আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
224 views
in পবিত্রতা (Purity) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ উস্তায

১.আমার অনিয়মিত মাসিক।মাসিক কখনো ১ মাস পর হয় দুইমাস পর আবার ৩ মাস পরও হয়। কখনো ৭ দিন থাকে কখনো ৯ দিন। কখনো আবার ১০দিন। কখনো অনবরত ব্লিডিং হতেই থাকে ১৫ দিন হলে সারে না ওষুধ খেলে বন্ধ হয়।
প্রায় ১২ দিন আগে আমার বাদামী স্রাব দেখা যায়। তখন স্রাব দুইদিন থাকে।তারপর সাদা স্রাব যাওয়া শুরু হয়। তাই আমি ইস্তেহাজা ভেবে নামাজ রোজা চালিয়ে গিয়েছি। প্রায় ১২ দিন পর কালকে থেকে আমি আবার বাদামী স্রাব দেখি যা শুধুই বাদামী স্রাব কোন প্রকার ব্লিডিং হচ্ছেনা। এমতাবস্থায় কি আমি নামাজ রোজা করতে পারবো?

২.আমার ২ ভরি স্বর্ন আছে ১ ভরি রুপা আছে। প্রায় ২ মাস বা তার কম বেশি দিন ধরে আমার কাছে ৩৫০ টাকা আছে যা হাত খরছের জন্য আমার স্বামী আমাকে দেয়। যা দিয়ে কিছু ক্রয় করার নিয়ত আছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছু ক্রয় করিনি। আএ ঈদের জন্য আমাকে একজন ২ হাজার টাকা হাদিয়া দেয় জামা কিনার জন্য।আমার পরিবার থেকে আমার স্বামীকে ৫০০০ হাজার টাকা দেয় হাদিয়া হিসেবে সে বলেছে সে টাকা দিয়ে আমাকে মোবাইল কিনে দিবে। এবং টাকা গুলো আমার কাছেই রাখে।  এখন কি আমাকে যাকাত দিতে হবে?

৩.প্রায় ১ বছর ধরে আলামরিতে দুইটা নতুন থ্রিপিস পরে আছে যা বানানো হয়নি। এইবার ঈদেও ৬/৭ টা জামা হাদিয়া পেয়েছি এগুলোর কি যাকাত দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে, 
প্রায় ১২ দিন আগে আমার বাদামী স্রাব দেখা যায়। তখন স্রাব দুইদিন থাকে।

এটি যেহেতু তিন দিন তিন রাত হয়নি,তাই এটি হায়েজ নয়।

এখন কালকে থেকে যে আপনি আবারও বাদামী স্রাব দেখছেন,এটি যদি নুন্যতম তিন দিন তিন রাত ধরে আসে,সেক্ষেত্রে এটিকে হায়েজ ধরতে হবে এবং সেই হিসেবে নামাজ রোযা বন্ধ রাখতে হবে।

তিন দিন তিন রাত পূর্ণ না হয়ে যদি তার আগেই বন্ধ হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে এটি হায়েজ নয়।  ইস্তেহাজা 
তাই সেক্ষেত্রে নামাজ রোযা চালিয়ে যেতে হবে। 

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়েছেন ঠিকই,তবে বছর অতিবাহিত হয়নি।
মাত্র দুই মাসের মতো হয়েছে।
সুতরাং আরো ১০ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও যদি আপনার নেসাব পরিমান সম্পদ থাকে,তাহলে সেই সময়ে আপনার উপর যাকাত ফরজ হবে। 

(০৩)
না,এগুলোর যাকাত দিতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (9 points)
উস্তায ১ ভরি রুপা আমার কাছে অনেক বছর যাবতই আছে। ২ ভরি স্বর্ন ৭ মাস ধরে। আর টাকা গুলো ইদানীং পেয়েছি। 
by (574,050 points)
এক্ষেত্রে আপনি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়েছেন ঠিকই,তবে বছর অতিবাহিত হয়নি।
মাত্র দুই মাসের মতো হয়েছে।
সুতরাং আরো ১০ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও যদি আপনার নেসাব পরিমান সম্পদ থাকে,তাহলে সেই সময়ে আপনার উপর যাকাত ফরজ হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...