ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) যদি কেউ তার মাকে বলে যে, এবার রোজা ২৯ টা হবে বা রোজা ২৯ টা হবে দেখো। আর মনে যদি এমন ধারণা পোষন করে যদি রোজা ২৯ টা হয়, সবাই ভাববে আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেছেন, এবং তার উপর আল্লাহ সন্তুষ্ট আছে। তাহলে তার ইমান চলে যাবে না।কেননা সে তো গায়েবের সংবাদকে জানার দাবী করছে না। বরং অনুমান ও ধারণাকে প্রকাশ করছে। হ্যা, এসব অনর্থক কথাবার্তাকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।
(২) সে যেহেতু গাইবের সংবাদ জানার দাবী করছে না, তাই এতেকরে কোনো সমস্যা হবে না।তার ঈমান চলে যাবে না।
(৩) আকিদা বিশুদ্ধ থাকলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের খবরকে বিশ্বাস করা যাবে। কেননা আবহাওয়া অফিস তো আর নিশ্চিত কোনো সংবাদ দেয়না, বরং তারা শুধুমাত্র একটি ধারণা পেশ করে থাকে।
ইবনে কাসির রাহ সূরা লুকমানের ৩১-৩২ নং আয়াতের তাফসির করতে যেয়ে বলেন,
ﻭﻛﺬﻟﻚ ﻻ ﻳﻌﻠﻢ ﻣﺎ ﻓﻲ ﺍﻷﺭﺣﺎﻡ ﻣﻤﺎ ﻳﺮﻳﺪ ﺃﻥ ﻳﺨﻠﻘﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺳﻮﺍﻩ , ﻭﻟﻜﻦ ﺇﺫﺍ ﺃﻣﺮ ﺑﻜﻮﻧﻪ ﺫﻛﺮﺍً ﺃﻭ ﺃﻧﺜﻰ ﺃﻭ ﺷﻘﻴﺎً ﺃﻭ ﺳﻌﻴﺪﺍً ﻋﻠﻢ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺍﻟﻤﻮﻛﻠﻮﻥ ﺑﺬﻟﻚ ﻭﻣﻦ ﺷﺎﺀ ﻣﻦ ﺧﻠﻘﻪ . ﺍ . ﻫـ
আল্লাহ মায়ের রেহেমম/জরায়ু মধ্যে কি সৃষ্টি করতে চান উনি ব্যতীত তখন আর কেউ-ই জানে না।
কিন্তু যখন আল্লাহ তা'আলা উক্ত সন্তানের লিঙ্গ ও ভাগ্যচক্র সম্পর্কে নির্দেশ দেন।(অর্থাৎ যখন আল্লাহ তা'আলা রেহমের সেই রক্তপিণ্ড সম্পর্কে নির্দেশ জারি করেন যে,সে ছেলে হবে, না মেয়ে হবে।এবং সে সুভাগ্যবান হবে না দুর্ভাগ্যবান হবে) তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিরিশতা এবং আল্লাহর ইচ্ছায় অন্যান্য মাখলুকাত ও তা জানতে পারেন।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/45214