আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
223 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসলামু আলাইকুম উস্তায
১. কোনো বিবাহিত বোন ইতিকাফ এ যদি বসেন পারিপার্শিক সব কিছু ভেবে সঠিক নিয়ত করতে না পারেন যে তিনি সুন্নত ইতিকাফ ১০ দিন করবেন নাকি নফল ইতিকাফ করবেন টানা নাকি শুধু কয়েকঘন্টার ঘন্টাখানেকের জন্যে বা শুধু বিজোর রাত্রিতে ইতিকাফ করবেন । তিনি যদি এই নিয়ত করেন যে আল্লহ তায়ালা যেটা কবুল করেন তিনি সেটাই করবেন ইন শা আল্লহ।
সুন্নত হলে সুন্নাত নফল হলে নফল ( নফল গুলো উক্তভাবে নিয়াত করে) । তিনি যদি ১ দিন পুরোপুরি ইতিকাফ করার পর স্বামীর উপরে জুলুম হচ্ছে এটা বুঝতে পেরে এর পরের দিনগুলো থেকে টানা না করে ভেঙে ভেঙে ইতিকাফ করার নিয়্যাত করেন তবে কি ওনার কোনো কাফফারা বা কিছু আদায় করা লাগবে? ওনি কি গুনাহগার হবেন? নাকি ওনাকে বাকি দিন গুলো কনটিনিউ করতে হবে আর যে দিন গুলো টানা থাকেন নি সেগুলো কাজা আদায় করবেন ?
২. ওই বোনের বাসায় কেউ দরজায় নক করছিল ওনি ঘুম থেকে উঠে ইতিকাফের কথা মনে ছিল না ঘুম ভেঙে ইতিকাফের রুম থেকে ২-৩ কদম হেটে সামনে গিয়েছিলেন পরক্ষণেই মনে পড়াতে সাথে সাথে ফিরে এসেছেন। এতে কি ওনারা ইতিকাফ ভেঙে গেছে? কাযা আদায় করা লাগবে কি?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইতিকাফ হলো দুনিয়াবি সকল প্রকার বাজে চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে মসজিদে অবস্থান করা।
ইতিকাফ তিন প্রকার।যথা :
১. ওয়াজিব,
২. সুন্নাত,
৩. মুস্তাহাব।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
«وَيَنْقَسِمُ إلَى وَاجِبٍ، وَهُوَ الْمَنْذُورُ تَنْجِيزًا أَوْ تَعْلِيقًا، وَإِلَى سُنَّةٍ مُؤَكَّدَةٍ، وَهُوَ فِي الْعَشْرِ الْأَخِيرِ مِنْ رَمَضَانَ، وَإِلَى مُسْتَحَبٍّ، وَهُوَ مَا سِوَاهُمَا هَكَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ.» 
- «الفتاوى الهندية» (1/ 211)
ইতিকাফ তিন প্রকার যথা- (১) ওয়াজিব ইতিকাফ, যা নযর বা মান্নতের জন্য কারো উপর ওয়াজিব হয়েছে। (২) সুন্নতে মুআক্কাদা ইতিকাফ, তা হল রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফ।(৯) মুস্তাহব ইতিকাফ, এছাড়া সকল ইতিকাফকে মুস্তাহব ইতিকাফ বলা হয়। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/17520


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ইতিকাফে বসার পূর্বেই নিয়ত ঠিক করে নিতে হবে। যদি কোনো নিয়ত না করেন,তাহলে সেটা নফল হিসেবে বিবেচিত হবেন। নিয়ত ঠিক না করার কারণে ইতিকাফের পরিপূর্ণ সওয়াব পাবেন না।

(২) নিয়ত ঠিক না করার কারণে উনার ইতিকাফ নফল হিসেবে বিবেচিত হবে। সুতরাং উনার উপর কোনো কিছুই ওয়াজিব হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...