আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
369 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর ,

হিন্দিতে একটা মুভি বেরিয়েছে, অনেক দিন আগে লিপিস্টিক আন্ডার মায় বোরখা। এই মুভির নাম শুনে আমি বাংলা মানে করলাম , আমার বোরখার তলে লিপিস্টিক। দিয়ে ইন্টারেস্টেড হয়ে ভাবলাম মুভি টা দেখবো। এবং কিছু বন্ধুকে বললাম এই রকম মুভি বেরিয়েছে।আবার কিছু মেয়ে আছে বোরখা পরে আবার খারাপ কাজ করে তাদের কে উদ্দেশ্য করে বলতাম লিপিস্টিক আন্ডার মায় বোরখা।
হুজর আল্লাহ কসম বোরখা কে কোনো কুটুক্তি করিনি। এমনি মুভি টা দেখেছি। আর কিছু মেয়ে বোরখা পড়ে আবার অনেক কিছু করে বেড়ায় তাদের কে ওই কথা টা বলতাম।
আল্লাহ কসম হুজুর আমি বোরখা কে কুটুক্তি করিনি। আল্লাহ কসম ।
১. হুজুর আল্লাহ কসম বোরখা কে কুটুক্তি করিনি এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?? আমি খুবই ওয়াসওয়াসা রুগী। ৪ বছর হয়ে গেল প্রায়। আল্লাহ কসম বোরখা কে নিয়ে কোনো কুটুক্তি করিনি। বরং যারা বোরখা পরে আবার খারাপ কাজ করে তাদের কে বলেছি হুজুর।
২. হুজুর অনেক বোরখা পরা মেয়ে  লুকিয়ে লুকিয়ে খারাপ কাজ করে , । সেই জন্য যদি বলা হয় বেশির ভাগ বোরখা পরা মেয়ে গুলো ওই রকম হয়। হুজুর আল্লাহ কসম বোরখা কে কোনো কুটুক্তি করিনি। বরং বোরখা পড়া মেয়ে গুলো কে বলতে চেয়েছি  যারা খারাপ কাজ করে। হুজুর না জেনে বুঝে ভুল হয়েছে এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?? হুজুর ব্যাক্তিগত ভাবে বোরখা কে কোনো কুটুক্তি করিনি । হুজুর ঈমান থাকবে তো??
হুজুর খুব ভয় হচ্ছে , আল্লাহ কসম বোরখা কে কোনো কুটুক্তি করিনি। খুব ভয় হচ্ছে অনেক বছর আগের কথা তখন জানতাম না যে ইসলাম এর কোনো কিছু কে বিয়ে কুটুক্তি করলে ঈমান চলে যায়। হুজুর আমি বোরখা কে নিয়ে কুটুক্তি করেনি।

**** আল্লাহ কসম বোরখা কে কুটুক্তি করিনি। হুজুর আমার ঈমান থাকবে তো?

৩। ভাই বোন এ হুরমত হয়। ? আমি দরজা খুলে বেরোতে গিয়ে আমার লিঙ্গ একটু বোন এর মাথায় স্পর্শ হয়। আমি প্যান্ট পরে ছিলাম। এক্ষেত্রে কি হুরমত হবে?

৪. হুজুর আমি ভীষণ ওয়াসওয়াসা রুগী। হুজুর মনে মনে ইসলামের না না বিধান নিয়ে মনে মনে খারাপ চিন্তা চলে আসছে আমি মুখে উচ্চরণ করছিনা । ঈমান ঠিক আছে তো?

1 Answer

0 votes
by (559,350 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
এর জন্য আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 

(০২)
আপনার ঈমান চলে যায়নি।

(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عن أبي ہانيء رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: من نظر إلی فرج امرأۃٍ لم تحل لہ أمہا ولا ابنتہا۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۴۶۹ رقم: ۱۶۲۲۹ بیروت)

সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন,কেহ যদি কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে তার মা ও তার মেয়ে তার জন্য কোনো ভাবেই হালাল হবেনা,(তার মা ও তার মেয়েকে কোনো ভাবেই বিবাহ করা তার জন্য জায়েজ হবেনা।)

★শরীয়তের  বিধান মতে, নিজ কন্যার সাথে যিনা করলে বা কামভাব নিয়ে উত্তেজনার সাথে আবরণ ছাড়া স্পর্শ করলে নিজ স্ত্রী তথা ওই মেয়ের মায়ের সাথে স্পর্শকারীর বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায় এবং স্ত্রী তার জন্যে চিরতরে হারাম হয়ে যায়।
তাই কন্যা বালেগা হবার নিকটবর্তী (সাধারণত কমপক্ষে ৯ বছর) হয়ে গেলে তাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পিতার এবং ছেলে বালেগ (সাধারণত কমপক্ষে ১২  বছর) হয়ে গেলে তাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে মায়ের খুবই সর্তক থাকা উচিৎ।

★প্রথম মাসআলাটি ছিল পিতা-মাতার দিক থেকে। একই কাজ যদি সন্তানের দিক থেকে হয় তবুও পিতা মাতার বিবাহ ভেঙ্গে পরস্পর চিরতরে হারাম হয়ে যাবে। কাজেই মা-কে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পুত্র ও বাবাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে কন্যার খুব সতর্কতা আবশ্যক।

★উপরোক্ত দুটি মাসআলার মতই শ্বশুর কর্তৃক পুত্রবধূ এবং শাশুড়ি কর্তৃক জামাইকে স্পর্শ করার বিধান। অর্থাৎ শর্তগুলি পাওয়া গেলে স্বামী স্ত্রী পরস্পর হারাম হয়ে যাবে।

★যদি কোন পুরুষ কোন মহিলার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় অথবা কামভাব নিয়ে আবরণহীন তাকে স্পর্শ করে অথবা কামভাব সহকারে মহিলার লজ্জাস্থানের খানিকটা ভিতরাংশে তাকায় অথবা নারী পুরুষের লজ্জাস্থানে তাকায় তাহলে ঐ পুরুষের জন্য ওই মহিলার মা এবং মেয়ে সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যায়। আর যদি সেই ব্যক্তি পূর্ব থেকেই ঐ মহিলার মেয়েকে বিবাহ করে থাকে, তাহলে তার সেই স্ত্রী চিরতরের জন্য হারাম হয়ে যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ভাই বোন এ হুরমত হয়না। তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবেনা। 

(০৪)
হ্যাঁ, আপনার ঈমান ঠিক আছে।

এক্ষেত্রে করনীয় সম্পর্কে জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...