আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
310 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

১) আমি সবসময় দৃষ্টি সংযত রাখতে চেষ্টা করি। যেহেতু আমি জেনারেল লাইনে পড়ি, আপনাদের ফতোয়া থেকে জানতে পেরেছি যে প্রয়োজনে পুরুষ শিক্ষকের দিকে তাকানো জায়েজ।
তাছাড়া সব সময় গাড়িতে,রাস্তায় দৃষ্টি সংযত রাখা কষ্ট হলেও চেষ্টা করি। কিন্তু,  অনেক সময় ড্রাইভার এর সাথে কথা বলার জন্য এবং দোকানদারের সাথে কথা বলতে হয় আরো বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষের সাথে কথা বললে চোখে চোখ রেখে কথা বলা যাবে ???? তাকাতে কি সমস্যা আছে নাকি সে ক্ষেত্রে জায়েজ???

♦️২) আমার আম্মু বাসায় প্রায় সময় চিল্লাচিল্লি করে, কাজ করার জন্য বা অন্য কিছু ওসিলা ধরে। সব সময়ই বাসায় একটা ঝগড়াটে পরিবেশ সৃষ্টি থাকে। আবার আব্বু বলে পড়ালেখায় এগিয়ে থাকার জন্য অবশ্য তিনি কাজও চাই।
এটা ঠিক যে আমি বাসায় তেমন কাজ করি না অর্থাৎ করতে পারি না। কারণ পড়ালেখার ব্যস্ততার কারণে। যেহেতু আমার তিন মাস পর এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষা। তবুও যতটুকু একটু সময় পায় তাতে নিজের বেস্ট দেওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু তাতেও তারা শুকরিয়া করে না এবং বলে কিছুই পারি না। পড়াতেও না কাজেও না কিন্তু আমি সব সময় চেষ্টা করি ভালো থাকার। কিন্তু তারা আমায় বোঝেনা। তারা চায় আমি অলরাউন্ডার হয় । কাজেও পারফেক্ট হব এবং পড়ালেখায়ও ভালো থাকবো। কিন্তু বোঝেনা যে পড়ালেখায় - দৌড়াদৌড়ি ,কোচিং, কলেজ ইত্যাদিতে টাইম   দিলে কাজে তেমনটা টাইম দিতে পারি না তাদের সাহায্যের জন্য। বাসায় এসে নিজের পড়তে হয়।  কিন্তু উপযুক্ত  পরিবেশ থাকে না। মাঝে মাঝে তাদের অর্থাৎ আব্বু আম্মুর মাঝেও ঝগড়া হয় তাদের সম্পর্কটাও তেমন ভালো না।
যেহেতু আমার আম্মুই বেশিরভাগ সময় বাসায় থাকে তার কথায় শুনতে হয়। কিন্তু আমি কথা বলি না যখন ঝগড়া হয়। শুধু শুনে থাকি। তবুও কথায় কথায় বদদোয়া করে ইত্যাদি অশ্লীল কথা বলে। অনেক সময় বদ দোয়া এর কথাগুলো এত মারাত্মক হয় যে বুকের ভেতর রক্তক্ষরণ হয় ।এখন প্রশ্ন হলো:
*আমার সব সময় চিন্তা হয় যে, তারা যা করার করুক। কিন্তু আমি গুনাগার হচ্ছি না তো???আমার কোন দায়িত্ব এর কমতি  পড়ছে না তো ??? দেওয়া বদদোয়া গুলো কি আমার জন্য প্রযোজ্য হবে??? অনেকগুলো বদ দোয়ার মধ্যে যদি একটাও আমার জন্য প্রযোজ্য হয় তাহলে আমি কি করবো ???
*সন্তান হিসেবে দায়িত্ব আমি কিভাবে পূরণ করব বুঝে উঠতে পারছি না। যখন ঝগড়া হয়  তখন বুঝিনা সেটাকে কিভাবে সামাল দিবো নিজেকে হেফাজত রাখবো। কারণ আমি আল্লাহকে নারাজ করতে চাই না। যদিও আমি আমার মা-বাবাদের কম মহব্বত করি।
*শরীয়ত না জানাই বিভিন্ন ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ঝগড়াতে কেমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তা বুঝে উঠতে পারি না সেই প্রেক্ষিতে।
-এখন ওদের এই কর্কশ ভাষাতে আমার ভেতর হৃদয়টা শক্ত হয়ে গেছে। সব সময় মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে থাকি তারপরে শারীরিকভাবেও দুর্বল হয়ে যায়। কিছুতেই ভালো লাগেনা। এখন আমার কি করনীয় শরীয়ত সম্মতভাবে????

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে,এক্ষেত্রে এক বা উভয়  চক্ষু খোলা রেখে সমস্ত শরীর ঢেকে রাখতে হবে।
যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﻗُﻞ ﻟِّﺄَﺯْﻭَﺍﺟِﻚَ ﻭَﺑَﻨَﺎﺗِﻚَ ﻭَﻧِﺴَﺎﺀ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻳُﺪْﻧِﻴﻦَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻦَّ ﻣِﻦ ﺟَﻠَﺎﺑِﻴﺒِﻬِﻦَّ ﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺩْﻧَﻰ ﺃَﻥ ﻳُﻌْﺮَﻓْﻦَ ﻓَﻠَﺎ ﻳُﺆْﺫَﻳْﻦَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻔُﻮﺭًﺍ ﺭَّﺣِﻴﻤًﺎ
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫৯)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/572

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফিতনার সম্ভাবনা না থাকলে, নেকাব পরিহিত অবস্থায় পরপুরুষের চোখের দিকে থাকিয়ে কথা বলা যাবে। তবে একবারের অধিক থাকানো যাবে না।

(২)
আপনি ঘরের কাজকর্ম শিখবেন। একজন নারীর নিকট তখনই পূর্ণতা আসে,যখন সে ঘরকে একজন নারীর মত করেই সাজাতে পারবে। রান্নাবান্না সহ ঘরের সকল দায়দায়িত্ব আদায় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
- শায়খ আমার ২য় প্রশ্নটা আবার একটু পড়ে দেখলে ভালো হতো । (*) star mark দেওয়া লেখাগুলো আমার মূল প্রশ্ন ।
- আমি আমার প্রশ্নের পরিপূর্ণ উত্তর পাইনি। শায়খ, দয়া করে আরেকটু পড়ে দেখুন। আশা করি পরিপূর্ণ উত্তর পাবো।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...