আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,183 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
আসসালামুআলাইকুম
কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়তের ব্যপারে জানতে চাচ্ছিলাম।
আমি আগে জানতামই না যে "তুমার যার কাছে ইচ্ছা তার কাছে চলে যাও" এমন কথা দ্বারাও তালাক হয়।তো এই কথা বলার সময় তালাকের নিয়ত ছিল না।আমি শুধু জানতাম যে তালাক বলার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক তালাক দেওয়া যায়। তো তাৎক্ষণিক তালাক দেওয়ার নিয়ত না করে রাগের কারণে কেনায়া বাক্য বলে ভবিষ্যতে তালাক দেওয়ার নিয়ত থাকলে কি তালাক হবে??
নাকি যখন বলা হবে যে তুমি তোমার মত থাক তখনই এই কথা বলার সময়ই নিয়ত থাকতে হবে যে এই কথার মাধ্যমে তালাক দিচ্ছি

আর দ্বীতিয় প্রশ্ন হচ্ছে আমি অনেক দিন যাবত ওয়াসাওয়াসা রোগী।।যে কোন বিষয়েই প্রচুর ওয়াসওয়াসা আসে, এ জন্য কি করা যেতে পারে

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


জবাবঃ-
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।
তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।
যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫

'গার্জিয়ানকে ডাকো, তোর আর সাথে সংসার করবো না'
এরকম কথাবার্তা কেনায়া তালাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরা এমন কথা স্বামী তালাকের নিয়তে বললে তালাকে বায়েন বায়েন পতিত হবে।এক তালাকের নিয়ত থাকলে এক তালাক,আর তিন তালাকের নিয়ত থাকলে তিন তালাক পতিত হবে।আর ভয়প্রদর্শনের নিয়তে বললে অবশ্যই তালাক পতিত হবে না।কিতাবুন-নাওয়াযিল-৯/৪৫১


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাৎক্ষণিক তালাক দেওয়ার নিয়ত না করে রাগের কারণে কেনায়া বাক্য বলে ভবিষ্যতে তালাক দেওয়ার নিয়ত থাকলে,তালাক পতিত হবে না।বরং বর্তমানের নিয়ত করতে হবে,তবেই তালাক পতিত হবে।


ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচতে কিছুদিন কোনো একজন নেককারের সোহবতে দিন রাত থাকতে হবে।







(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (11 points)
জাযাকাল্লাহ। হুজুর আমরা এইটাই জাইনা আসছি যে শুধুমাত্র তালাকের শদ্ব বলার মাধ্যমেই তালাক হয়।আর কিছু জানতাম না বা সমাজে এখনো অন্য কিছু বলে তালাক দিতে দেখিও নাই।
সে ক্ষেত্রে ঝগড়ার সময় যদি বলি যে তোমার যার কাছে ভালো লাগে তার কাছে যাও বা তোমার ভালো না লাগলে তুমি ছাড়ো এইগুলা কোন রকম তালাকের উদ্দেশ্য বলা না কারণ এইগুলা যে তালাকের উদ্দেশ্য বলা যায় সেইটাই তো জানতাম না।বরং ওই একই ঝগড়া স্ত্রী অনেকবার বলছে যে মুখে ছাড়ো কিন্তু তখন একবারো কিছু বলি নাই চুপ ছিলাম।এক্ষেত্রে আপনি যে কয়েকটা বাক্য বললেন যে গুলো স্পষ্ট নিয়য় না থাকলেও হবে৷ আমাদের আশে পাশে সেগুলোর প্রচলন নাই আর এইগুলোতে তালাক দেওয়া যায় না জানলে তখন কি হবে??তখন আদালতের বিচারে যাই হোক।আল্লাহ ও বান্দার বিচারে তো নিয়তটাই গ্রহনযোগ্য হবে তাই না?
by (597,330 points)
আপনার বিবরণ মমতে তালাক হবে না।কেননা এগুলো কেনায়া তালাকের শব্দ।আর তালাকের নিয়ত ব্যতীত  কেনায়া শব্দ দ্বারা তালাক পতিত হয় না।

by
আসসালামু আলাইকুম।আমি একদিন আমার স্বামীককে বলি তুমি আমাকে ছেরে দাও।তোমার থেকে দূরত্বে থাকাটা আমার খুব বেশি প্রয়েজন। অন্তত কিছুদিনের জন্য হলেও আমাকে মুক্তি দাও।সে তখন টিভি দেখছিল,বললো যে "যা দিলাম,গ্রামের বাড়ি গিয়ে কয়দিন থেকে আস"...এই কথায় কি তালাক পতিত হবে?
by
স্বামি যদি রেগে গেলে বলে যে,, আমি তোকে হারাম করে দিলাম তাহলে কি তালাক পতিত হবে,,যদি হয়ে থাকে, তাহলে ঠিক করার উপায় কি?
বিঃদ্রঃ ৫-৬ বার কথাটি বলেছে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...