আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
232 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
তেলাওয়াতের সিজদা কি তেলাওয়াত বন্ধ করে সিজদা করবে নাকি নামাজ শেষ করে সিজদা করবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

নামাজে সেজদায়ে তেলাওয়াতের আয়াত পড়ল সেজদা আদায় করতে হবে।
অন্যথায় গুনাহ হবে।

বুখারী শরীফের ৮৯১ নং হাদীস,মুসলিম শরীফের ৮৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ:  "كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي الجُمُعَةِ فِي صَلاَةِ الفَجْرِ الم تَنْزِيلُ السَّجْدَةَ ، وَهَلْ أَتَى عَلَى الإِنْسَانِ حِينٌ مِنَ الدَّهْرِ "
রাসুল সাঃ জুমআর দিন ফজরের নামাজে সুরা আলিফ লাম মিম সাজদাহ এবং দাহর সুরা পড়তেন।

ولِلطَّبَرَانِيِّ فِي الصَّغِيرِ مِنْ حَدِيثِ عَلِيٍّ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَجَدَ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ فِي تَنْزِيلٌ السَّجْدَةَ، لَكِنْ فِي إِسْنَادِهِ ضَعْفٌ " انتهى من "فتح الباري" (2/ 379) .
সারমর্মঃ উক্ত নামাজে রাসুল সাঃ সুরা আলিফ লাম মিম সাজদাহর সেজদার আয়াত তেলাওয়াত করার পর সেজদাহ আদায় করতেন।
,
رواه البخاري عن عمر : أنه قَرَأَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ عَلَى الْمِنْبَرِ بِسُورَةِ النَّحْلِ حَتَّى إِذَا جَاءَ السَّجْدَةَ نَزَلَ فَسَجَدَ وَسَجَدَ النَّاسُ، حَتَّى إِذَا كَانَتْ الْجُمُعَةُ الْقَابِلَةُ قَرَأَ بِهَا حَتَّى إِذَا جَاءَ السَّجْدَةَ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ: إِنَّا نَمُرُّ بِالسُّجُودِ فَمَنْ سَجَدَ فَقَدْ أَصَابَ وَمَنْ لَمْ يَسْجُدْ فَلَا إِثْمَ عَلَيْه.ِ وَلَمْ يَسْجُدْ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ -وَزَادَ نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا- إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَفْرِضْ السُّجُودَ إِلَّا أَنْ نَشَاءَ
সারমর্মঃ উমর রাঃ যখন নামাজে সেজদার আয়াত তেলাওয়াত করতেন, তখন সেজদায় চলে যেতেন।,,,,

হজরত মুজাহিদ রহ. থেকে এ বিষয়ে মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবায় একটি বর্ণনা রয়েছে, তিনি নামাজে সুরা বনী ইসরাইলের (শেষের) সিজদার আয়াত ও পরবর্তী দুই আয়াত পড়ে রুকুতে চলে যেতেন।
,
وتوٴدی برکوع صلاة إذا کان الرکوع علی الفور من قراء ة آیة أو آیتین …إن نواہ أي: کون الرکوع لسجود التلاوة علی الراجح، وتوٴدی بسجودھا کذلک علی الفور وإن لم ینو بالإجماع، ولو نواھا في رکوعہ ولم ینوہ الموٴتم لم تجزہ ویسجد إذا سلم الإمام ویعید القعدة ولو ترکھا فسدت صلاتہ کذا في القنیة (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الصلاة، باب سجود التلاوة، ۲: ۵۸۶، ۵۸۷، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ যদি তৎক্ষনাৎ রুকুতে চলে যায়,তাহলে যদি সেজদায়ে তেলাওয়াত আদায়ের নিয়ত  করে,তাহলে তা আদায় হয়ে যাবে,তৎক্ষনাৎ সেজদায় গেলে নিয়ত ছাড়াই সেজদায়ে তেলাওয়াত আদায় হয়ে যাবে। 
.
وفی عالمگیریہ: وفی الغیاثیہ واداء ھا لیس علی الفور حتیٰ لو اداھا فی ای وقت کان مودیاً قاضیاً کذا فی التا تارخانیۃ ھذا فی غیر الصلاتیۃ اما الصلوٰتیۃ اذا اخر ھا حتی طالت القرائۃ تصیر قضاء ً ویأ ثم ھکذا فی البحر الرائق ج ۱ ص ۸۶۔۸۷ الباب العاشر فی سجوالتلاوۃ)
সারমর্মঃ তৎক্ষনাৎ সেজদায়ে তেলাওয়াত আদায় করতে হবে,অন্যথায় গুনাহগার হবে।  
۔
ومما يستحب لأدائها ان يقوم فيسجد لأن الخرور سقوط من القيام والرآن ورد به وهو مروى عن عائشة رضى الله عنها وإن لم يفعل لام يضره (البحر الرائق، كتاب الصلاة، باب سجود التلاوة-2/223، زكريا
মুস্তাহাব পদ্ধতি হল, নামাজে দাড়ানো থেকে আল্লাহু আকবার বলে সরাসরি সেজদাতে গমণ করা। তারপর সেজদা শেষে দাঁড়িয়ে যাওয়া।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,নামাজে সেজদার আয়াত তেলাওয়াত  করলে সাথে সাথে সেজদায় চলে যাবে।
যদি সাথে সেজদায় না গিয়ে নামাজের রুকুতে চলে যায়,তাহলে সেই রুকুতে উক্ত সেজদা আদায়ের নিয়ত করলে সেই সেজদা আদায় হয়ে যাবে।
,
যদি তৎক্ষনাৎ সেজদাহ না করে,বরং আরো কিছু আয়াত পড়ার পর রাকাত শেষে রুকু,সেজদায় যায়,তাহলে রুকু বা সেজদায় গিয়ে উক্ত সেজদায়ে তেলাওয়াতের নিয়ত করলেই তা আদায় হয়ে যাবে।
নতুন করে উক্ত সেজদাহ আদায়ের প্রয়োজন নেই।    
,
তবে এক্ষেত্রে নামাজের রুকু বা নামাজের সেজদার মাধ্যমে উক্ত সেজদাহ আদায়ের জন্য উক্ত সেজদাহ আদায়ের নিয়ত করতেই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...