আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
172 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (11 points)

আসসালামু আলাইকুম। আমার ছয় ভরি স্বর্ণ আছে এবং একটি ব্যবসায় আমি দেড় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছি যার মুনাফা আমি দুই বছর পর পাব।ব্যবসায় যে বিনিয়োগ তা অক্টোবর মাসে একবছর হবে। সাধারণত আমার হাতে কখনো টাকা থাকেনা। এই মুহূর্তে কি আমার ওপর যাকাত দেওয়া ফরজ?
২/জমানো টাকা আছে আমার আম্মুর কিছুদিন আগে দেড় লাখ হয়েছে।এখানে টাকা হয় আবার আম্মু খরচ করে।মানে সবসময় একই পরিমান অর্থ থাকে না।এক লাখ টাকা সম্পুর্ণ এক বছর হয়নি।হয় আবার ভাংগে এমন আর কি।এখন বর্তমানে দেড় লাক্ষ আছে কিন্তু এর মেয়াদ এক বছর হয়নি।এক্ষেত্রে কি যাকাত দিতে হবে।আম্মু ৩ বছর আগে জায়গা বিক্রি করে যার জন্য ৪লাখ টাকা পায়নি কিন্তু কবে পাবে তাও নিশ্চিত না।এক্ষেত্রে কি যাকাত আসবে?
<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_230406_035724_042.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বর্ণের ক্ষেত্রে যাকাতের নিসাব হল বিশ মিসকাল। -সুনানে আবু দাউদ ১/২২১; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক  হাদীস ৭০৭৭, ৭০৮২
আধুনিক হিসাবে সাড়ে সাত ভরি।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى قَالَا حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى أَنْبَأَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ وَاقِدٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْخُذُ مِنْ كُلِّ عِشْرِينَ دِينَارًا فَصَاعِدًا نِصْفَ دِينَارٍ وَمِنْ الْأَرْبَعِينَ دِينَارًا دِينَارًا

ইবনু ‘উমার ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)  থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি বিশ দিনার বা তার চেয়ে কিছু বেশি হলে অর্ধ দিনার এবং চল্লিশ দিনারে এক দিনার (যাকাত) গ্রহণ করতেন।

ইবনে মাজাহ ১৭৯১ ইরওয়াহ ৮১৩।
দারাকুতনী ১৮৭৯, ১৮৯২।

সাড়ে ৫২ ভরি রুপা হলে তার উপর যাকাত ফরজ। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
عن أبي سعيد الْخُدْرِي رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : «ليس فيما دون خمس أَوَاقٍ صدقة، ولا فيما دون خمس ذَوْدٍ صدقة، ولا فيما دُونَ خمسة أَوْسُقٍ صدقة».  
[صحيح] - [متفق عليه]

আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “পাঁচ উকিয়ার কম রৌপ্যমুদ্রায় যাকাত নেই এবং পাঁচটি উটের কমের ওপর যাকাত নেই। পাঁচ ওয়াসাক এর কম শষ্যের ওপর যাকাত নেই।”
(বুখারী,মুসলিম)

শরীয়তের বিধান হলো যদি কাহারো কাছে সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা কিংবা বাণিজ্য-দ্রব্য- এগুলোর কোনোটি পৃথকভাবে পূর্ণ  নিসাব পরিমাণ না থাকে, কিন্তু এসবের একাধিক সামগ্রী এ পরিমাণ রয়েছে, যা একত্র করলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমমূল্য বা তার চেয়ে বেশি হয় তাহলে এক্ষেত্রে সকল সম্পদ হিসাব করে যাকাত দিতে হবে।
(মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭০৬৬,৭০৮১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/৩৯৩)

আরো জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার উপর যাকাত ফরজ। 
এখন কথা হলো উক্ত স্বর্ণ ব্যাতিত আপনার মালিকানায় দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত টাকা কত দিন আগে এসেছিলো?

যদি বছর পূর্ণ হয়,সেক্ষেত্রে আপনার উপর এই মুহুর্তেই যাকাত ফরজ। 

আর যদি যদি বছর পূর্ণ না হয়,সেক্ষেত্রে বছর পূর্ণ হলে যাকাত দিতে হবে।

(০২)
যাকাতের ক্ষেত্রে বছরের শুরু আর শেষে নেসাব পূর্ণ থাকলেই যাকাত ফরজ হবে।
বছরের মাঝে নেসাব পূর্ণ না থাকলেও সমস্যা নেই।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যখন আপনার মায়ের মালিকানায় সাড়ে বাহান্ন ভড়ি রুপার সমপরিমাণ টাকা এসেছিলো,তারপর একবছর পূর্ণ হওয়ার দিনও যদি আপনার মায়ের মালিকানায় সাড়ে বাহান্ন ভড়ি রুপার সমপরিমাণ টাকা থেকে থাকে,সেক্ষেত্রে তার উপর যাকাত ফরজ হবে।

জায়গা বিক্রির টাকা উসুল হওয়ার পর এর যাকাত দিতে হবে।
উসুল হওয়ার আগে এর যাকাত দিতে হবেনা।
এক্ষেত্রে উসুল হতে কয়েক বছর অতিবাহিত হয়ে গেলে এই কয়েক বছরেরও হিসাব করে যাকাত দিতে হবে 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...