আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
236 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আমি অনেক বিপদে পরে এতদিন যাবত আপনাদের বিরক্ত করতেসি।আসলে আমার ভিতর থেকে কিছু তেই এই চিন্তা দূর করতে পারতেছি না।অনেক চেষ্টা করতেছি সাভাবিক জীবন যাপন করতে এই ভাল লাগে এই আবার মনে হই পাপ হচ্ছে। আল্লাহ আমাকে যেন সাহায্য করে এই বিপদ থেকে বার হতে।হুজুর অনেক বার আপনি বলেছেন কিছুই হই নাই।তখন একটু ভাল লাগছে কিছুক্ষন পর ই আবার অন্য ভাবে প্রশ্ন মাথাই আসে যে এরকম হইত ঘটছে তাইলে এর মাসালা কি।শেষ বারের মত আপনাকে সব  বলি আপনি পড়ে আমাকে একটা সিদ্ধান্ত দিন আমি কি সংসার করতে পারব কিনা।

১.আমি কেনায়া তালাক সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।হাসবেন্ড কোন মেয়ের সাথে কথা বললে বা তার কোন কাজ পছন্দ না হলে আমি এসব উলটা পালটা  বলতাম।অনেক ভাল বাসি তারে।কোন দিন ভাবি নাই এমন বিপদে পরব।
তালাক নিয়ে কোন কথা হই নাই। মেসেজে বলসি আমাকে মুক্তি দেও। আমার যতটুকু মনে হই আমি এইটা বললে তার রিয়েকশন কি হই।মানে তার থেকে জানতে চাইতাম সে আমাকে মুক্তি দিতে বা ছাড়তে রাজি হই কিনা।বা যাতে ডিভোর্স দিয়া দেয়। আমি তখন জানতাম ছাড়াছাড়ি মুখে বললে হই না।কাগজ কলমের মাধ্যমে দিতে হই।কাজেই যখন বলসি অই বৈঠক এ ত দেওয়া সম্ভব না।কাজেই তা ভবিষ্যৎ বুজাইছে।আর হাসবেন্ড ও জানে না মুক্তি দিলাম বললে তালাক হই।সে রাগ কইরা তালাকের নিয়ত ছাড়াই বলসে মুক্তি দিলাম। সে জানে আমি এসব রাগ কইরা বলতেছি ২,১ দিনে ঠিক হইয়া যাবে।এতে কি তালাক হবে? আপনি বলছিলেন তালাক হবে না। তাও বললাম যাতে সব বুজতে সুুুুবিধা হই

২।ক।আমি যখন হাসবেন্ড কে ছাইড়া দিতে বলছি তখন এমন টা হয়তো বুজাইছি ছাইড়া দিতে বললে হইত সে আর অই কাজ টা করবে না মানে ভয় দেখানো বা ছাইড়া দিতে রাজি হই কিনা .এমন টা শুনতে চাইতাম..(. মানে বলবে যে তুমাকে ছারব বা তোমাকে ছারব না)  যাতে ডিভোর্স দিয়া দেয়।আমি জানতাম কাগজে কলমে ডিভোর্স দিতে হই কাজেই আমি বলার সময় অই বৈঠকে ত তা সম্ভব না তাই ভবিষ্যৎ বুজাইছে।তখন হাসবেন্ড যদি কেনায়া শব্দ বলে (যেমন যাও গা) তালাকের নিয়ত ছাড়া তাইলে কি তালাক হবে।হুজুর বলেছিলেন হবে না।তাও সিওর হওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করলাম

খ। তুমি ছাইড়া দিও যদি বলে এর দারা স্থায়ী অধিকার  দেওয়া ও বুজাই।আপনি হাসবেন্ড কে জিগ্যেস করতে বলছিলেন সে কোন নিয়তে বলছিল।তারে জিজ্ঞেস করাই সে বলছে আল্লার কসম আমি অধিকার দেওয়ার মাসালা জানতাম না।বলার সময়  অধিকার দেওয়ার কথা মনে আসে নাই। জিজ্ঞেস করাই সে বলসে এগুলা তার পাস কাটানো কথা ছিল মানে সে দিবে না তাই অইভাবে বলছে আর সে বিশ্বাস করে আমি তারে ছাড়ব না। এখন হইত রাগ উঠছে ২,১ দিনের মধ্যে ঠিক হইয়া যাবে। এরকম টা ভাইবা বলসে। ।আপনি বলছিলেন যে অইগুলা বলার সময় ভিতরে এমন নিয়ত স্পষ্ট  থাকতে হবে যে অধিকার দিলাম ভবিষ্যতে দিতে পারবে। এখন অধিকার দেওয়ার কথা স্পষ্ট না থেকে যদি ভবিষ্যৎ নিরদেশ করে তাইলে কি সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে।?যেহেতু এগুলা ভবিষ্যৎ বাচক শব্দ কিন্তু সময় নির্দিষ্ট না। আর তার চিন্তা ভাবনা কি ছিল তা ত উপরে বলছি কিন্তু ভবিষ্যৎ নিরদেশ করছে।কিন্তু বলার সময় অধিকার দিলাম এই কথা মনে আসে নাই।

গ।ধরলাম স্থায়ী অধিকার দেওয়া হইছে তাইলে আমি যে মাজে মাজে বলতাম যাব গা থাকব না সংসার করব না।তুমার সাথে কোন সম্পর্ক নাই। আমার যত দূর মনে হই নিজের উপর বলি নাই।কারন আমি তখন জানতাম ই না যে এইভাবে নিজের উপর বলতে হই।এগুলা দিয়া যত টুকু মনে হই বুজাতাম তার সাথে থাকব না সংসার করব না।তার সাথে সম্পর্ক রাখব না মানে তারে ছারার চিন্তা হইত।এখন নিয়ত নিয়া সন্দেহ হই যে কোন নিয়তে বলতাম।আবার মন রে বুজাই যে আমি ত জানতাম ই না তাইলে অই নিয়ত আসব কই থেকে।নিয়ত নিয়ে সন্দেহ থাকলেও কিছু হবে না তাইনা হুজুর।

ঘ।যখন তালাকের মাসালা জানলাম তখন ঘাটাঘাটি করতে করতে একটা ভয় ঢুইকা গেসে ভিতরে।ঘুমের মধ্যে ও চিন্তা চলে আসত এখনো আসে।আপনাকে বলছি কয়েকবার।মাসালা জানার পর মাথায় হুট কইরা আসে যে তালাক নিয়া ফেল ।তখন মেয়েদের জেভাবে বলতে হই অইভাবে মনে মনে বলসি আবার হইত মুখেও বির বির কইরা বলসি জিব্বা  ঠোঁট নড়ছে। এখন শব্দ কইরা বলসি নাকি তা নিয়া সন্দেহ হই। ধরলাম স্পষ্ট শব্দে বলছি। যখন বলসি তখন আমি জানতাম যে আমার কোন অধিকার নাই হাসবেন্ড ও জানে না তার অতীত এর কোন কথাই অধিকার পাইছি ।আমিও জানতাম না। তাই যখন মনে আসত তখন ভাবতাম বললে কিছু হবে না।তাই বেশি চিন্তা করি নাই।কিন্তু না বলার চেষ্টা করতাম।এখন পরজন্ত এগুলা মনে আসে।আস্তাগফিরুল্লাহ পরছি মাজে মাজে।তালাক নেওয়ার কথা যেহেতু আমি বলসি সেহেতু আমাকেই বুজাইছি।কিন্তু আমি এইটা সিওর যে আমি তালাক নেওয়ার উদ্দেশ্য বলি নাই। মানে আমি যে সংসার করব না।এরকম কোন উদ্দেশ্য ছিল না।আমি তখন প্রেেগন্যান্ট ছিলাম।উপরের  অবস্থা অনুুযায়ী স্প্ষ্ট ভাবেে বললে কি তালাক হবে?আমি কি ওয়াস ওয়াসা গ্রস্ত ছিলাম কিনা বুজি না।

ঙ।আচ্ছা আমি যদি সত্যি মুখে উচ্চারণ করে না থাকি তাইলে হুজুরদের কাস থিকা যে মাসালা নিছি যে নিজের উপর তালাক বইলা ফেলসি এতে কি তালাক হইয়া যাবে?

চ। এরকম অনেক বিষয় আছে যা হইত ঘটে নাই।কিন্তু মনের সন্দেহ  দূর করার জন্য বা কোন দিকে স্থীর না হতে পারাই অনেক কিছু বইলা মাসালা নিছি।এতে কি আগে যদি তালাক না হইয়া থাকে আমি সন্দেহ  থেকে জিজ্ঞেস করাই কি কিছু হবে হুজুর।

চ।হাসবেন্ড বলছে সে নাকি বলসে ভাল  না লাগলে তুমি থাইক না।বিয়ের পর এটা সে বলছে নাকি তাও মনে আসে না।আচ্ছা ধরলাম বলছ।। এই কথাই কি অধিকার দেওয়া বুজাবে? আমি যদি তখন বলি আচ্ছা থাকব না।কারন মাজে মাজে থাকব না বলতাম।এখন সে অই কথা বলার সময় বলসি ই নাকি।ধরলাম বলছি।হইত ভবিষ্যৎ এ থাকব না বুজাইছি বা নিজের উপর ত তালাক বুজাই নাই কারন আমি তখন জানতাম ই না অই বেপারে।তাইলে কি কোন সমস্যা হবে।

৩।এমন অনেক বিষয় আছে.. আমি যা বলছি মনে আছে কিন্তু হাসবেন্ড কি বলছে তা কসম কইরা বলতে পারব না।একবার মনে হই নেগেটিভ কিছু বলছে আবার মনে হই বলে নাই।যখন ভালো ছিলাম তখন ও অনেক মনে করার চেষ্টা করছি।হাসবেন্ড  ছাইড়া দিলাম বলছে নাকি তাও নিজে নিজে বইলা সেই ঘটনা কল্পনা কইরা মনে করার চেষ্টা করছি।হাসবেন্ড এর হয়ে নিজে নিজেকে ছাইড়া দিলাম বললে কি কিছু হবে।যদি তালাকের অধিকার প্রাপ্ত থাকে।আমি যে সংসার করব না সেই উদ্দেশ্য বলি নাই।
হাসবেন্ড কে অনেক অনেক কিছু জিজ্ঞেস করছি সে একেক সময় একেক কথা বলে।মানে তার সিওর মনে নাই।সে শুধু বলে যদি কিছু বইলাও থাকি তুমাকে ছাড়ার নিয়তে কিছু নাই আজ পরজন্ত।

৪।হাসবেন্ড কে অনেক ঘটনা আছে খুইলা বইলা জিজ্ঞেস করছি অনেক ঘটনা আসে এমনেই জিজ্ঞেস করছি।এখন তারে কি সব কিছু খুইলা বলার দরকার আছে।সে আমার উপর এগুলা নিয়া বিরক্ত। কারন ৯মাস যাবত একি বিষয় নিয়া আছি আর তারে একেক সময় একেক বিষয় জিজ্ঞেস কইরা বিরক্ত করতেছি। হুজুর বলেছিলেন হাসবেন্ড কে একবার জিজ্ঞেস করার পর পুনরায় তা জিজ্ঞেস না করা।তারে এসব নিয়া বিরক্ত না করা।এখন ও মাথাই থেকে যাচ্ছে না।বলছি আমারে ঢাকা নিয়া জাও তারপর আবার আইসা পরমু নি।আবার বলছি তুমার বউ ত শুকিয়ে শেষ একবারে গেসে গা।তখন ও তালাকের কথা মাথাই আইসা পরছে।এগুলাতে কি কোন সমস্যা হবে।

৫.।হাসবেন্ড কে বলছি তুমি খালি ফেসবুকে মেয়ে বন্ধু বানাও আমিও বানাব।ধরেন সে যদি বলে ছেড়ে দিসি..যা মনে চাই কর (একবার মনে হই বলসে আবার মনে হই যে  ছেড়ে  দিসি বলে নাই) কয়েক জনের নাম বলছে অদের বন্ধু বানাও আমার প্রব্লেম নাই।এখানে সে কাজের সাধীনতা বুজাইছে তাইলে কি তালাক হবে। অনেক আগের ঘটনা হুবুহু মনে নাই।এমন টাই মনে হই।এক হুজুর বলছে তালাকের নিয়ত ছাড়া তালাক হবে না।যেহেতু উদ্দেশ্য ভিন্ন ছিল।
৬ ।কিছু বিষয় আছে আমি কি বলছি মনে আছে। হাসবেন্ড কি বলছে মনে আসে না।তারে জিগ্যেস করলেও সিওর বলতে পারে না।এখন যদি সে সময় তালাক হওয়ার মত কিছু হইয়াও থাকে বা বইলা থাকে আল্লাহ ভাল জানেন।এখন ত কোন  একদিকে  মন স্থীর হচ্ছে না।আবার একদম সিওর না হইলে সন্দেহ থেকে ত তালাক হই না।বিন্দু মাত্র সন্দেহ থাকা যাবে না।তখন ত কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানতাম না তাই সেসময় মাসালা নেওয়া হই নাই।এখন ত ভুইলা গেসি সঠিক কি কথা হইছিল।অনেক আগের কথা।এখন সন্দেহ গ্রস্ত  হইয়া গেসি সব বিষয়  এ।জা মনে করি তাই মনে হই বলছে।এই অবস্থায় কি করনিয়। আমি কি সব মনে করার চেষ্টা করা বাদ দিব।ভুলে গেলে কি তালাক হবে না।
৭।তালাকের অধিকার প্রাপ্ত বউ যদি চিন্তা থেকে বা সন্দেহ থেকে বলে যে তালাক হইয়া গেসে তাইলে কি আগে তালাক না হইলেও এই কথাই তালাক হবে? ইমদাদুল হুজুর বলেছিলেন বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী মিথ্যা স্বীকারোক্তি দারা....তালাক হয় না।

৮।কেউ যদি তার নিয়ত নিয়ে সিওর না থাকে বা কোন বিষয় নিয়া বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকে বা কি ঘটছে তা যদি ভুলে যাই  তাহলে সে সময়  যদি খারাপ কিছু ঘটে মানে তালাক হওয়ার মত কিছু ঘটে (আল্লাহ ভাল জানেন) থাকে কিন্তু তা যদি কেউ সঠিক  মনে করতে না পারে (এখন ত সিওর মনে আসে না)তাইলে কি তালাক হবে।এখন জা মনে করার জন্য যা ভাবি মনে হই তাই ঘটছে। একবার পজিটিভ মনে হই আবার নেগেটিভ.. মনে হই।
সব পইরা পয়েন্ট অনুযায়ী উত্তর না দিতে পারলেও একটু বলেন যে সব চিন্তা বাদ দিয়া মানে জা মনে আসে সেগুলা পাত্তা  না দিয়া কি সংসার করে যাব নাকি।যদি কোন সমস্যা নাা হইয়া থাকে যখন এসব চিন্তা মাথায় আসবে তখন কি বইলা সান্ত্বনা দিব হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (566,940 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


উকবাহ ইবনু আ’মির রাযি. বলেন,

لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ الْمُوَسْوِسِ

‘ওয়াসওয়াসা সম্পন্ন (সন্দেহের বাতিকগ্রস্ত) ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয় না।’ 
(সহিহ বুখারী, অধ্যায় ৬৮)

চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ: 
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তি ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলাটের দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাক গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।
(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রুগী, তাই আপনার কোনো তালাকই গ্রহণযোগ্য নয়।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোন তালাক পতিত হয়নি।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি এসব কিছুকে পাত্তা না দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে সংসার চালিয়ে যান,এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
এই রোগ থাকা অবস্থায় আপনার কোনো তালাক পতিত হবেনা।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...