আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
254 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
নবীজিকে স্বপ্ন দেখলে জান্নাত নিশ্চিত এমন কোনো হাদীস আছে?

প্রত্যেকটি মানুষের রুহ বা আত্মা কি আলাদা?নাকি একজন মানুষ মারা গেলে তার আত্মাকে আল্লাহ নতুন জন্ম নেয়া মানুষের মধ্যে প্রতিস্থাপিত করে দেন?কুরআন এবং হাদীসের আলোকে জানতে চাই।

মেরাজে কি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ সুবহানা ওয়া তায়ালার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন নাকি জিব্রাইল আলাইহিসসালাম এর মাধ্যমে বলেছেন?

1 Answer

0 votes
by (708,560 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «تَسَمَّوْا بِاسْمِي وَلاَ تَكْتَنُوا بِكُنْيَتِي، وَمَنْ رَآنِي فِي المَنَامِ فَقَدْ رَآنِي، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لاَ يَتَمَثَّلُ فِي صُورَتِي، وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ»
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,আমার নাম দ্বারা নাম রাখতে পারবে,তবে আমার কুনিয়ত দ্বারা কেউ যেন কুনিয়ত না রাখে,যে ব্যক্তি স্বপ্নে আমাকে দেখবে,সে সত্যই আমাকে দেখবে,কেননা শয়তান আমার সুরত ধারণ করতে পারে না।যে ব্যক্তি আমার উপর মিথ্যা বলবে,সে যেন তার জায়গা জাহান্নামকে বানিয়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-১১০)

রাসূলুল্লাহ সাঃ কে দেখলে জান্নাত নিশ্চিত এমন কোনো সহীহ বর্ণনা নেই।তবে রাসূলুল্লাহ সাঃ কে স্বপ্নে দেখা অনেক বড় কামিয়াবি।


(২)"একজন মানুষ মারা গেলে তার আত্মাকে আল্লাহ নতুন জন্ম নেয়া মানুষের মধ্যে প্রতিস্থাপিত করে দেন"

এটাকে পুনর্জন্ম বলা হয়।পুনর্জন্ম হহল,শিরকি আকিদা।অমুসলিম হিন্দুওয়ানি আকিদা।প্রত্যেককেই আল্লাহ তা'আলা আলাদা আলাদা পৃথক পৃথক রুহ দ্বারা সৃষ্টি করেছেন।

মিটি, আটক ৪

দেশে ১৬ কোটির বেশি মোবাইল সংযোগ
দেশে ১৬ কোটির বেশি মোবাইল সংযোগ

ভয়াল একাত্তরের নির্মমতার সাক্ষী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বধ্যভূমি’
ভয়াল একাত্তরের নির্মমতার সাক্ষী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বধ্যভূমি’

আজ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে বিলাসবহুল ‘বে ওয়ান’র যাত্রা শুরু
আজ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে বিলাসবহুল ‘বে ওয়ান’র যাত্রা শুরু

বাংলা একাডেমির তিন পুরস্কার ঘোষণা
বাংলা একাডেমির তিন পুরস্কার ঘোষণা
كُلُّ نَفْسٍ ذَآىِٕقَةُ الْمَوْتِ 

প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। (সূরা আল- ইমরান,আয়াত: ১৮৫, সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ৩৫, সূরা আনকাবুত, আয়াত: ৫৭ ) পবিত্র কোরআন-হাদীসে স্পষ্ট বলা রয়েছে। মৃত্যুর পরের সময়টিকে পরকালের মধ্যে গণ্য করা হলেও পবিত্র কোরআন-হাদীসে মৃত্যু ও বিচারের দিনের মধ্যবর্তী সময়কে আলমে বরযখ নামে অভিহিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ  করেছেন যে-

‘এবং তাদের পেছনে রয়েছে বরযখ- যার সময়কাল হচ্ছে সেদিন পর্যন্ত যেদিন তাদেরকে পুন:র্জীবিত ও পুনরুত্থিত করা হবে।’ (সূরা মুমিনুন-১০০)

উক্ত  আয়াতে যে বরযখ শব্দের ব্যবহার হয়েছে, তার অর্থ হলো যবনিকা পর্দা। অর্থাৎ পর্দায় আবৃত একটি জগৎ। যেখানে মানুষের মৃত্যুর পর থেকে আখিরাতের বিচারের পূর্ব পর্যন্ত মানুষের রুহ বা আত্মা  অবস্থান করবে। ইসলামে পাঁচটি জগতের কথা উপস্থাপন করেছে। প্রথম জগৎ রুহ বা আত্মার জগৎ- যা আলমে আরওয়াহ্নামেও পরিচিত। দ্বিতীয় জগৎ হলো মাতৃগর্ভ- যাকে আলমে রেহেম নামে অভিহিত করা হয়। তৃতীয় জগৎ হলো আলমে আজসাম বা বস্তুজগৎ- অর্থাৎ এই পৃথিবী। চতুর্থ জগৎ হলো আলমে বরযখ বা মৃত্যুর পর থেকে আখিরাতের বিচারের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত যে জগৎ রয়েছে, যেখানে মানুষের আত্মা অবস্থান করবে। পঞ্চম জগৎ - আলমে আখিরাত বা পুনরুত্থানের পরে অনন্তকালের জগৎ। 

মৃত্যুর পরে আত্মার অবস্থান :

এ কথা স্পষ্ট যে, রুহ বা আত্মার বিনাশ নেই। মৃত্যুর পর আত্মা পৃথিবী থেকে আলমে বরযখে স্থানান্তরিত হয়। অর্থাৎ আত্মা কেবল দেহ ত্যাগ করে মাত্র, তার মৃত্যু হয় না। আলমে বরযখের বিশেষ সেই অংশের নামই হলো কবর যা এক অদৃশ্য সুক্ষ্ম জগৎ। যা মানুষের জ্ঞানবুদ্ধি ও কল্পনার অতীত। মূল বিষয় হলো মৃত্যুর পর মানুষের দেহচ্যুত আত্মাকে যে স্থানে রাখা হবে সেটাই তার কবর। অর্থাৎ মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে আখিরাতের পূর্ব পর্যন্ত যে অদৃশ্য জগৎ রয়েছে, সেই জগতকেই আলমে বরযখ বলা হয় যাকে আত্মার কবর বলা হয়।

আলমে বরযখে মানুষের আত্মাকে রাখার দুইটি স্থান রয়েছে। স্থান দুইটির নাম হলো ইল্লিউন আর সিজ্জীন। ইল্লিউন হলো মেহমানখানা, অর্থাৎ পৃথিবীতে যারা মহান আল্লাহর বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করেছে, তারাই কেবল ইল্লিউনে স্থান পাবে। আর যারা পৃথিবীতে মহান আল্লাহর বিধান অমান্য করেছে, নিজের খেয়াল-খুশী অনুযায়ী চলেছে, তারা স্থান পাবে সিজ্জীনে। সিজ্জীন হলো কারাগার।
 
পবিত্র কোরআন-হাদীসে স্পষ্ট দেয়া আছে , কবরে ভোগ-বিলাস অথবা ভয়ঙ্কর আযাবের ব্যবস্থা থাকবে।(সংগৃহিত)


মে'রাজ কি স্বপ্নে ছিলো না বাস্তবে ছিলো,তা নিয়ে সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে মতবিরোধ ছিলো।এবং যারা বলেন,বাস্তবে ছিল,তাদের মধ্যেও মতবিরোধ হয়েছে যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ কি সরাসরি কথা বলেছেন,না কি জিবরাইল আঃ এর মাধ্যমে কথা বলেছেন।


সুতরাং এগুলোর উপর যেহেতু আ'মল নির্ভরশীল নয়।তাই এরকম মাসা'আল-মাসাঈল থেকে নিজেকে দূরে রাখাই শ্রেয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...