আসসালামু আলাইকুম। আমি আম্মুর মাঝে খেয়াল করেছি উনার কিছু কিছু ইবাদাতের বিনিময়টা দুনিয়াতে পাওয়ার আগ্রহ খুব বেশি। যেমন,আম্মুকে শেষ দশকের রাতে নফল নামাজ পড়তে বলেছি।আম্মু বলে কোন নিয়তে পড়বে।আমি বলেছি আল্লাহ উদ্দেশ্যে সওয়াবের নিয়তে পড়তে। আম্মু বলে, অনেকে তো রোগমুক্তি, বিপদ-আপদ দূর, অভাবদূর ইত্যাদি উদ্দেশ্যে নফল নামাজ পড়ে। আমি বলেছি এসব উদ্দেশ্যে নফল নামাজ পরে পড়ো।এখন সওয়াবের নিয়তে পড়ো আর মোনাজাত করে যা চাওয়ার চাও।এসময় সওয়াব অনেক বেশি।
রমাদানে তিনি দান করবেন। আমাকে জিজ্ঞেস করে কোন নিয়তে করবে।অনেকে রোগমুক্তি, অভাবদূর, বিপদদূর ইত্যাদি উদ্দেশ্যে করে। আমি বিরক্ত হয়ে বলেছি, রমাদানে মানুষ গণহারে সওয়াবের নিয়তে দান করছে। রমাদানে সওয়াব অনেক বেশি। সওয়াবের নিয়তে করতে বলেছি।আম্মু বলেছে, তাহলে তো পরকালে পাবো।দুনিয়াতে তো পেলাম না। আমি শেষে বলেছি, আমি এত কিছু জানি না। দান সদাকা সওয়াবের নিয়তে করো।আর যা চাওয়ার হাত তুলে চাইবে। চাইলেই তিনি দেন।
১. আম্মুর এমন মনোভাব কি ঠিক? আমার উত্তর দেওয়াগুলো ঠিক আছে?
২. রোগমুক্তি, অভাব দূর, কোনো কাজে সফলতা লাভ ইত্যাদি উদ্দেশ্যে দান করা যায়? এসব উদ্দেশ্যে দান করলে দুনিয়ার পাশাপাশি পরকালেও সওয়াব পাওয়া যাবে?
আম্মু এই শেষ দশকে উনার বংশের সকল মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে এবং জীবিত বাবা মার উদ্দেশ্যে দান করবে।
৩. সকল মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে একত্রে (যেমন ১০০ টাকা)টাকা দান করা যাবে? নাকি উমুকের জন্য এত টাকা তমুকের জন্য এত টাকা এভাবে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য টাকা দিতে হবে?
৪. জীবিত বাবা মার উদ্দেশ্যে তাদের সওয়াবের নিয়তে বা তাদের রোগমুক্তির জন্য সন্তান কি দান করতে পারবে?