ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَـٰئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।সূরা ফুরকান-৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আপনি আল্লাহর কাছে অতীতের জন্য ক্ষমা চান, এবং ভবিষ্যতে এরকম বিষয়ে ধারেকাছে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
আখেরাতে মহিলার সর্বশেষ স্বামীর সাথেই সংসার হবে।সুতরাং তাকে আখোরাতে পাওয়ার দু'আ না করে, বরং এই দু'আ করুন-
وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
এবং যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।
أُولَـٰئِكَ يُجْزَوْنَ الْغُرْفَةَ بِمَا صَبَرُوا وَيُلَقَّوْنَ فِيهَا تَحِيَّةً وَسَلَامًا
তাদেরকে তাদের সবরের প্রতিদানে জান্নাতে কক্ষ দেয়া হবে এবং তাদেরকে তথায় দোয়া ও সালাম সহকারে অভ্যর্থনা করা হবে।(সূরা ফুরকান-৭৪-৭৫)
(২)অন্যের হক আদায়ে ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার ভয়ে অন্য কাউকেই বিয়ে না করার নিয়ত করা ঠিক হবে না।
হ্যা মন ঠিক হতে কিছুটা কালক্ষেপণ করতে পারেন।জাযাকুমুল্লাহ।
(৩)বোন সর্বদা এই দু'আ যে, হে আল্লাহ আমার জন্য চক্ষুশীতল করী স্বামী ও সন্তানের ব্যবস্থাআ
(৪) না, বোনটির জন্য এভাবে দু'আ করার উচিৎ হবে এবং জায়েযও হবে না।
(৫) অন্য জায়গায় বিয়ের পরও যদি অই ভাইটার প্রতি বেশি টান রাখা হয় বা তার প্রতি অনুভূতি বাঁচিয়ে রাখা হয়,তাহলে এতে করে বোনটির অবশ্যই গোনাহ হবে। এতে স্বামীর হক অবশ্যই নষ্ট হবে