মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنكُمْ ۖ [٤:٥٩]
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যকার বিজ্ঞ ব্যক্তি [মুজতাহিদ, ফক্বীহ] গণের। {সূরা নিসা-৫৯}
ওয়াজিব কাকে বলে?
যা করার আদেশটি জন্নী দলীল তথা ফরজের তুলনায় দুর্বল দলীল দ্বারা প্রমাণিত।
واجب: وهو ما ثبت بدليل فيه شبهة، (قمر الأقمار حاشية نور الأنوار-166)
সারমর্মঃ-
ওয়াজিব এমন দলিল দ্বারা সাব্যস্ত, যার মধ্যে সন্দেহ রয়েছে।
وأما الحنفية فيقولون……. والواجب، فهو ما ثبت بدليل ظنى فيه شبهة، (أصول الفقه الإسلامى-1/47)
সারমর্মঃ-
ওয়াজিব এমন দলিলে জন্নি দ্বারা সাব্যস্ত, যার মধ্যে সন্দেহ রয়েছে।
ওয়াজিব অস্বিকারকারী গোমরাহ এবং ফাসিক হয়। কাফের হয় না।
,
সুন্নত কাকে বলে?
সুন্নতে মুআক্কাদা বলা হয়, যে আমলকে রাসূল সাঃ ইবাদত হিসেবে পাবন্দীর সাথে করেছেন। কখনো ওজর ছাড়া ছেড়ে দিয়েছেন বা নিজেতো ছাড়েননি কিন্তু যে ছেড়ে দিয়েছে তাকে ভর্ৎসনা করেননি। এরকম আমলকে সুন্নতে মুআক্কাদা বলা হয়। {আততাআরিফাতুল ফিক্বহিয়্যাহ-৩২৮, আলমুজিজ ফি উসুলিল ফিক্বহ-৪৩৯-৪০}
সুন্নতে মুআক্কাদা ওয়াজিবের মতই। অর্থাৎ ওয়াজিবের ব্যাপারে যেমন জবাবদিহী করতে হবে, তেমনি সুন্নতে মুআক্কাদার ক্ষেত্রে জবাবদিহী করতে হবে। তবে ওয়াজিব তরককারীর জন্য সুনিশ্চিত শাস্তি পেতে হবে, আর সুন্নতে মুআক্কাদা ছেড়ে দিলে কখনো মাফ পেয়েও যেতে পারে। তবে শাস্তিও পেতে পারে।
وحكمها كالواجب—- إلا أن تارك الواجب يعاقب وتاركها لا يعاقب- (التعريفات للجرجانى-138
অনুবাদঃ-
সুন্নতে মুআক্কাদা ওয়াজিবের মতই।
তবে ওয়াজিব তরককারীকে শাস্তি দেয়া হবে, আর সুন্নত তরককারীকে শাস্তি দেয়া হবেনা।
(০২)
জামাতে সালাত আর মসজিদে গমন উভয়ই সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
কেউ যদি মসজিদে যায় কিন্তু জামাত না পায়,সেক্ষেত্রে তার চেষ্টার কারনে তার গুনাহ হবেনা।
তবে অন্য কোথাও জামাতে পড়ে কিন্তু মসজিদে না যায়, সেক্ষেত্রে ওযর বশত হলে গুনাহ হবেনা।
তবে কাছেই মসজিদ থাকলে কঠিন ওযর ছাড়া নিয়মিত এমনটি করা যাবেনা।
(০৩)
মুস্তাহাব এমন আমল যা পালন না করলে কোনো শাস্তি পেতে হবে না। কিন্তু পালন করা ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তম। মুস্তাহাব কাজ করলে সওয়াব ও আল্লাহর দরবারে পুরস্কার আছে। যেমন: প্রতি আরবি মাসের প্রথম ও শেষ বৃহস্পতিবার রোজা রাখা মুস্তাহাব।
তাহাজ্জুদের মূল ওয়াক্ত হল, রাতের শেষ প্রহর। শেষ প্রহর বলতে রাতের শেষ তৃতীয়াংশ থেকে ফজর নামাযের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্তকে বোঝানো হয়েছে। হ্যাঁ, ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকলে ইশার নামাযের পর দু রাকআত সুন্নত ও বিতরের আগে তাহাজ্জুদ পড়ে নেয়া জায়েয আছে। তবে পরিপূর্ণ তাহাজ্জুদের মর্যাদা পেতে হলে রাতের শেষ প্রহরে উঠে এই নামায আদায় করতে হবে।