আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
ছেলে -মেয়ের বিয়ের কথা চলছে।ছেলের মা এসে মেয়েকে দেখে গিয়েছে।পরবর্তীতে ছেলে এসে মেয়েকে দেখে গিয়েছে বিবাহের উদ্দেশ্যে।

ছেলে যখন মেয়েকে দেখতে আসে তখন মেয়ের সাথে কিছু কথাবার্তা ও বলে যায়।তো,তাদের কথা বলার ধরণ টা ছিলো,ছেলে এবং মেয়ে একটা রুমের ভিতরে বসে কথা বলছিলো আর মেয়ের মাহারাম রুমের দরজা থেকে তাদের দুজনকে দেখে রাখছিলো বা বলা যায় মাহারাম হিসেবে উপস্তিত থাকার দায়িত্ব পালন করছিলো।তো,ছেলে মেয়ে কি কথা বলছে তা মাহারাম এর কান অব্দি আসে নি।দুরুত্ব টা এই পরিমাণ ছিলো যে,মেয়ের মাহারাম শুধু দূর থেকে তাদের দুজনকে দেখে রাখছিলেন,তাদের দুজনের কথাবার্তার কিছুই মেয়ের মাহারাম এর কানে আসি নি।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে,বিবাহের উদ্দেশ্যে এই সুরতে কথা বলা কি জায়েজ আছে?

আমি যতদূর জানি,বিবাহের উদ্দেশ্য পাত্র-পাত্রী মাহারাম এর উপস্থিতিতে কথা বলতে পারবে, এবং বিবাহের পূর্বে পাত্রীর মাহারাম এর উপস্থিতিতে পাত্রীকে দেখে নেওয়া ও ইসলামে অনুমোদিত।
কিন্তু,আমার জানামতে,পাত্র-পাত্রীর কথা বলার সুরত এমন হতে হবে যে,পাত্রীর মাহারাম উপস্থিত থাকবে এবং মাহারাম পাত্রীর পাশেই/কাছেই উপস্থিত থাকবে।তাহলে এটা দ্বারা কি এমন বুঝায় না যে,পাত্রীর মাহারাম এতোটাই কাছে /পাশে উপস্তিত থাকবে যাতে পাত্র-পাত্রীর কথাবার্তা তার কান অব্দি আসে।পাত্র-পাত্রীর কথা মাহারাম ও শুনবে, ব্যাপারটা এমন না?আমি মূলত জানতে চাচ্ছি আমার বুঝায় কি ভুল আছে?

কারণ,কোনো কোনো 'আলিম তো এমন ও বলে থাকেন যে,বিয়ের পূর্বে পাত্রীর সাথে পাত্র কথা ই বলতে পারবে না,পাত্রীর ব্যাপারে যা জানার তা পাত্রীর মাহারাম এর কাছ থেকে জেনে নিবে।তবে বিয়ের পূর্বে এক পলক দেখে নেওয়ার সুযোগ আছে।তাহলে এই সুরত অনুযায়ী চিন্তা করলে তো,পাত্র-পাত্রীর এমন ভাবে কথা বলা যখন কিনা পাত্রীর মাহারাম শুনছেন না যে তারা আসোলে কি কথা বলছে এটা তো জায়েজ হওয়ার কথা না!

আমি দুঃখিত।এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি অনেক কনফিউজ।

কথা বলার ধরণ টা আসোলে কেমন হবে?মাহারাম এর শুনতে হবে যে পাত্র-পাত্রী কি কথা বলছে?

নাকি শুধু এমন দুরুত্বে উপস্থিত থাকলেই হবে যেখান থেকে পাত্রীর মাহারাম তাদের দুজনকে শুধু দেখতে পারবে কিন্তু তারা কি কথা বলছে তা শুনতে পারবে না।এমন হলেও হবে?মাহারাম এর উপস্থিত থাকাটাই কেবল জরুরী?

1 Answer

0 votes
by (565,920 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


কোনো পুরুষ গায়রে মাহরাম নারীর সাথে একাকিত্বে হতে পারবেনা। একাকিত্বে,দেখা সাক্ষাৎ ও কোনো কথা বলতে পারবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلَّا كَانَ ثالثهما الشَّيْطَان» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো পুরুষ অপর (মাহরাম নয় তথা বিবাহ বৈধ এমন) নারীর সাথে নিঃসঙ্গে দেখা হলেই শয়তান সেখানে তৃতীয় জন হিসেবে উপস্থিত হয়।

সহীহ : তিরমিযী ১১৭১, ২১৬৫,মিশকাত ৩১১৮।

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ» . فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ اكْتُتِبْتُ فِي غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَخَرَجَتِ امْرَأَتِي حَاجَّةً قَالَ: «اذهبْ فاحجُجْ مَعَ امرأتِكَ»

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন পুরুষ যেন কক্ষনো কোন স্ত্রীলোকের সাথে এক জায়গায় নির্জনে একত্র না হয়, আর কোন স্ত্রীলোক যেন কক্ষনো আপন কোন মাহরাম ব্যতীত একাকিনী সফর না করে। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক যুদ্ধে আমার নাম লেখানো হয়েছে। আর আমার স্ত্রী একাকিনী হজের উদ্দেশে বের হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যাও তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ করো।

(বুখারী ৩০০৬, মুসলিম ১৩৪১, আহমাদ ১৯৩৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫২৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০১৩৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭৫৭.মিশকাত ২৫১৩।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু মেয়ের মাহরাম এর চোখের সামনেই তারা কথাবার্তা বলছিলো,(যদিও মেয়ের মাহরাম দূর থেকে দেখার দরুন তাদের কথাবার্তা শুনতে পারেনি) তাই উক্ত ছুরতকে খালওয়াহ বা একাকিত্ব বলা যায়না।

তাই এক্ষেত্রে তারা যদি বৈধ কথাবার্তাই বলে থাকে,সেক্ষেত্রে শরীয়াহ দৃষ্টিকোন থেকে এটি জায়ে হয়েছে।
এক্ষেত্রে গুনাহ হয়নি।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...