আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
259 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
ওস্তায এক বোন যিনি দ্বীনে ফেরার পূর্বে এক ভাইয়ের সাথে ওনার সম্পর্ক ছিলো কিন্তু বোনটা দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর ভাইটার সাথে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দিলেও ভাইটাকেই বিয়ে করবে এমন নিয়ত রেখেছিলেন,যথাসময়ে ভাইটাও তাকে বিয়ে করবে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখন বোনটার ফ্যামিলি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে আর অই ভাইয়ের কথা ফ্যামিলিতে জানালে ওনারা মানবে না বলছেন, আবার অন্যদিকে ভাইটারও এই মূহূর্তে বোনটাকে বিয়ে করা পসিবল হচ্ছে না বা তিনি এখন আর চাচ্ছেন না বিয়ে করতে এবং তিনি বোনটাকে অন্যত্রে বিয়ে করে নিতে বলছেন। কিন্তু বোনটা কোনোভাবেই তাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন না, কারণ বোনটার প্রবল বিশ্বাস যে ভাইটা কোনো বড় প্রবলেমের কারণে তাকে বিয়ে করতে না করছেন বা পসিবল হবে না বলছেন। এখন বোনটার প্রশ্ন হচ্ছে...
১. তিনি যদি ফ্যামিলির চাপে পড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করে নেন তাইলে আখিরাতে বা জান্নাতে কী তিনি যেই ছেলেকে পছন্দ করতেন বা যাকে বিয়ে করতে চেয়েও বিয়ে হয়নি তাকে কী জান্নাতে স্বামী হিসেবে পাবেন?
কারণ দুনিয়াতে তো বোনটার অই ভাইয়ের সাথে বিয়ে হচ্ছেনা বা হয়তো হবে না। যেহেতু তিনি তার স্বামি হচ্ছেন না দুনিয়াতে তাইলে আখিরাতে কী তাকে স্বামী হিসেবে চাইতে পারবেন?
২. বোনটা অন্যের হক আদায়ে ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার ভয়ে অন্য কাউকেই বিয়ে না করার নিয়ত করা কী ঠিক হবে? বা আর কাইকেই বিয়ে না করলে কী গুনাহগার হবেন?
৩. বোনটার এই নিয়তে বিয়ে করা কী ঠিক হবে যে তিনি এখন বিয়ে করে নিলেও জান্নাতে তার দুনিয়ার স্বামীকে নই অই ভাইকেই স্বামী হিসেবে চাইবে?
৪. বোনটার অই ভাইয়ের সাথে বিয়ে না হলে তিনি কী তার জন্য দোয়া করতে পারবেন? মানে জান্নাতে যেনো আল্লাহ তাকে(দুনিয়ার স্বামীকে নয় অই ভাইকে)তার স্বামী বানিয়ে দেন এই দোয়া কী করতে পারবেন? এতে কী বোনটার স্বামীর হক নষ্ট হওয়ার আশংকা আছে?
৫. অন্য জায়গায় বিয়ের পরও যদি অই ভাইটার প্রতি বেশি টান রাখেন বা তার প্রতি অনুভূতি বাঁচিয়ে রাখেন এতে কী বোনটার গোনাহ হবে? তার স্বামীর হক কী নষ্ট হবে এতে?
বিষয়টা খুব জটিল মনে হলো ওস্তায তাই এখানেই প্রশ্ন করলাম। কুরআন সুন্নাহর আলোকে একটা উত্তর দিলে বোনটার উপকার হতো ইং শা আল্লাহ।
জাযাকুমুল্লাহু আহসানাল জাযাহ

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَـٰئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।সূরা ফুরকান-৭)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আপনি আল্লাহর কাছে অতীতের জন্য ক্ষমা চান, এবং ভবিষ্যতে এরকম বিষয়ে ধারেকাছে  না যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
আখেরাতে মহিলার সর্বশেষ স্বামীর সাথেই সংসার হবে।সুতরাং তাকে আখোরাতে পাওয়ার দু'আ না করে, বরং এই দু'আ করুন-

وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
এবং যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।
أُولَـٰئِكَ يُجْزَوْنَ الْغُرْفَةَ بِمَا صَبَرُوا وَيُلَقَّوْنَ فِيهَا تَحِيَّةً وَسَلَامًا
তাদেরকে তাদের সবরের প্রতিদানে জান্নাতে কক্ষ দেয়া হবে এবং তাদেরকে তথায় দোয়া ও সালাম সহকারে অভ্যর্থনা করা হবে।(সূরা ফুরকান-৭৪-৭৫)


(২)অন্যের হক আদায়ে ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার ভয়ে অন্য কাউকেই বিয়ে না করার নিয়ত করা ঠিক হবে না।
হ্যা মন ঠিক হতে কিছুটা কালক্ষেপণ করতে পারেন।জাযাকুমুল্লাহ।


(৩)বোন সর্বদা এই দু'আ যে, হে আল্লাহ আমার জন্য চক্ষুশীতল করী স্বামী ও সন্তানের ব্যবস্থাআ


(৪) না, বোনটির জন্য এভাবে দু'আ করার উচিৎ হবে এবং জায়েযও হবে না।

(৫) অন্য জায়গায় বিয়ের পরও যদি অই ভাইটার প্রতি বেশি টান রাখা হয় বা তার প্রতি অনুভূতি বাঁচিয়ে রাখা হয়,তাহলে এতে করে বোনটির অবশ্যই গোনাহ হবে। এতে স্বামীর হক অবশ্যই নষ্ট হবে 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...