ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
একাকি এশার নামাজ পড়ার সময় শেষ ২ রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়া সুন্নত।এবং নিম্নস্বরে পড়া ওয়াজিব।উচ্ছস্বরের পরিমাণ হল, নামাযি ব্যক্তি থেকে কিছু দূরে থেকেও শ্রবণ করা, আর নিম্নস্বর হল, নিজ কান দ্বারা শ্রবণ করা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/2570
وتسن (قرائۃ الفاتحۃ فیما بعد الا ولیین) فی الصحیح وروی عن الا مام وجو بھا وروی التخییر بین قراء ۃ الفاتحۃ والتسبیح والسکوت۔ (قولہ وتسن قرائۃ الفاتحۃ فیما بعد الا ولیین) یشمل الثلاثی والرباعی (قولہ فی الصحیح) ھو ظاھر الروایۃ کما فی الحلبی (مراقی الفلاح وطحطاوی علی مراقی : ۱۴۷، سنن الصلوٰۃ)
(قَوْلُهُ وَالْجَهْرُ وَالْإِسْرَارُ فِيمَا يُجْهَرُ وَيُسَرُّ) لِلْمُوَاظَبَةِ عَلَى ذَلِكَ أَطْلَقَهُ اعْتِمَادًا عَلَى مَا يُبَيِّنُهُ فِي مَحَلِّهِ مِنْ أَنَّ الْمُنْفَرِدَ مُخَيَّرٌ فِيمَا يَجْهَرُ فَالْحَاصِلُ أَنَّ الْإِخْفَاءَ فِي صَلَاةِ الْمُخَافَتَةِ وَاجِبٌ عَلَى الْمُصَلِّي إمَامًا كَانَ أَوْ مُنْفَرِدًا وَهِيَ صَلَاةُ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَالرَّكْعَةُ الثَّالِثَةُ مِنْ الْمَغْرِبِ وَالْأُخْرَيَانِ مِنْ صَلَاةِ الْعِشَاءِ وَصَلَاةُ الْكُسُوفِ وَالِاسْتِسْقَاءِ، وَهُوَ وَاجِبٌ عَلَى الْإِمَامِ اتِّفَاقًا وَعَلَى مُنْفَرِدٍ عَلَى الْأَصَحِّ۔ (بحر الرائق : ۱/۳١٩)
(وَضَمُّ) أَقْصَرِ (سُورَةٍ) كَالْكَوْثَرِ أَوْ مَا قَامَ مَقَامَهَا، هُوَ ثَلَاثُ آيَاتٍ قِصَارٍ، نَحْوُ {ثُمَّ نَظَرَ} [المدثر: 21] {ثُمَّ عَبَسَ وَبَسَرَ} [المدثر: 22] {ثُمَّ أَدْبَرَ وَاسْتَكْبَرَ} [المدثر: 23] وَكَذَا لَوْ كَانَتْ الْآيَةُ أَوْ الْآيَتَانِ تَعْدِلُ ثَلَاثًا قِصَارًا ذَكَرَهُ الْحَلَبِيُّ.... أَيْ مِثْلُ - {ثُمَّ نَظَرَ} [المدثر: 21]- إلَخْ وَهِيَ ثَلَاثُونَ حَرْفًا۔ (شامي : ١/٤٥٨)فقط
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একাকি এশার নামাজ পড়ার সময়, শেষ ২ রাকাতে সূরা ফাতিহা উচ্চস্বরে না হলেও ফিসফিস করে বা মনে মনে পড়ার চেয়ে কিছুটা জোরে পড়ে ফেলার কারণে সাহু সিজদা আসবে না। যেহেতু এক সালাম ফিরিঢে সাহু সিজদা দিয়েছেন, তাই নামাযকে পূনরায় পড়তে হবে।
তবে যদি এই পরিমাণ উচ্ছস্বরে পড়া হয় যে, দূরের লোকজনও শুনতে পায়, তাহলে তখন সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।এবং নামায বিশুদ্ধ হয়েছে।
(২)
যতক্ষণ নিশ্চিতভাবে বায়ু বের হয়েছে বুঝতে না পারবেন, ততক্ষন আপনি নামাজ পড়বেন।
(৩)
গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন, আর ওয়াসওয়াসার সমস্যা থেকে রক্ষার জন্য সন্দেহকে কখনো প্রস্রয় দিবেন না।