হুজুর নামাজের সময় খারাপ চিন্তা আসে ।

Question

আসসালমুআলাইকুম হুজুর,

আমি যখন নামাজ পড়ি , শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে মাঝে মাঝে খুবই বাজে চিন্তা চলে আসে, মন কে কন্ট্রোল করে নামাজ পড়ি। মাঝে মাঝে সহবাসের সময়ের কথা মনে পড়ে আস্তাগিরুল্লাহ। হুজুর সহবাসের ওই সব মনে পরে লজ্জাস্থান এর কথা মনে পড়ে আস্তাগিরুল্লাহ। মন কে কন্ট্রোল করে নামাজ পড়ি।

১.হুজুর নামাজের সময় মনে মনে এই রকম মনে হওয়ার জন্য কি ঈমান চলে যাবে??

২. হুজুর আমার প্রিয়  নবী সাঃ এর নামে খারাপ চিন্তা মনে মনে চলে আসছে, আমি মুখে উচ্চরণ করছিনা।  আমি সঙ্গে সঙ্গে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ে যাচ্ছি অন্য মনষ্ক হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি ।হুজুর আমার  ঈমান  ঠিক আছে তো?

৩. সালমান খানের একটা কমেডি ভিডিও দেখছিলাম আর হাসছিলাম অন্য মনস্ক হওয়ার জন্য । হটাৎ সালমান খান বললো দাড়ি ওয়ালাকে পছন্দ করেন না মেয়েরা না , না কি একটা কথার উদ্দেশে ওই কথা টা বললো আর হাসলো । আমার হাসি আগে থেকেই ছিল কথা টা সোনার পর ভয় হয়ে গেলো ঈমান চলে গেলো বলে। আল্লাহ কসম হুজুর আমি দাড়ি কে কোনো কুটুক্তি করিনি । আর আমি হেসেছি মাত্র কমেডি ভিডিও দেখে। হুজুর দাড়ি নিয়ে আমি হাসিনাই। কমেডি ভিডিও দেখে আগে থেকেই হাসছিলাম। হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

৪. হুজুর আমার দাদী আমাকে জিজ্ঞাসা করছে রোজা আছিস, আমি উত্তরে বললাম হ্যাঁ আছি, দাদী বলছে ইনশাআল্লাহ্ আছি, আমি বললাম ইনশাআল্লাহ না , ভবিষ্যত্ মূলক বাক্যে ইনশাআল্লাহ্  বলতে হয় যেমন ইনশাআল্লাহ কাল রোজা থাকবো ।  দাদী কে এমন বলার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

Answer 1

জবাবঃ-

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)

নামাজের সময় মনে মনে এই রকম মনে হওয়ার জন্য ঈমান চলে যাবেনা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

নামাজের মধ্যে পূর্ণ মনোযোগ নিয়ে আসতে হবে।

,

এমন ভাবে নামাজ পড়তে হবে যেনো আমি আল্লাহ তায়ালার সামনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছি। আর আল্লাহ তায়ালা নামাজ পড়া দেখছেন। 

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,

قَالَ مَا الإِحْسَانُ قَالَ " أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ".

‘আল্লাহর ইবাদত করো এমনভাবে যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫০; মুসলিম, হাদিস : ৮)

 

অন্য এক হাদীসে এসেছে-

ثُمَّ قَالَ مَنْ تَوَضَّأَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ نَفْسَهُ فِيهِمَا بِشَيْءٍ إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ

রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে সুন্দরভাবে অজু করে, অতঃপর মন ও শরীর একত্র করে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে (অন্য বর্ণনায় এসেছে যে নামাজে ওয়াসওয়াসা স্থান পায় না) তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়)। ’ (নাসাঈ, হাদিস : ১৫১; বুখারি, হাদিস : ১৯৩৪)

বিস্তারিত করনীয় জানুনঃ- 

https://ifatwa.info/55343/

(০২)

আপনার ঈমান ঠিক আছে।

(০৩)

এর জন্য ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৪)

দাদী কে এমন বলার জন্য ঈমান চলে যাবেনা।