর আমার যেকোনো বিষয় নিয়ে সন্দেহ হতে থাকে।

১ . হুজুর আমার ছোট ভাই এসেছে দাড়ি কেটেছে, দিয়ে আমি হেসে বলছি দাড়ি কেটেছ , ভাই তো বড়ো হয়ে গিয়েছে। তাই বললাম,

আসলে হুজুর আমার দাড়ি কম আছে, তাই আমি বললাম আমার তো সেই রকম দাড়ি নেই কম দাড়ি একটু হাসি মুখে বললাম ।
হুজুর আল্লাহর কসম আমি দাড়ি নিয়ে কোনো কুটুক্তি বা ঠাট্টা করিনি। আসলে দাড়ি কম আমার সেই টা বললাম । হুজুর এর জন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে? হুজুর আল্লাহ কসম করে বলছি আমি দাড়ি কে নিয়ে কোনো কুটুক্তি করিনি, দাড়ি কে নিয়ে কোনো কুটুক্তি করিনি। ছোটো ভাই এসেছে তাই হাসি মুখে কথা বলেছি, আমি দাড়ি নিয়ে কোনো কুটুক্তি করিনি। হুজুর আমার ঈমান চলে যাবে না তো?

২। ভাইদের সঙ্গে একটু  হেসে  কথা বলার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

৩. শয়তানের ওয়সওয়াসা র জন্য মনে মনে বলে , মনে মনে বলছে অমুক কাজ টা করলে তালাক , কিন্তু সে মুখে প্রকাশ করলো না। মনে মনে হয়েছে, দিয়ে স্ত্রী সেই কাজ করলো তাহলে কি তালাক হবে?
৩.১ যা হয়েছে সবই মনে মনে কোনো কথা উচ্চরণ হয়নি এক্ষেত্রে শর্ত তালাক হবে?

৪. হুজুর আমার মনে মনে শুধু মনে হচ্ছে আমি যদি এটা করি তাহলে তালাক বা ওটা করি তাহলে তালাক, মনে মনে শুধু এইরকম হচ্ছে । মনে মনে হচ্ছে। হুজুর মনে মনে এই রকম হওয়ার পর যদি আমি সেই কাজ করি তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে? আমি কিন্তু মুখে উচ্চরণ করছিনা , মনে মনে হচ্ছে , মনে মনে যেটা হচ্ছে যদি সেটা করি তাহলে কি তালাক হবে?  মনে মনে হচ্ছে মুখে উচ্চরণ করছিনা
৫.আর মনে মনে ওয়াসওয়াসা র জন্য শুধু এই শব্দ টা মনে মনে হচ্ছে মনে মনে   তালাক দিলে তালাক  হয়?

৬. হুজুর কিছু খাচ্ছি  তো মনে হচ্ছে উচ্চরণ হয়ে গেলো নাকি , আসলে মুখ নড়ছে জিহ্ববা নড়ছে কিছু খেতে গেলে, তখন মনে মনে ওই কথাটা হচ্ছে, দিয়ে মনে হচ্ছে উচ্চরণ হয়ে গেলো নাকি? কিন্তু আল্লাহ কসম আমি মুখে উচ্চরণ করছিনা। খাচ্ছি তাই মনে হচ্ছে উচ্চরণ হয়ে গেলো নাকি , কিন্তু আসলে উচ্চরণ করছিনা  এইরকম মনে হলে কি কোনো তালাক হবে?

৬.১ হুজুর ভয় পেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করলাম মনে মনে এমন হচ্ছে সেইটা, কিন্তু মুখে উচ্চরণ করিনি কথা টা। এর জন্য কি কোনো সমস্যা হবে?

৭. হুজুর আমি খুবই ওয়াসওয়াসা রুগী, যেকোনো বিষয় নিয়ে খুবই সন্দেহ হতে থাকে আমি খুবই অসহায় হয়ে আছি। কিছু মাস হলো বিয়ে করেছি, একদিন শশুর বাড়িতে বসে আছি মেঝেতে । কিছু ক্ষন পর পা টাকে একটু ঠিক করে বসতে গিয়েছি দিয়ে হটাৎ মনে হলো আমার কি শাশুড়ি লিঙ্গ দেখে নিল এই বলে সন্দেহ হতে থাকে, আমি কিন্তু খুবই যত্ন সহকারে বসে ছিলাম যাতে কিছু না দেখা যায়। ওয়াসওয়াসা  র জন্য   খুবই ভয় হয়ে জাই ৪ -৫ সেকেন্ড হবে এর মধ্যে লুঙ্গি ঠিক করে নিয়েছি । আমি সত্যি বলছি কিছু দেখতে পায়নি , কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে। দিয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে শাশুড়ি র দিকে তাকিয়ে ছিলাম দেখছিলাম অন্য দিকে তাকিয়ে ছিল শাশুড়ি , আমার দিক এ তাকিয়ে ছিল না। দিয়ে আমি বুঝতে পারলাম যে দেখতে পায়নি। আমার তাও ভয় হয় দিয়ে স্ত্রী বসে ছিল তাকে জিজ্ঞাসা করলাম সে বললো দেখতে পায়নি । আমার স্ত্রী বললো সে আমার দিকে তাকিয়েছিল সে কিছু দেখতে পায়নি । সুতরাং কোনো সমস্যা নেই । তাই বললো । আর শাশুড়ি কে তো না জেনে বুঝে জিজ্ঞাসা করা যাচ্ছে না লজ্জা তে। বিষয় হলো দেখতে পেয়েছে কি পায়নি জানিনা বেশির ভাগ মনে হচ্ছে দেখতে পায়নি কারণ আমার স্ত্রী বললো পায়নি, ও আমি সঙ্গে সঙ্গে শাশুড়ির দিক তাকিয়েছিলাম তখন শাশুড়ি অন্য দিকে তাকিয়েছিল।  হুজুর খুব ভয় হচ্ছে , কিন্তু আমার ওয়াসওয়াসা র জন্য ভয় হচ্ছে  , সত্যিই কথা বলতে দেখতে পায়নি,আর আমার শাশুরির অন্য দিক তাকিয়েছিল। আর আমার শাশুড়ি অন্য রকম , এইসব বিষয় এ খুব সতর্ক থাকে । আর এইসব বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসা তো করা যায়না , খুবই লজ্জা লাগছে ।  এক্ষেত্রে কি হুরমত হবে? দয়া করে চিন্তা মুক্ত করুন।  আর আমার শাশুড়ি  ওই টুকু সময় এ দেখতে পাবে না, আর দেখতে পেলে ওই টুকু সময় এ উত্তেজিত হওয়া ও হবে না। এক্ষেত্রে কি হুরমত হবে? খুব চিন্তা হচ্ছে।

৭.১ হুজুর  শাশুড়ি র পেট বা ব্লাউজের ওপরে এর অংশ দেখলে কি হুরমত হবে? আমার  কোনো রকম কাম ভাব ছিল না , এমনি দেখেছিলাম সঙ্গে সঙ্গে চোখ সরিয়ে নিয়েছি। আমার লিঙ্গ খাড়া হয়নি । এর জন্য কি হুরমত হবে?

৮. আপনাদের কে বললাম এর জন্য কি কোনো সমস্যা হবে? আমার বৈবাহিক জীবন ঠিক আছে তো হুজুর?

৯. হুজুর লজ্জার বিষয় একটা জিজ্ঞাসা করছি,
কেউ যদি ভুল করে ছাগলের যোনিতে লিঙ্গ ঢুকাই, ছোটো বেলায় সেইরকম দ্বীনের জ্ঞান ছিল না। ভুল বশত এইরকম করে থাকে তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে? সত্যিই ভুল করে করেফেলেছে। তার কি ঈমান চলে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

★শরীয়তের বিধান হলোঃ দাড়িকে নিয়ে কেহ যদি ঠাট্রা করে,বিরুপ মন্তব্য করে,তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে।
(আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল ৭/৮৮) 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
এখানে আপনি দাড়ি নিয়ে ঠাট্রা বা কটুক্তি করেননি।

(০২)
ভাইদের সঙ্গে একটু হেসে কথা বলার জন্য ঈমান চলে যাবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে স্ত্রী সেই কাজ করলে, তালাক হবেনা।

৩.১ 
এক্ষেত্রে শর্তযুক্ত তালাক হবেনা।

(০৪)
মনে মনে যেটা হচ্ছে যদি সেটা করেন, তাহলে তালাক হবেনা।

(০৫)
মনে মনে তালাক দিলে তালাক হয়না।

(০৬)
এইরকম মনে হলে কোনো তালাক হবেনা।

৬.১
এর জন্য কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৭)
এক্ষেত্রে হুরমত সাব্যস্ত হবেনা।

৭.১
এর জন্য হুরমত সাব্যস্ত হবেনা।
এসব অঙ্গ দেখার দরুন কোনোভাবেই হুরমত সাব্যস্ত হয়না।

(০৮)
আমাদেরকে বলার দরুন এর জন্য কোনো সমস্যা হবেনা।
আপনার বৈবাহিক জীবন ঠিক আছে।

(০৯)
এক্ষেত্রে তার ঈমান চলে যাবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...