বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
قَدۡ کَانَتۡ لَکُمۡ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ فِیۡۤ اِبۡرٰہِیۡمَ وَ الَّذِیۡنَ مَعَہٗ ۚ اِذۡ قَالُوۡا لِقَوۡمِہِمۡ اِنَّا بُرَءٰٓؤُا مِنۡکُمۡ وَ مِمَّا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ ۫ کَفَرۡنَا بِکُمۡ وَ بَدَا بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَکُمُ الۡعَدَاوَۃُ وَ الۡبَغۡضَآءُ اَبَدًا حَتّٰی تُؤۡمِنُوۡا بِاللّٰہِ وَحۡدَہٗۤ اِلَّا قَوۡلَ اِبۡرٰہِیۡمَ لِاَبِیۡہِ لَاَسۡتَغۡفِرَنَّ لَکَ وَ مَاۤ اَمۡلِکُ لَکَ مِنَ اللّٰہِ مِنۡ شَیۡءٍ ؕ رَبَّنَا عَلَیۡکَ تَوَکَّلۡنَا وَ اِلَیۡکَ اَنَبۡنَا وَ اِلَیۡکَ الۡمَصِیۡرُ ﴿۴﴾
অবশ্যই তোমাদের জন্য ইবরাহীম ও তার সাথে যারা ছিল তাদের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। যখন তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিল, “তোমাদের সঙ্গে এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইবাদত কর তা হতে আমরা সম্পৰ্কমুক্ত। আমরা তোমাদেরকে অস্বীকার করি। তোমাদের ও আমাদের মধ্যে সৃষ্টি হল শক্ৰতা ও বিদ্বেষ চিরকালের জন্য; যতক্ষণ না তোমরা এক আল্লাহতে ঈমান আন। তবে ব্যতিক্রম তাঁর পিতার প্রতি ইবরাহীমের উক্তিঃ আমি অবশ্যই তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করব; আর তোমার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে আমি কোন অধিকার রাখি না। ইবরাহীম ও তার অনুসারীগণ বলেছিল, হে আমাদের রব! আমরা আপনারই উপর নির্ভর করেছি, আপনারই অভিমুখী হয়েছি এবং ফিরে যাওয়া তো আপনারই কাছে।
(সুরা মুমতাহিনা ০৪)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সূরা মুমতাহিনা-র ৪নং আয়াতে কেনায়া বাক্য নেই। কোনো ব্যাক্তির স্ত্রীর যদি কখনো ঈমান চলে যায় এবং সেই অবস্থায় ঐ ব্যাক্তি উক্ত আয়াত নামাজে বা অন্য সময় নিয়তের সাথে তিলাওয়াত করলে বা শুনলে কোনোরুপ তালাক পতিত হবেনা।
(০২)
সামগ্রিক ভাবে পবিত্র কুরআনে কোথাও এমন কোনো দুআ বা আয়াতের উল্লেখ নেই।
তবে কোনো আয়াত কাটছাঁট করে শুধু তালাকের বাক্য বললে তো তালাক হবে।
কুরআনে তো তালাক শব্দ অনেক স্থানেই রয়েছে।
সেক্ষেত্রে নামাজে বা অন্য সময় সেরকম আয়াত তিলাওয়াত করা বা শোনার সময় নিয়ত থাকলে বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৩)
সূরা ফাতিহা পড়লে কোনো কেনায়া বাক্য উচ্চারণের সম্ভাবনা নেই।
সেক্ষেত্রে নামাজে বা অন্য সময় সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করা বা শোনার সময় নিয়ত থাকলে বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবেনা।