আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
edited by
১)আমি আমার ছাত্রদেরকে একদিন পড়াচ্ছিলাম। তো পড়া শেষ করতে আরো ১৫ টা অংক বাকি ছিল। কিন্তু ১৫ টা অংকর কথা শুনলে আর করতে চাবে না। তাই আমি ওদেরকে প্রথমে বললাম আর মাত্র পাঁচটা অংক। সেই পাঁচটা শেষ হওয়ার পর বললাম আর পাচ টা।তারপর আবার বললাম আর পাঁচটা।
আমার কৌশল কি এরকম হয়ে গেল না যেমন টা এক যুদ্ধে আল্লাহ মুমিনদের কে শত্রুসংখ্যা কম দেখিয়েছিলেন মনবল অটুট রাখতে?

এতে কি শিরক হবে?

২)আমি পরীক্ষা দিলাম।

 আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে পরীক্ষা দিলেই তো হইতো। কিন্তু আমি আল্লাহর উপর ভরসা না করে চিটিং করে পরীক্ষা দিলাম পাশ করার জন্য,যেহেতু আমার প্রিপারেশন ভালো ছিল না।

এতে কি শিরক হবে?

৩)আমি ভাবলাম যে আমি কুমারী মেয়ে ছাড়া বিয়েই করবো না। একদিন আমার একটা বন্ধু আমাকে বলল যে যদি তুমি এরকম মন মানসিকতা রাখো যে কুমারী মেয়ে ছাড়া অন্য মেয়ে বিয়ে করবা না তাহলে গুনাহ হবে। তখন আমি মনে মনে ঠিক করলাম শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য আমি এমন মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হব যে কুমারী না।এরপর আমি জানতে পারি যে আসলে এটা গুনাহ না যদি আমি কুমারী ছাড়া অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে না করতে চাই কখনো। এতে গুনাহ হবে না। আমি আমার মন মানসিকতা আবার চেঞ্জ করে ফেললাম।যে জীবনেও কুমারী মেয়ে ছাড়া বিয়ে করব না। কিন্তু বাসা থেকে যেই মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিল এবং তার সাথে কথা বলে জানতে পারি তারও একটা আগে সম্পর্ক ছিল। সে কুমারী না। কিন্তু সে আমাকে পছন্দ করে। এখন আমি যদি তাকে বিয়ে না করি তবে সে অনেক কষ্ট পাবে। এখন যদি আমি তাকে বিয়ে করি তবে কি আমার শিরক হবে??
প্রথমে আমার ইচ্ছা ছিল শুধুমাত্র কুমারী মেয়ে বিয়ে করার।

এরপর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রাজি হই অকুমারি মেয়ে কে বিয়ে করতে।
এরপর আবার মন মানসিকতা চেঞ্জ করি। যখন জানতে পারি যে যদি আমি শুধু কুমারী মেয়ে বিয়ে করতে চাই তবে গুনাহ হবে না।

এরপর আবার ওই মেয়ের মন রক্ষার্থে অকুমারি মেয়ে কে বিয়ে করতে রাজি হই।

এতে কি শিরক হবে?

৪)আমার বিয়ে ঠিক হইছে সুমির সাথে। আমি সুমির সাথে কথা বলতে গিয়ে জানতে পারলাম যে আগে ওর আরেকটি ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল। এটা জানার পর আমার মন ভালো লাগছে না। আমার ওকে বিয়ে করতে ইচ্ছা করছে না। কিন্তু একই সাথে আর আমি ওকে বিয়ে না করলে ও অনেক কষ্ট পাবে ধারণা হচ্ছে। আবার ওর প্রতি এখন আমি ভাবলাম যে থাক আনি নিজের মনের খুচখ্যচানি সহ্য করে ওকে বিয়ে করে নেই।

আমি তো আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে বিয়ে ভাংতে পারতাম যে আল্লাহ ওর মন ভালো করে দিবেন।

তা না করে আমি ওর মন রক্ষার্থে মনের বিরুদ্ধে ওকে বিয়ে করলে এতে কি শিরক হবে???

৫)ওযু ছুটে যাওয়ার পরও নামাজ পরে গেলাম।যদিনামাজ ছেড়ে দেই তাহলে মানুষ অনেক প্রশ্ন করবে। তাই মানুষকে দেখানোর জন্য আমি নামাজ পড়ে নিলাম এতে কি কুফুর বা শিরক হবে?


৬)একটা মেয়ে অন্য একটা ছেলের সাথে হারাম সম্পর্কে ছিল এবং শারিরিক সম্পর্ক হয়েছিল। এরপর সেই মেয়ে এখন সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে গেছে।ইসলামি রীতি অনুযায়ী চলে।তাকে যদি আমি বিয়ে করি তবে এটা কি গায়রত হিন পুরুষের মত কাজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,350 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
মিথ্যা কথা বলা শরীয়ত অনুমোদিত নয়। 
নিঃসন্দেহে মিথ্যা বলা হারাম। 
শরিয়তে সত্যকে সর্বত্রই উৎসাহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সত্য মুক্তি দেয়, মিথ্যা ধ্বংস আনে।

যে কোনো পরিস্থিতিতে সত্য বলাই শরিয়তের মৌল দর্শনের দাবি।

পবিত্র কুরআন শরিফে এসেছে   
لَّعْنَتَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ [٣:٦١

তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত করি যারা মিথ্যাবাদী। {সূর আলেইমরান-৬১}

হাদিস শরিফে এসেছে,
 সাফওয়ান ইবন সুলাইম বলেন,
قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ ﷺ : أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ جَبَانًا ؟ فَقَالَ: ( نَعَمْ ) ، فَقِيلَ لَهُ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ بَخِيلًا؟ فَقَالَ: ( نَعَمْ ) ، فَقِيلَ لَهُ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ كَذَّابًا ؟ فَقَالَ: ( لَا )
রসুলুল্লাহ ﷺ -কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি কাপুরুষ হতে পারে? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি কৃপণ হতে পারে। তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি মিথ্যাবাদী হতে পারে? তিনি উত্তর দিলেন, না। (মুয়াত্তা মালিক ২/৯৯০) 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার মিথ্যা বলার গুনাহ হবে। তবে কোনোভাবেই শিরক হবেনা।

(০২)
এতে শিরক হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই শিরক হবেনা।

(০৪)
আপনি তার মন রক্ষার্থে মনের বিরুদ্ধে তাকে বিয়ে করলে এতে শিরক হবেনা।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে কুফর না হলেও রিয়া হবে।
যাহা শিরকে আসগর।
এতে ঈমান চলে না গেলেও তওবা আবশ্যক। 

ভবিষ্যতে এহেন কাজ আর কোনোভাবেই করা যাবেনা।

(০৬)
সে যখন পূর্বের এহেন হারাম কাজ হতে ফিরে এসে খালেস দিলে তওবা করে,ও ভবিষ্যতে আর এহেন কাজ করবেনা মর্মে ওয়াদাবদ্ধ হয়,সেক্ষেত্রে আপনি যদি তাকে বিবাহ করে,তাহলে আশা করা যায় এতে গায়রত হিন পুরুষের মত কাজ হবেনা।

তবে গায়রতের বিষয় ব্যাক্তি হিসেবে আলাদাও হয়।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও অনেকের ক্ষেত্রে গায়রত হিন পুরুষের মত কাজ হবে।

তবে তারপরেও এক্ষেত্রে শরীয়তের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...