বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদিস শরিফে এসেছে,আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত,
أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ -فِي دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ-: «تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ
হায়িযের রক্ত কাপড়ে লেগে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে। অতঃপর সলাত আদায় করবে।’ (বুখারী ২২৭,৩০৭)
শরীয়তের বিধান হলো কাপড়ে/ চাদরে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রত্যেকবার ভালো করে চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। ভালো করে নিংড়িয়ে ধোয়ার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায় কিংবা দাগ থাকে তাতে কোনো দোষ নেই। এতেই চাদর কিংবা কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে। (হাশিয়ায়ে তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা নং ১৬১, বেহেশতি জিওর ২/৭৭ )
কাপড়ে অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়াতে হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।(ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪,জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭)
وغير المرئية بغسلهاثلاثا والعصر كل مرة
অদৃশ্যমান নাপাক বস্তু তিন বার ধৌত করতে হবে।এবং প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।
(নুরুল ইযাহ ৫৬)
উল্লেখ্য, তিনবারের কথা বলা হয়, যাতে সন্দেহ না থাকে। অন্যথায় যদি প্রবাহমান পানি যেমন, নদী, পুকুরে বা টেপের পানিতে এত বেশি করে ধোয়া হয়, যাতে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয়ে যায় তাহলে তা পাক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তিনবার নিংড়িয়ে ধোয়া জরুরি নয়। (রদ্দুল মুহতার ১/৩৩৩ আলবাহরুর রায়েক ১/২৩৭ শরহুল মুনইয়া ১৮৩)
,
আরো জানুনঃ
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
চাদরের নাপাকি লাগলে সেই চাদর পাক করার সময় তিনবার ধোয়া লাগবে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।
(০২)
১ম ও ২য় বার যথাসাধ্য নিংড়াবেন।
৩য় বার তথা শেষ বার একটু কষ্টকরে শক্তভাবে নিংড়াবেন, যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।
এক্ষেত্রে অন্য কোনো ব্যাক্তির সহায়তা নিতে পারেন।
(০৩)
শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়াতে হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।
তব প্রত্যেক বার এমন করতে পারলে ভালো।
(০৪)
আপনি বেশি আমল করুন।
আপনার মনের বর্তমান অবস্থা এটি একদিন কেটে যাবে,ইনশাআল্লাহ।
(০৫)
এক্ষেত্রে কথা বলার সময় পাশে নন মাহরাম আছে কিনা শুনে নিবেন, তাহলেই আর সমস্যা হবেনা।
(০৬)
আপনি মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন সাহেব দাঃবাঃ এর লিখিত "আহকামুন নিসা" "আহকামে জিন্দেগী" পড়তে পারেন।
(০৭)
আপনি তাকি উসমানী হাফিঃ এর "তাসাউফ ও আত্মশুদ্ধি" বইটি পড়তে পারেন।
আত্মার আলোকমনি (ইমাম গাজ্জালী রহঃ)
আত্মার ব্যাধি ও তার প্রতিকার (হাকিম আখতার সাহেব রহঃ)
এহইয়াউ উলুমুদ্দিন (ইমাম গাজ্জালী রহঃ) বইগুলি পড়তে পারেন।
(০৮)
হ্যাঁ, এটি পড়তে পারেন।