আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
edited by
আমি মনে মনে চিন্তা করছিলাম যে "আমি অতীতে কখনো ছেড়ে দিবো বলেছিলাম নাকি ছেড়ে দিয়েছি বলেছিলাম" এইগুলো নিয়েই চিন্তা করছিলাম অতীত নিয়ে। চিন্তার সময় আমার মুখ বন্ধ ছিলো এবং জিহবা এক জায়গায় স্থির ছিল এটা শতভাগ সিউর। কিন্তু গলার মধ্য থেকে এক্টা সাউন্ড শুনতে পেলাম যেটা অনেকসম্য গ্যাষ্টিকের সমস্যা হলে যেরকম হয় অনেকটা সেরকম। এটা নিয়ে কনফিউশন এ পড়ি। আমি কি মুখে উচ্চারণ করে ফেললাম ,নাকি আমার ওয়াসওয়াসা। আমার সাথে এটা হওয়ার পরেও অনেকবার গলার সেইম সাউন্ড টা কয়েকবার শুনতে পাই । তখন সিউর হলাম যে এটা ওয়াসওয়াসা আমি মনেই চিন্তা করেছি মুখে বলিনি এটা আমার প্রবল ধারনা৯৯% সিউর। কারন যখন চিন্তা করছিলাম তখন আমার মুখ বন্ধ ছিল এবং জিহবা স্থির অবস্থায় ছিল। সারাদিন এই রকম হতেই থাকে আমার সাথে । আমি ওয়াসওয়াসার রোগি। এই রকম হওয়ার পর আমি হাদিস দিয়ে আমার সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করি। প্রথমে উচ্চারণ এর ব্যাপারে সিউর না আর আমার প্রবল ধারনা যেহেতু মনে মনেই বলেছি তাহলে সেটাই গ্রহনযোগ্য বেশী আর মনে মনের চিন্তা ওয়াসওয়াসা আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন। তারপর চিন্তা করি যে এটা নিয়ে যেহেতু সন্দেহ হচ্ছে তাহলে সন্দেহের ভিত্তিতে ইনশাআল্লাহ **** পতিত হবেনা যেহেতু সন্দেহের ভিত্তিতে তা*** এবং গোলাম আযাদ হয়না। তারপর চিন্তা করি আমি ওয়াসওয়াসার রোগী আমারজন্য শরীয়তে শিথিলতা আছে। আর তাছাড়া আমি অতিত নিয়ে চিন্তা করছিলাম যে অতীতে কি বলিছি কি বলিনি ।

আমার সব গুলো যুক্তি কি সঠিক যুক্তি ? আমার ধারনা কি সঠিক ,দয়া করে জানাবেন। এর জন্য কোন সমস্যা হবে কি ? আমি কি নিশ্চিন্ত থাকতে পারি?

http://ifatwa.info/55711/

এই ফতুয়ায় এছাড়া আরো কয়েকটি ফতুয়া যা আমার অন্য আইডিতে আমাকে ওয়াসওয়াসার রোগী বলে ফতুয়া দেয়া হয়েছে। তাছাড়া আমার মেডিকেল রিপোর্ট ও আছে ।

1 Answer

0 votes
by (687,280 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক শব্দ। এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

শরীয়তের বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয়না।  

قال العلامۃ الحموی: فحلفہ باطل ای فلا شییٔ علیہ قیل اما الطلاق والعتاق فانہما لا یقعان بالشک۔ (غمز عیون البصائر علی الاشباہ ۱:۱۹۸ القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ  
তালাক এবং গোলাম আযাদ,এ দুটি বিষয় সন্দেহের ভিত্তিতে পতিত হয়না।  

বিস্তারিত জানুনঃ-

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।
আর আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রুগী,তাই আপনার কোনো তালাক পতিত হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...