জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তারা দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষির সামনে বিয়ের প্রস্তাবনা তথা ইজাব ও কবুল করে থাকে, আর তা দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম স্বকর্ণে শুনে থাকে, তাহলে তাদের বিবাহ শুদ্ধ হয়ে গেছে। তারা ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক স্বামী স্ত্রী হয়ে গেছেন। এখন তাদের দেখা সাক্ষাৎ এবং শারিরীক সম্পর্ক সবই বৈধ হয়ে যাবে।
আর যদি তা না হয়ে থাকে, তাহলে তাদের বিবাহ শুদ্ধ হয়নি। শুধু কবুল বলা/রাজি হবার দ্বারা বিবাহ হয়ে যায় না। যদি বিবাহ না হয়ে থাকে, তাহলে তাদের দেখা সাক্ষাৎ এবং কথাবার্তা বলা জায়েজ নয়।
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তারা যে কবুল বলেছিলো,এখানে কেউ কি বিবাহের প্রস্তাব পেশ করেছিলো?
যদি পেশ না করে, বরং দুইজনই যদি শুধু কবুল বলে থাকে,অথবা সেখানে উপরোক্ত বিবরণ মতে সাক্ষী না থাকে, তাহলে এই বিবাহ হবেনা।
সুতরাং ঐ বোনের এখনকার বৈবাহিক জীবন শুদ্ধ।
আর যদি সেখানে বিবাহের প্রস্তাব পেশ করার প্রেক্ষিতেই উক্ত বোন কবুল বলে থাকে,সেক্ষেত্রে সেখানে দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম পুরুষ বা একজন প্রাপ্ত বয়স্কপুরুষ ও দুই জন মহিলা স্বকর্ণে তাদের প্রস্তাব ও কবুল শুনে থাকে,সেক্ষেত্রে ঐ বিবাহই শুদ্ধ হয়েছে।
সেই বোন এখনো ঐ ব্যাক্তির স্বামী হিসেবেই আছে।
তার এখনকার ঘর সংসার ও বিবাহ কোনোটাই জায়েক হয়নি।
এগুলো পুরোটাই যেনা হচ্ছে।