ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
শরীয়তে ইসলামি সহজতার উপর নির্ভরশীল। শরীয়ত চায় না মানুষ কষ্টে নিপতিত হোক।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ
আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না (সূরা বাক্বারা-১৮৫)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(إِنَّ الدِّينَ يُسْرٌ)
নিশ্চয় দ্বীনে ইসলাম সহজ।(সহীহ বুখারী-৩৯)
আপনার প্রশ্ন থেকে আমরা যা বুঝেছি,আপনার এ বিষয়টা হয়তো মনস্তাত্ত্বিক। এটা শয়তানের পক্ষ্য থেকে ওয়াসওয়াসা।যাতে করে শয়তান আপনাকে কষ্টে নিপতিত করে।এবং শেষ পর্যন্ত ইবাদতকে আপনার নিকট অসহনীয় ও কষ্টকর করে তুলতে পারে।সুতরাং এমন পর্যায়ের কাউকে আবার ওজু করার নির্দেশ দেয়া হবে না।এবং খুজতে আদেশ করা হবে না যে,কিছু বের হল কি না? বরং তার উপর দায়িত্ব হল সে প্রথমে ইস্তেঞ্জা করবে,তারপর লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে দিবে।যাতেকরে তার সামনে ওয়াসওয়াসার দরজা সমূলে ধংশ হয়ে যায়।অতঃপর সে অজু করবে এবং নামায পড়বে।সে শয়তানের প্ররোচনার দিকে ভ্রুক্ষেপ করবে না যে,কিছু বের হয়েছে কি না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4271
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রস্রাবের পর লিঙ্গের মাথাকে আঙ্গুল দ্বারা ধরে আগপিছ করে নিলে এরকম সমস্যার অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। তারপর ঢেলা কুলুপ ব্যবহার করে কয়েক কদম হেটে লজ্জস্থান ধৌত করে লজ্জস্থানে পানি ছিটিয়ে দিবেন। মনকে বলবেন, আর কিছুই বের হয়নি।তাহলে দেখবেন, বাস্তবেই প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেছে।
বিঃদ্র
আপনি প্রস্রাবের পর স্বভাবিক অন্য তিনজনের মত ঢেলাকুলুপ ব্যবহার করে, কিছু পানি হাতে নিয়ে লজ্জস্থানে ছিটিয়ে দিবেন। তারপর দেখবেন, আর ওয়াসওয়াসা আসবে না।