টাকা দ্বারা ফিতরা আদায় করাও সুন্নাহ সম্মত।
‘‘ফিতরা’’ টাকা দ্বারা আদায় করলেও আদায় হয়ে যাবে।
সুতরাং আপনি টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
مصنف ابن أبي شيبة (2/ 398)
فِي إِعْطَاءِ الدَّرَاهِمِ فِي زَكَاةِ الْفِطْرِ
10371 – حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ زُهَيْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، يَقُولُ: «أَدْرَكْتُهُمْ وَهُمْ يُعْطُونَ فِي صَدَقَةِ رَمَضَانَ الدَّرَاهِمَ بِقِيمَةِ الطَّعَامِ»
অর্থ : হযরত যুহাইর (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ ইসহাক (রহ.) থেকে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, আমি সাহাবায়ে কেরাম (রা.) কে এই অবস্থায় পেয়েছি যে, তারা রমজানে সাদাকায়ে ফিতর খাবারের বিনিময়ে টাকা দ্বারা আদায় করতেন। ইবনে আবি শায়বা-২/৩৯৮, হাদীস-১০৩৭১।
مصنف ابن أبي شيبة (2/ 398)
10370 – حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: «لَا بَأْسَ أَنْ تُعْطِيَ الدَّرَاهِمَ فِي صَدَقَةِ الْفِطْرِ»
অর্থ : হযরত হাসান বসরী (রহ.) বলেন, টাকা দ্বারা সাদাকায়ে ফিতর আদায় করার দ্বারা কোন সমস্যা নেই। ইবনে আবি শায়বা-২/৩৯৮, হাদীস-১০৩৭০।
বিস্তারিত জানুনঃ
(০২)
আপনি যদি আটা, চিনি, চালের গুড়া
নুডলস,লাচ্চা সেমাই , চিনিগুরা চাল ইত্যাদি দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় করতে চান, তাহলে অর্ধ সা গম বা এক সা খেজুর, যব, কিশমিশ বা পনিরের মূল্যের সমপরিমাণ মুল্যের উপরোক্ত জিনিস হিসেব করে দিতে হবে। এর কম হলে সদকাতুল ফিতর আদায় হবে না।
(পরিমাণঃ)
গম হলে আধা সা' (১.৬৫০গ্রাম)
যব বা খেজুর হলে এক সা' (৩.৩০০গ্রাম)
★আপনি আটা, চিনি, চালের গুড়া,
নুডলস,লাচ্চা সেমাই , চিনিগুরা চাল ইত্যাদি দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় করতে চাইলে, ১.৬৫০গ্রাম গমের মূল্য কত আসে,বা ৩.৩০০গ্রাম খেজুরের মূল্য কত আসে,সেই মূল্য সমপরিমাণ টাকার আটা, চিনি, চালের গুড়া,নুডলস,লাচ্চা সেমাই , চিনিগুরা চাল ইত্যাদি ক্রয় করে দিতে পারেন।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে যেভাবে আপনি ফিতরার কথা উল্লেখ করেছেন,এভাবে দিলে ফিতরা আদায় হবে।
(০৪)
আপনি নিজের ফিতরা দিবেন আর নিজের দুই সন্তানের ফিতরা দিবেন।
আপনার মা আর স্ত্রী যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়,সেক্ষেত্রে তারা নিজেরা নিজেদের ফিতরাহ আদায় করবে।
হ্যাঁ যদি আপনিই তাদের পক্ষ থেকে তাদের অনুমতিতে আদায় করে দেন,সেক্ষেত্রে এটি তাদের প্রতি দয়া ও ইহসান হবে।
উল্লেখ্য যে তারা নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নানহলে তাদের ফিতরা আদায় করতে হবেনা।
(০৫)
তিনি যদি নেসাব পরিমান সম্পদের (৭৩৫০০ টাকার) মালিক না হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে তাকে ফিতরা দেয়া যাবে।