আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in পবিত্রতা (Purity) by (14 points)
আসসালামুয়ালাইকুম
আমি প্রস্রাব করার পর অনেক্ক্ষণ সময় নিয়ে টিসু ও পানি উভয়টি ব্যবহার করে পবিত্র হওয়ার পর ও প্রস্রাবনালীর ভিতরে ফোটা প্রস্রাব নির্গত হয়। কখনো কখনো এই নালীর ফোটা প্রস্রাব সত্যিই বাইরে আসে এবং কখনো বা এটি নিয়ে অহেতুক ওয়াস ওয়াসা হয়।
এই অবস্থায় আমি কিভাবে পবিত্র থেকে যথাসময়ে জামাতে সালাত আদায় ও অন্যান্য ইবাদত করতে পারি?

বাসায় থাকাকালীন আমি প্রস্রাবের পরের এই নাপাকী ও ওয়াস ওয়াসা হতে বাচতে সাধারন সময় ও সালাতে ভিন্ন কাপড় ব্যবহার করি এবং কখনোও দুই ওয়াক্তের সালাতে দুইটি ভিন্ন কাপড় ও ব্যবহার করি (কারণ নামাজের ভেতর ও এই ওয়াসওয়াসা আসে বা,সত্যিই ফোটা বের হয়)। কিন্তু অফিসে, বাহিরে বা লম্বা সময়ের যাত্রাকালীন পথে এই ধরণের বারবার কাপড় পরিবর্তন সম্ভব হয় না।

সেক্ষেত্রে তখন আমি কিভাবে পবিত্র থেকে যথা সময়ে জামাতে সালাত আদায় করতে পারি?

আর এই ওয়াসওয়াসা ও রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি ইন শা আল্লাহ,  জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
শরীয়তে ইসলামি সহজতার উপর নির্ভরশীল। শরীয়ত চায় না মানুষ কষ্টে নিপতিত হোক।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ
আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না (সূরা বাক্বারা-১৮৫)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(إِنَّ الدِّينَ يُسْرٌ)
নিশ্চয় দ্বীনে ইসলাম সহজ।(সহীহ বুখারী-৩৯)

আপনার প্রশ্ন থেকে আমরা যা বুঝেছি,আপনার এ বিষয়টা হয়তো মনস্তাত্ত্বিক। এটা শয়তানের পক্ষ্য থেকে ওয়াসওয়াসা।যাতে করে শয়তান আপনাকে কষ্টে নিপতিত করে।এবং শেষ পর্যন্ত ইবাদতকে আপনার নিকট অসহনীয় ও কষ্টকর করে তুলতে পারে।সুতরাং এমন পর্যায়ের কাউকে আবার ওজু করার নির্দেশ দেয়া হবে না।এবং খুজতে আদেশ করা হবে না যে,কিছু বের হল কি না? বরং তার উপর দায়িত্ব হল সে প্রথমে ইস্তেঞ্জা করবে,তারপর লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে দিবে।যাতেকরে তার সামনে ওয়াসওয়াসার দরজা সমূলে ধংশ হয়ে যায়।অতঃপর সে অজু করবে এবং নামায পড়বে।সে শয়তানের প্ররোচনার দিকে ভ্রুক্ষেপ করবে না যে,কিছু বের হয়েছে কি না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4271

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রস্রাবের পর লিঙ্গের মাথাকে আঙ্গুল দ্বারা ধরে আগপিছ করে নিলে এরকম সমস্যার অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। তারপর ঢেলা কুলুপ ব্যবহার করে কয়েক কদম হেটে লজ্জস্থান ধৌত করে লজ্জস্থানে পানি ছিটিয়ে দিবেন। মনকে বলবেন, আর কিছুই বের হয়নি।তাহলে দেখবেন, বাস্তবেই প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেছে।

বিঃদ্র
আপনি প্রস্রাবের পর স্বভাবিক অন্য তিনজনের মত ঢেলাকুলুপ ব্যবহার করে, কিছু পানি হাতে নিয়ে লজ্জস্থানে ছিটিয়ে দিবেন। তারপর দেখবেন, আর ওয়াসওয়াসা আসবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...