আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামুআলাইকুম,

ধন্যবাদ শায়েখ https://ifatwa.info/70695/ এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য। কিন্তু ফাতওয়া পড়ার পর থেকে আরো কিছু প্রশ্ন মনে জাগ্রত হয়েছে যা লজ্জায় এতদিন জিজ্ঞাসা করতে পারিনি তাই আজ জিজ্ঞাসা করলামঃ

১) ফাতওয়াতে উল্লেখিত সমস্যার সমাধান বলেছেন যে, "আমার পক্ষ থেকে আমার পরিচিত কেউ আমাকে না জানিয়ে আমার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গিয়ে আমাকে বিয়ে দিবে অতঃপর আমাকে এসে বললে আমি তাকে কিছু না বলে মোহরানা শোধ হিসেবে দুই স্বাক্ষীর সামনে  কিছু দিব যা সে কনেকে পৌছে দিলে বিয়ে হয়ে যাবে।" কিন্তু এক্ষেত্রে প্রশ্নটি হলো যে আমাকে বা আমার পরিবারকে না চিনলে কোনো মেয়ে বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করবে কেন? বা ঐ মেয়ের পরিবার ই বা রাজি হবে কেন?

২) যদি বিয়ের আগে আমার বা আমার পরিবারের সাথে মেয়ের পরিবারের বিয়ের আলাপ না হয়, তাহলে তো অপরিচিত পরিবারের প্রস্তাব মেনে নিবে না মেয়ের পরিবার। আর আমার মা-বাবাও তো মেনে নিবে না।

৩) ফাতওয়ায় বলেছিলেন যে," আমাকে না জানিয়ে আমার পক্ষ থেকে প্রস্তাব নিয়ে গিয়ে আমাকে বিয়ে দিতে হবে।" এখানে "আমাকে না জানানোর" অর্থ  কি আমাকে মেয়ের পরিচয় বা তার পরিবারের পরিচয় না জানানো নাকি বিয়ের তারিখ-দিন-ক্ষণ না জানানো আমাকে? আর মেয়েকে কি দেখতে বা তার পরিচয় আমি জানতে পারবো?
জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/11744/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
শরীয়তের বিধান হলো বিবাহের পূর্বে তালাক দিলে তালাক হবেনা।
হ্যাঁ যদি সে মুয়াল্লাক তালাক দেয়,তাহলে বিবাহের পর তালাক পতিত হবে।         
★মুয়াল্লাক তালাক দেওয়ার পদ্ধতি হলো কেহ যদি এমন বলে যে আমি যাকেই বিবাহ করবো,সেই তালাক,বা এমন বলে যে  আমি যদি অমুক মহিলাকে বিবাহ করি,তাহলে সে তালাক,বা এমন বলে যে আমি যখনই বিবাহ করিবো,তখনই তালাক ইত্যাদি। 
,
উক্ত শব্দ না বলে এমনিতেই কোনো অবিবাহিত পুরুষ  কোনো মেয়েকে বলে  যে আমি তোমাকে মুয়াল্লাক তালাক দিলাম তাহলে তালাক হবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ الشَّعْبِیِّ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ قَالَ لامْرَأَتهِ: کُلُّ امْرَأَةٍ أَتَزَوَّجُهَا عَلَیْک فَهَیَ طَالِقٌ، قَالَ: فَکُلُّ امْرَأَةٍ یَتَزَوَّجُهَا عَلَیْهَا، فَهِیَ طَالِقٌ.
ابن أبي شیبة، المصنف، 4: 65، رقم: 17838، الریاض: مکتبة الرشد
সারমর্মঃ
শা'বি রহঃ থেকে বর্ণিত,তার নিকটে এক ব্যাক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো, যে তার স্ত্রীকে বলেছে যে আমি যেই মহিলাকেই তোমার উপরে বিবাহ করবো,সে তালাক।
ইমাম শা'বী রহঃ বলেন,তাহলে যেই মহিলাকেই সেই তার স্ত্রীর উপরে (স্ত্রী থাকা অবস্থায়) বিবাহ করবে,তার উপরেই তালাক পতিত হয়ে যাবে।     
(মুছান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ৪ঃ৬৫ হাদীস নং ১৭৮৩৮।)

★পূর্বের প্রশ্নে একটি পদ্ধতি উল্লেখ রয়েছে,তাহা হলোঃ-

“আপনার কোন পরিচিত জন আপনাকে না জানিয়ে আপনার পক্ষ থেকে দুইজন স্বাক্ষ্যির সামনে কনেকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে। উক্ত মহিলা সেই বিয়ে কবুল করে নিবে। প্রস্তাবকারী আপনার কাছে এসে বলবে যে, “আমি তোমার বিয়ে ওমুক মেয়ের সাথে এত টাকা মোহরের বিনিময়ে দিয়ে দিলাম, সুতরাং তুমি মোহর হিসেবে কিছু টাকা/গহনা দাও”। 

তারপর আপনি কোন কথা না বলে কমপক্ষে দু’জন স্বাক্ষীর সামনে চুপচাপ মোহর বাবত কিছু টাকা/গহনা দিয়ে দিবেন। তখন উক্ত মোহর বাবত প্রাপ্ত টাকা/গহনা সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর কাছে পৌঁছিয়ে বলবে যে, এটা তোমার স্বামী মোহর বাবত দিয়েছে। এভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

তখন আর পূর্বোক্ত কথার দরূন কোন তালাক পতিত হবে না।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এক্ষেত্রে যেই ব্যাক্তি আপনার পক্ষ কনেকে বিবাহের প্রস্তাব পেশ করবে,সেই আপনাকে তার সামনে চিনে দিবে।
আপনার ছবি দেখাবে,আপনাকে না জানিয়ে আপনার বাসায় নিয়ে এসে আপনার বাসা দেখাতে পারবে।
আপনার পরিবারের সাথে আলোচনা করতে পারবে,আপনার বাসায় বেড়াতে এসে বা অন্য কোথাও আপনাকে না জানিয়ে পর্দার আড়াল হলে কনে আপনাকে দেখতেও পারবে।

হিকমত অবলম্বন করলে সবই সম্ভব হবে,ইনশাআল্লাহ। 
(০২)
আপনার পরিবারের সাথে মেয়ের পরিবারের আলোচনা ঠিকই হবে,তবে আপনাকে তারা বিষয়টি জানাবেনা।
আপনার সামনে বিষয়টি তারা গোপন করে রাখবে।

(০৩)
এখানে প্রশ্নে উল্লেখিত সবই উদ্দেশ্য। 
আপনাকে মেয়ের পরিচয় বা তার পরিবারের পরিচয় জানানো যাবেনা। বিয়ের তারিখ-দিন-ক্ষণ জানানো যাবেনা। বিয়ের উদ্দেশ্যে মেয়েকে দেখতেও পারবেননা বা বিয়ের উদ্দেশ্যে তার পরিচয়ও জানতে পারবেননা।

মোট কথা বিবাহের সব কিছুই আপনার সামনে গোপন করে রাখা হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...