জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
ﻭَﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻣَﻦ ﻳَﺸْﺘَﺮِﻱ ﻟَﻬْﻮَ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚِ ﻟِﻴُﻀِﻞَّ ﻋَﻦ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﻋِﻠْﻢٍ ﻭَﻳَﺘَّﺨِﺬَﻫَﺎ ﻫُﺰُﻭًﺍ ﺃُﻭﻟَﺌِﻚَ ﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﻣُّﻬِﻴﻦٌ
একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।(সূরা লুকমান-০৬)
ﻓَﺬَﺭْﻫُﻢْ ﻳَﺨُﻮﺿُﻮﺍ ﻭَﻳَﻠْﻌَﺒُﻮﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳُﻠَﺎﻗُﻮﺍ ﻳَﻮْﻣَﻬُﻢُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳُﻮﻋَﺪُﻭﻥَ
অতএব, তাদেরকে বাকচাতুরী ও ক্রীড়া-কৌতুক করতে দিন সেই দিবসের সাক্ষাত পর্যন্ত, যার ওয়াদা তাদেরকে দেয়া হয়।(সূরা যুখরুফ-৮৩)
ﻭَﻟَﺌِﻦ ﺳَﺄَﻟْﺘَﻬُﻢْ ﻟَﻴَﻘُﻮﻟُﻦَّ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻧَﺨُﻮﺽُ ﻭَﻧَﻠْﻌَﺐُ ﻗُﻞْ ﺃَﺑِﺎﻟﻠّﻪِ ﻭَﺁﻳَﺎﺗِﻪِ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟِﻪِ ﻛُﻨﺘُﻢْ ﺗَﺴْﺘَﻬْﺰِﺅُﻭﻥَ
আর যদি তুমি তাদের কাছে জিজ্ঞেস কর, তবে তারা বলবে, আমরা তো কথার কথা বলছিলাম এবং কৌতুক করছিলাম। আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে, তাঁর হুকুম আহকামের সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে?(সূরা:তাওবাহ,৬৫)
,
এসব আয়াতের ভিত্তিতে অনেক খেলা ধুলা নিষেধ করা হয়।
তবে ব্যায়ামের উদ্দেশ্যে অনেক খেলা শর্ত সাপেক্ষে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
শরীরচর্চাকে ইসলাম সমর্থন করে এবং অনুমতি দিয়েছে শুধু তাই নয় বরং তার প্রতি মানুষকে উৎসাহিত ও করেছে।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত শরীরগঠন খেলা জায়েজ আছে।
তবে শর্ত হচ্ছে শরীয়তের গন্ডির ভিতরে থাকতে হবে।
সতরকে ঢেকে রাখা সর্বাবস্থায় ফরয।শুধুমাত্র বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে সতর খুলার অনুমোদন রয়েছে।যেমন,প্রস্রাব-পায়খানা,স্ত্রী সহবাস,চিবিৎসার জন্য। তবে এ সময়েও যথাসম্ভব ঢেকে রাখা মুস্তাহাব।
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সতর খোলা যাবেনা,হারাম
আরো জানুনঃ
খেলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০২)
শরীরগঠন প্রদর্শক/ ফিটনেস ইন্সট্রাকটর পদে চাকুরী অথবা ফিটনেস জিম এর ব্যবসা করা হালাল আছে।
তবে বেপর্দা,সতর খোলা ইত্যাদি দেখলে সেই গুনাহ হবে।
গুনাহের এমন পরিবেশ থাকলে সেই ব্যবসা না করাই তাকওয়ার চাহিদা।
(০৩)
নারীদের জন্য ঘরের ভিতরেই শরীর চর্চা করতে হবে।এটাই তার জন্য নিরাপদ।বাহিরে গিয়ে শরীরচর্চা করা কখনো জায়েয হবে না।কেননা জিমখানায় এমন মহিলাও থাকবে,যারা বেপর্দা।তারা গিয়ে তাদের পুরুষ সঙ্গীদের সাথে ঐ মহিলার গোপনাঙ্গের বর্ণনা দিতে পারে।
তাই পূর্ণ পর্দার সহিত নারীদের জিমে যাওয়া জায়েজ হলেও সতর্কতা মূলক না যাওয়াই উচিত।
যেহেতু লেডিস জিম খানায় সকল প্রকার মহিলার যাতায়ত রয়েছে,নেককার বদকার সবাই যেতে পারে,তাই জিমখানায় গিয়ে হেজাব খুলা কখনো উচিৎ হবে না।বিশেষ করে বর্তমান ফিতনার সময়ে জিমখানায় গিয়ে ছোট কাপড় পরিধান করা কখনো উচিৎ হবে না।এটা কোনো নেককার মহিলার কাজ হতে পারে না।শরীরচর্চাকে ইসলাম বাধা দেয় না,তবে শরীয়ত সম্মত পথেই শরীরচর্চা করতে হবে।
আরো জানুনঃ