আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
215 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
edited by
১) সাধারণত কথায় কথায় বলি স্ত্রীকে

" তুমি কি বাসায় একা"

"তুমি কি একা শুয়েছো অথবা একা একা মার্কেট এ গিয়েছো"

" শুনলাম ভাগ্নি নাকি একা একা পাশের বাসায় যায়"

বাসার সাধারন ফোনালাপকালে এসমস্ত কথা স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করি অবস্থান জানার বুঝার চেষ্টা করি। এসমস্ত আলাপে বিবাহিত জীবনে কোন সমস্যা হবে?

২) ফোনে স্ত্রীকে জানাচ্ছিলাম যে মুফতি সাহেবের সাথে আমার কি আলাপ হয়েছে এবং উনি আমাকে কি জানিয়েছেন কি ফতুয়া দিয়েছেন তা*** এর ব্যাপারে ।স্ত্রীকে ফোনে জানাচ্ছিলাম ঠিক এই ভাবে

" আমরা তো আগে একটা গননা করতাম অই ব্যাপারে(***** এর ব্যাপারে এক **** গননা করতাম)।এই বিষয়ে আমি একজন আলেমের সাথে কথা বলেছি ।তখন মুফতি সাহেব আমাকে জিজ্ঞেস করেন , "আপনি স্ত্রীকে কি বলেছেন?"। আমি উত্তর দিলাম " আমি কি বলেছি কতবার বলেছি কিছুই মনে পড়েনা শুধু মাসায়েল এর কথা বুঝাইছি একদিন এইটা মনে পড়ে । মুফতি সাহেব আমাকে জানালেন "আজ থেকে একটাও গননা করবেন না (***)।আপনাকে শয়তান ধোকা দিচ্ছে"। এই ব্যাপারে আরেকজন মুফতি সাহেব কে জানালাম ,উনিও উত্তর দিয়েছেন একটাও গননা করতাম না "। এখন আমি কি সিদ্ধান্ত নিবো বুঝতে পারছিনা ।"

 তখন আমাকে আমার স্ত্রী জানায় যেহতু মুফতি সাহেবরা বলছেন এমন কথা তাহলে উনাদের কথাই শুনো।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই যে ফতুয়ার ব্যাপারে এমন আলাপ করলাম স্ত্রীর সাথে ।এমন আলাপের কারনে কোন সমস্যা হবে নাতো? সেখানে আমি **** অথবা কোন কেনায়া শব্দ উচ্চারণ না করে ইংগিতে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলেছি যে মুফতি সাহেবরা কি উত্তর জানিয়েছে।

৩) ২ নাম্বার প্রশ্নের আলাপের পর অনেক্ষন যাবত বাসার বিষয়ে ফ্যামিলির বিষয়ে আলাপ করি। আগের বিষয়ে আর কোন কথা বলিনি।আমার স্ত্রী সে এখন প্রেগন্যান্ট তাই এরপর আমাদের বাচ্চার আকিকা নিয়ে কথা বলার সময় আমার স্ত্রী জানায় " বাচ্চার আকিকা যখন করবো এমন এমন ভাবে করবো ।তারপর সে তার মতামতের কথা জানায়। তারপর স্ত্রী বলে যদি এমন ভাবে কর তাহলে দেশে আইসো আর যদি সবাইকে মিষ্টি খাওয়ায় অথবা অন্য ভাবে কর তাহলে তোমার সাথে আমি নাই(মানে আমার সিদ্ধান্ত এর সাথে তার দ্বিমত হলে সে একা সিদ্ধান্ত নিবে এটা বুঝিয়েছে)  । আমি একাই ট্যাকেল দিতে পারবো" এখানে অন্য নিয়তে এমন কথা বলেনি

উত্তরে আমি বলি কেন সবাইকে আগের মত মিষ্টি খাওয়াবো । তুমি যেভাবে বলবে আকিকা সেভাবেই করবো তবে সুন্নাত মেনে আমিও তোমার সাথে একমত (মানে আমার স্ত্রী যেভাবে বলবে সেভাবেই আকিকা করবো)।সাধারণ কথাই বলেছি মনে কোন অন্য নিয়ত ছিলোনা।তারপর সে বলে "তোমাকে আমার ভয় লাগে "( মানে আমি দেশে আসলে উনার ভয় লাগে)। এটা শুনে আমি বলি" ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই এবার আসলে ঠিকঠাক মত চলবো। আর তোমাকে কতবার বলছি এই ধরনের কথা আর বলতে না তারপরেও ভয় লাগে , এমন লাগে ,অমন লাগে এই সমস্ত কথা কেনো বলো। তোমাকে কতবার বলেছি এমন ঝগড়াঝাটি বিষয়ে কোন কথা বলতে না আলোচনা করতে না ।কারন এরুপ কথা শুনলে আমার মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করে " । উত্তরে স্ত্রী বলে আমি তো খারাপ উদ্দেশ্যে কিছু বলিনি ।
উক্ত আলোচনায় আমি মনের ভয়ে সন্দেহে বাহানা বানিয়ে ফোনের লাইন কেটে দেই  কোন কেনায়া শব্দ বলে ফেললাম কিনা এই ভয়ে। আমার কাছে মনে হয় কোন কেনায়া শব্দ আমি উচ্চারন করিনি এবং নিয়ত ও ছিলোনা। এরুপ আলোচনায় কোন সমস্যা হবে কি ? এবং **** বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি ।

৪) প্রশ্ন করতে গিয়ে অনেক সময় টাইপিং মিসটেক হয় যেমন বিষয় লিখতে গিয়ে বিয়াহয় লিখেছিলাম ।পরে সংশোধন করি লেখাটা।তারপর দাড়িকমা ঠিক জায়গায় বসাতে গিয়ে ভুল হয় যেমন ১ নাম্বার প্রশ্নে  "তা*** এর ব্যাপারে ।স্ত্রীকে" এখানে স্ত্রী এর আগে দাড়ি টা পরে বসানো হয়।প্রশ্ন করতে গিয়ে এসব টাইপিং মিসটেক এর কারনে কোন সমস্যা হবে কি ?

আমি মারাত্মক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এসমস্ত আলাপে বিবাহিত জীবনে কোন সমস্যা হবেনা।

(০২)
এমন আলাপের কারনে কোন সমস্যা হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এরুপ আলোচনায় কোন সমস্যা হবেনা।

(০৪)
তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

বিস্তারিত জানুনঃ-

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্ন করতে গিয়ে এসব টাইপিং মিসটেক এর কারনে কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...