ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
এম.এল এম এর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ,তাদের নিয়ম-পদ্ধতির বিশ্লেষণ ও এ সকল প্রতিষ্টানের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অভিমতের আলোকে জানা যায় যে,এ ব্যবসা পদ্ধতিতে উল্লিখিত নিষিদ্ধ বিষয়গুলো ছাড়া আরোও কিছু শরীয়াত নিষিদ্ধ বিষয় রয়েছে।সুতরাং কোনো মুসলমানের জন্য এ সকল কম্পানির সাথে কোনোভাবে সম্পৃক্ত হওয়া জায়েয ও বৈধ হবে না।তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিৎ ঈমানী দাবীতে এম.এল.এম বর্জন করা। আল্লাহ তা'আলা সকল মুসলমানকে এম.এল.এম সহ সকল প্রকার নাজায়েয লেনদেন থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুক।আমীন।(দরসুল ফিকহ-হাটহাজারী-১/৩০৫) আরো জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/12947
তবে উল্লিখিত নিষিদ্ধ বিষয়াবলী না থাকলে, কমিশন ভিত্তিতে কোনো কম্পানির শুধুমাত্র এজেন্ট হয়ে মার্কেটিং করা জায়েয আছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/340
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
রেফারের রেফার বলতে আপনি যাকে রেফার করবেন,সেই ব্যক্তি যদি অন্য কাউকে রেফার করে, তাহলে এই বোনাস কিন্তু আপনার জন্য জায়েয হবে না। হ্যা, আপনি যাকে রেফার করবেন, তার বোনাস আপনার জন্য জায়েয হতে পারে।
(২)
সেল্ফ এপটিতে 2000 টাকার কোর্স নিলে,যদি তারা ১ মাস প্রতিদিন ৫ টাকা করে বোনাস দেয়, এবং ৩ জনকে কোর্স কিনে দিলে আরো 4 মাস প্রতিদিন বোনাস দেয়।
এই বোনাস গ্রহণ জায়েয হবে না।
(৩)
আপনার রেফারকৃত ব্যক্তি লেনদেনের ফলে যদি কোম্পানী থেকে আপনাকে কোন বোনাস দেয়া হয়,সেটা আপনার জন্য বৈধ হবেনা। যদিও রেফারকৃত ব্যক্তি থেকে কোনো টাকা না দেওয়া হোক।
(৪)
এখানে শুধু আপনি নিজের রেফারের বোনাস নিতে পারবেন। আপনি যাকে রেফার করবেন,সে যদি অন্য কাউকে রেফার করে, তাহলে এর বোনাস কিন্তু আপনি পাবেন না।