আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
277 views
in সাওম (Fasting) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম। গর্ভবতী অবস্থায় রোজা রেখে তা ভাঙ্গা কি জায়েজ? উল্লেখ্য, গর্ভবতী মায়ের রোজা রাখায় কষ্ট হচ্ছে এবং গর্ভের বাচ্চার নড়াচড়া আগের থেকে তূলনামূলক কমে গেছে। এছাড়া আর কোনো ওজর নেই। এই অবস্থায় রোজা ছেড়ে দেওয়া এবং রোজা রেখে দিনের বেলা তা ভেঙ্গে ফেলা কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/18730/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
সুরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

مَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰہُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَ لِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۸۵﴾

রমাদান মাস, এতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের হেদায়াতের জন্য এবং হিদায়তের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে। তবে তোমাদের কেউ অসুস্থ থাকলে বা সফরে থাকলে অন্য দিনগুলোতে এ সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান এবং তোমাদের জন্য কষ্ট চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূর্ণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন সে জন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।

★গর্ভবতী নারী যদি নিজের স্বাস্থ্যহানি বা সন্তানের স্বাস্থ্যহানির আশংকায় রোজা না রাখে, তাহলে এক্ষেত্রে বিধান হচ্ছে- গর্ভবতী নারীর দুইটি অবস্থার কোন একটি হতে পারে:

১. শারীরিকভাবে শক্তিশালী ও কর্মোদ্যমী হওয়া, রোজা রাখতে কষ্ট না হওয়া, গর্ভস্থিত সন্তানের উপর কোন প্রভাব না পড়া- এ নারীর উপর রোজা রাখা ফরজ। যেহেতু রোজা ছেড়ে দেয়ারজন্য তার কোন ওজর নেই।

২. গর্ভবতী নারী রোজা রাখতে সক্ষম না হওয়া: গর্ভ ধারণের কাঠিন্যের কারণে অথবা তার শারীরিক দুর্বলতার কারণে অথবা অন্য যে কোন কারণে। এ অবস্থায় এ নারী রোজা রাখবে না। বিশেষতঃ যদি তার গর্ভস্থিত সন্তানের ক্ষতির আশংকা করে সেক্ষেত্রে রোজা ছেড়ে দেয়া তার উপর ফরজ। যদি সে রোজা ছেড়ে দেয় তাহলে অন্য ওজরগ্রস্ত ব্যক্তিদের যে হুকুম তার ক্ষেত্রেও একই হুকুম হবে তথা পরবর্তীতে এ রোজাগুলো কাযা পালন করা তার উপর ফরজ। 

অর্থাৎ সন্তান প্রসব ও নিফাস থেকে পবিত্র হওয়ার পর এ রোজাগুলো কাযা পালন করা তার উপর ফরজ। তবে কখনো হতে পারে গর্ভধারণের ওজর থেকে সে মুক্ত হয়েছে ঠিক; কিন্তু নতুন একটি ওজরগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, অর্থাৎ দুগ্ধপান করানোর ওজর। দুগ্ধপানকারিনী নারী পানাহার করার মুখাপেক্ষী হয়ে পড়তে পারে; বিশেষতঃ গ্রীষ্মের দীর্ঘতর ও উত্তপ্ত দিনগুলোতে। এ দিনগুলোতে এমন নারী তার সন্তানকে বুকের দুধ পান করানোর জন্য রোজা ছেড়ে দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এমতাবস্থায় আমরা সে নারীকে বলব: আপনি রোজা ছেড়ে দিন। এ ওজর দূর হওয়ার পর আপনি এ রোজাগুলো কাযা পালন করবেন।”
(ফাতাওয়াস সিয়াম পৃষ্ঠা-১৬২)
,
“গর্ভবতী ও দুগ্ধপানকারিনী নারীর ব্যাপারে ইমাম আহমাদ ও সুনান সংকলকগণের গ্রন্থে সহিহ সনদে আনাস বিন মালিক আল-কাবী এর বর্ণিত হাদিস নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি এ দুই প্রকারের নারীকে রোজা ছেড়ে দেয়ার অবকাশ দিয়েছেন এবং এদেরকে মুসাফিরের পর্যায়ে গণ্য করেছেন। অতএব, জানা গেল যে, এরা মুসাফিরের মত রোজা না-রেখে পরবর্তীতে কাযা পালন করবে। আলেমগণ উল্লেখ করেছেন যে, রোগীর অনুরূপ কষ্ট না হলে অথবা সন্তানের স্বাস্থ্যহানির আশংকা না থাকলে এ দুই শ্রেণীর নারীগণ রোজা ছেড়েদিবে না। 
(মাজমুউল ফাতাওয়া ১৫/২২৪)
,
আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি গর্ভ ধারণের কাঠিন্যের কারণে অথবা শারীরিক দুর্বলতার কারণে গর্ভবতী মায়ের রোজা রাখায় অনেক কষ্ট হয়,আর এর দরুন দিনের বেলা রোযা ভেঙ্গে ফেলে,অথবা গর্ভস্থিত সন্তানের ক্ষতির আশংকা করে, যার দরুন দিনের বেলা রোযা ভেঙ্গে ফেলে, অথবা না রাখে,সেক্ষেত্রে এটি জায়েজ আছে।
এক্ষেত্রে কাজা আবশ্যক হবে,কাফফারা আবশ্যক হবেনা।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলার গর্ভধারনের ফলে মারাত্নক আকারে অনেক কষ্ট হলে বা বাচ্চার স্বাস্থ্যহানির আশংকা থাকলে রোযা ছেড়ে দিতে পারবেন। নতুবা ছেড়ে দেয়া জায়েজ হবেনা। 
,
«وَعَوَارِضُ الصَّوْمِ الَّتِي قَدْ يُغْتَفَرْ ... لِلْمَرْءِ فِيهَا الْفِطْرُ تِسْعٌ تُسْتَطَرْ

حَبَلٌ وَإِرْضَاعٌ وَإِكْرَاهُ سَفَرْ ... مَرَضٌ جِهَادٌ جُوعُهُ عَطَشٌ كِبَرْ» - «حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» 2/ 421)

নয়টি কারণে রোযা না রাখার অুনমোদন রয়েছে, গর্ভ,দুগ্ধপান,জোড়জবরদস্তী,সফর,অসুস্থতা,জিহাদ,অনাহার,পিপাসা,বৃদ্ধ( রদ্দুল মুহতার-২/৪২১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
reshown by
একটু সাহায্য করবেন শায়েখ? প্রশ্ন করতে না পারায় কমেন্টে আপনাকে বিরক্ত করতে হচ্ছে। ক্ষমা করবেন।

১.আমি গতকালকে পানির নলের নিচে দাড়িয়ে গোসল করি, নামাজে দাড়ানোর পর স্মরন হলো গোসল যে করলাম মাথা তো মাসেহ করলাম কি না তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হলো, মাথার উপর পানি পরেছে সরাসরি  সন্দেহ নাই,ফরজ গোসল না হলেও কুলি করেছি, নাকে পানি এতো গুরুত্ব দিয়ে দেই নি, তাও একবার মনে হচ্ছে পানি দিয়েছি, নরম জায়গায় পানি পৌছিলো কি না জানিনা। আমি, গোসল করলে ওযু লাগবে না, এটা বিবেচনায় আমি পুনরায় মাথা মাসেহ করি নি। যদিও সন্দেহ আর মনে খুত খুতি ছিলো, আসরের পরে মাথা মসেহ পুনরায় না করে গোসল করেছি বিবেচনায় মাগরবি আদায় করেছি। ভেবেছিলাম এখন আবার মাথা মাসেহ করলে তো আসরের নামাজ হয়নি ধরে নিতে হবে?তাই সন্দেহ থাজার পরেও গোসল করেছি ওযু লাগবেনা এই ধারনায় নামাজ পরেছি,নামাজ কি হয়েছে? না হলে এর ফলে কি গুনাহ হবে? বা কুফর হবে?

২. স্বামী বা তালা* এর অধিকার প্রাপ্ত স্ত্রী যদি একে অপরকে মজা করে "এক্স"  বলে বা "এক্স " বলে পরিচয় দেয়।  তবে কি তালা* হবে? না কি তার জন্য তালা* এর নিয়ত করে বলা দরকার 
(উল্লেখ্য প্রেমিক প্রেমিকা, স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক শেষ হলে,একজন অন্য জনকে সংক্ষেপে এক্স বলে, যার বাংলা অর্থ প্রাক্তন বা সাবেক)
by (574,050 points)
(০১)
নামাজ হয়েছে।
এর ফলে গুনাহ হবেনা। কুফর হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

এক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত থাকলেও তালাক হবেনা।
by
মুফতি সাহেব,  তবে (২) এয় ক্ষেত্রে একে অপরকে অন্যের সামনে বলে দেয় যে " ফহিমা আমার এক্স লাগে" (ফাহিমা তার বউ) বা বউ যদি বলে " রফিক আমার এক্স লাগে" তাহলে সমস্যা হবে না?
by (574,050 points)
সমস্যা হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 146 views
0 votes
1 answer 508 views
asked May 22, 2019 in সাওম (Fasting) by আব্দুস সালাম ইবনু আবি হানিফা
0 votes
1 answer 160 views
...