আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
348 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (11 points)

আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ

#১ 

রেফারের রেফার কথাটি বুঝতে পারি নি, অনুগ্রহপূর্বক সাহায্য করুন....

রেফারের বিষয়টি একটু ক্লিয়ার ভাবে জানতে চাই.....

#২

সেল্ফ অ্যাপটিতে 2000 টাকার কোর্স নিলে তারা ১ মাস প্রতিদিন ৫ টাকা করে বোনাস দেয়, এবং ৩ জনকে কোর্স কিনে দিলে আরো 4 মাস প্রতিদিন বোনাস দেয়। 

এই বোনাসের টাকা কি নেয়া বৈধ?

#৩

আমার রেফারকৃত ব্যক্তি লেনদেনের ফলে যদি কোম্পানী থেকে আমাকে কোন বোনাস দেয়া হয় সেটা কি আমার জন্য  বৈধ হবে? যদিও রেফারকৃত ব্যক্তি থেকে কোন টাকা নেয়া হবে না।

#৪ 

এই ছবিটা দেখুন এবং তাদের কোন কোন বিষয় ইসলামের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক অনুগ্রহপূর্বক জানিয়ে দিন....

ছবির লিংক:

https://drive.google.com/file/d/1vMteZMdhNmGcwVvDpzFDC8WnIK-gwMNm/view?usp=sharing 

জাযাকাল্লাহু খয়রন.......

by (1 point)
হযরত এখানে জানার বিষয় হচ্ছে আমার পেসিভ ইনকাম হবে লিডারশিপ অর্জন করার মাধ্যমে। একজন লিডারের দায়িত্ব হচ্ছে তার সদস্যদেরকে যোগ্য করে তোলা । তাদের পিছনে সময় দিয়ে তাদেরকে সাহায্য করা। তারা যে বিষয় না বুঝে তাদেরকে বোঝানো। সুব্রত তাদের কে সাহায্য করার মন মানসিকতা রাখা । এত কষ্ট করার ফলে আমার ইনকাম হচ্ছে তবুও কি হারাম হবে আমাকে তো এর কষ্টের বিনিময়ে দিচ্ছে কোম্পানি টাকাটা । আর সেল্ফ এর রেফারে টাকা ইনকাম করার নিয়ম এটাই লিডারশিপ উপার্জন করে ইনকাম করা।
তবুও কি হারাম হবে

আমি তো তাদেরকে নেতৃত্ব দিচ্ছি শুধু আমার ছাত্রকেই নয় বরং ছাত্র ছাত্র ছাত্র সকলকে। আর আমার ছাত্র আমার থেকেই যোগ্য সম্পন্ন হয়েছে বলেই তো তিনি অন্যদের যোগ্য করতে পারতেছে ।
এটাতো আমার কষ্টের সুফল।
যেমনিভাবে একজন ওস্তাদ যদি কাউকে শিক্ষা দেয় সে সারা জীবন যত আমল করবে সেই সওয়াবের কিছু অংশ সেই ওস্তাদ পাবে। তার ছাত্ররা যত সওয়াব করবে সে ওস্তাদ কিছু পাবে এটার যেমন কোন সীমারেখা নেই ।
সেল্ফ এর সীমারেখা ১৫ স্তর পর্যন্ত।
তবুও কি হারাম হবে

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
এম.এল এম এর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ,তাদের নিয়ম-পদ্ধতির বিশ্লেষণ ও এ সকল প্রতিষ্টানের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অভিমতের আলোকে জানা যায় যে,এ ব্যবসা পদ্ধতিতে উল্লিখিত নিষিদ্ধ বিষয়গুলো ছাড়া আরোও কিছু শরীয়াত নিষিদ্ধ বিষয় রয়েছে।সুতরাং কোনো মুসলমানের জন্য এ সকল কম্পানির সাথে কোনোভাবে সম্পৃক্ত হওয়া জায়েয ও বৈধ হবে না।তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিৎ ঈমানী দাবীতে এম.এল.এম বর্জন করা। আল্লাহ তা'আলা সকল মুসলমানকে এম.এল.এম সহ সকল প্রকার নাজায়েয লেনদেন থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুক।আমীন।(দরসুল ফিকহ-হাটহাজারী-১/৩০৫) আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/12947

তবে উল্লিখিত নিষিদ্ধ বিষয়াবলী না থাকলে, কমিশন ভিত্তিতে কোনো কম্পানির শুধুমাত্র এজেন্ট হয়ে মার্কেটিং করা জায়েয আছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/340

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
রেফারের রেফার বলতে আপনি যাকে রেফার করবেন,সেই ব্যক্তি যদি অন্য কাউকে রেফার করে, তাহলে এই বোনাস কিন্তু আপনার জন্য জায়েয হবে না। হ্যা, আপনি যাকে রেফার করবেন, তার বোনাস আপনার জন্য জায়েয হতে পারে।

(২)
সেল্ফ এপটিতে 2000 টাকার কোর্স নিলে,যদি তারা ১ মাস প্রতিদিন ৫ টাকা করে বোনাস দেয়, এবং ৩ জনকে কোর্স কিনে দিলে আরো 4 মাস প্রতিদিন বোনাস দেয়। 
এই বোনাস গ্রহণ জায়েয হবে না।

(৩)
আপনার রেফারকৃত ব্যক্তি লেনদেনের ফলে যদি কোম্পানী থেকে আপনাকে কোন বোনাস দেয়া হয়,সেটা আপনার জন্য বৈধ হবেনা। যদিও রেফারকৃত ব্যক্তি থেকে কোনো টাকা না দেওয়া হোক।

(৪)
এখানে শুধু আপনি নিজের রেফারের বোনাস নিতে পারবেন। আপনি যাকে রেফার করবেন,সে যদি অন্য কাউকে রেফার করে, তাহলে এর বোনাস কিন্তু আপনি পাবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (1 point)
হযরত এখানে জানার বিষয় হচ্ছে আমার পেসিভ ইনকাম হবে লিডারশিপ অর্জন করার মাধ্যমে। একজন লিডারের দায়িত্ব হচ্ছে তার সদস্যদেরকে যোগ্য করে তোলা । তাদের পিছনে সময় দিয়ে তাদেরকে সাহায্য করা। তারা যে বিষয় না বুঝে তাদেরকে বোঝানো। সুব্রত তাদের কে সাহায্য করার মন মানসিকতা রাখা । এত কষ্ট করার ফলে আমার ইনকাম হচ্ছে তবুও কি হারাম হবে আমাকে তো এর কষ্টের বিনিময়ে দিচ্ছে কোম্পানি টাকাটা । আর সেল্ফ এর রেফারে টাকা ইনকাম করার নিয়ম এটাই লিডারশিপ উপার্জন করে ইনকাম করা।
তবুও কি হারাম হবে

আমি তো তাদেরকে নেতৃত্ব দিচ্ছি শুধু আমার ছাত্রকেই নয় বরং ছাত্র ছাত্র ছাত্র সকলকে। আর আমার ছাত্র আমার থেকেই যোগ্য সম্পন্ন হয়েছে বলেই তো তিনি অন্যদের যোগ্য করতে পারতেছে ।
এটাতো আমার কষ্টের সুফল।
যেমনিভাবে একজন ওস্তাদ যদি কাউকে শিক্ষা দেয় সে সারা জীবন যত আমল করবে সেই সওয়াবের কিছু অংশ সেই ওস্তাদ পাবে। তার ছাত্ররা যত সওয়াব করবে সে ওস্তাদ কিছু পাবে এটার যেমন কোন সীমারেখা নেই ।
সেল্ফ এর সীমারেখা ১৫ স্তর পর্যন্ত।
তবুও কি জায়েজ হবে না??
by (589,140 points)
না, জায়েয হবে না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 191 views
...