আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। তালাক নিয়ে জিজ্ঞাসা।
১.একদিন ছোট ভাইয়ের সাথে তালাক বিষয় কথা বলার সময় বলি এমন করলে তালাক  দিয়ে দিব।
২.তারপর বিয়ে হওয়ার কয়দিন পর তালাকের ওয়াস ওয়াসা আছে মনে মনে।
৩.নামাজে দারালে, খাইতে বসলেই মনে মনে আসে,মনে মনে বললেও মনে হয় শব্দ করে বলে ফেলতাছি। ডুগ গিললে ও মনে হচ্ছে তালাক বলতেছি। বললে কি তালাক হবে?
৪.তারপর বিভিন্ন জায়গায় ফতোয়া দেখি সেখানে বলা আছে মনে মনে দিলে তালাক  হয় না।
৫.একদিন মনে মনে বলতে থাকি কেউ যদি বলে আমি আমার বউকে (এতটুকু মনে মনে বলছি) তালাক দিলাম এটা বলার সময় ঠোঁট নড়ছিল কিন্তু আওয়াজ পেয়েছি কিনা সন্দেহ আছে। এতে কি তালাক হবে। আমার কোন নিয়ত ছিল না।
৬.এরকম হওয়ার পর একদিন নামাজে বলি দিয়ে ফেলি বললে কি হবে তখন তালাক বলি কিন্তু আমি বলার ইচ্ছা ছিল না কিন্তু কানে আওয়াজ পেয়েছি কিনা সন্দেহ ছিল।পরে এক হুজুর এর কাছে জিজ্ঞেস করি উনি বলে কোন সমস্যা হয় নি।তখন আমি বলি হইলে হবে আরও দুইটা থাকবে।এতে কি তালাক  হবে।
৭.এরপর নিজেই আওয়াজ হইছে কিনা এটা দেখার জন্য আয়নার সামনে একটা মেয়ের নাম দিয়ে বলি তাকে তালাক দিলাম।তখন মেয়ের নামের জায়গায় আমার বউ এর নাম অজান্তে  বলে ফেলি ৩-৪ বার কিন্তু এটা বলার আমার নিয়ত ছিল না। বলার পর মনে পড়ে একি বললাম আমি।ওই সময় আমার মুখ খোলা ছিল থুতনি নড়ছে বাট জিহবা পজিশনেই ছিল যখন মুখ বন্ধ করি তখন জিহবা উপরে যায় দুই দাতের মিলিত হওয়ার  আওয়াজ পেয়েছি কট শব্দ।তারপর মনে বার বার আসে তালাক  কি হইছে? এরপর শব্দ করেই বলি তালাক কি হইছে, তখন মনে মনে বলি না।
৮.একদিন হুজুর কে জিজ্ঞেস করতে গিয়ে বলি কেউ যদি বলে যে আমি আমার বউকে তালাক (তালাক বলার সময় মনে মনে আমার বউ এর কথা চিন্তা আসে যে দে নিজ বউকে) দিলাম।এতে কি তালাক হবে?
৯.নামাজ পড়ার সময় যেভাবে সুরা পড়ি ওভাবে তালাক  দিলাম বললে কি তালাক হবে।কিন্তু আওয়াজ না করে শুধুমাত্র ঠোঁট নড়লে।
১০.এমনকি সহবাস করার সময়ও তালাক এর কথা মনে পড়ে।
১১.বউয়ের সাথে কথা বলার সময়, সামনে থাকলেও তালাক এর কথা  মনে পড়ে।একদিন বউয়ের সামনে কি নিয়ে যেন কথা হচ্ছিল তখন বলি নিজে নিজেই বেশি বুঝলে (তালাক মনে মনে বলছি নাকি শব্দ বলছি বুঝতে পারছি না তালাক বলার সময় ওয়াইফ মুখ চেপে ধরছিল আওয়াজ পাই নাই) আমার নিয়ত ছিল না দেওয়ার। তখন কোন ঝগড়া হছছিল না।
১২.হাই তুলার সময় মনে মনে বলি বউকে উদ্দেশ্যে করে, এটা কি আওয়াজ হয় কিনা সন্দেহ। তালাক আসে দেখে তখন বলিব অমুক কে (নিজের বউ কে তালাক দিবি)। অনেক সময়ব দিবি টা বলি নাই কিন্তু আমার তালাকের নিয়ত ছিল না।
১৩.আমি খুব পেরে শানিতে থাকি এটা নিয়েই সারাদিন ভাবতে থাকি নামাজ এবং কোন জায়গায় মন বসাতে পারতেছিনা আমার ওয়াইফ এ বিষয় কিছু জানে না।বার বার এলাকার হুজুর কে জিজ্ঞাসা করি।
১৪.মনে মনে তালাক দেওয়ার পর হে বললে কি তালাক হবে?
১৫.প্রায় ৮ মাস যাবত প্রব্লেম এ আছি পাগল এর মত হয়ে যাচ্ছি। মাঝে মাজে ভয় হচ্ছে আল্লাহর সামনে কেমনে দাড়াব যদি হয়ে যায় তাহলে তো জাহান্নাম এ যাওয়া লাগবে।
 ১৬.কোন কিছু দেখলেই শুধু তালাকের শরত মনে আসে বার বার, মনে না করতে চাইলেও।এই কাজ যদি হয়ে যায় তাহলে কি তালাক হবে?
১৭.একদিন ওয়াইফ এর সাথে কথা বলার সময় মুখ বন্ধ করে গলা দিয়ে তালাক বলি কান দিয়ে শব্দ বের হচ্ছিল মনে হল।
১৮.আপনার কাছে জিজ্ঞেস করার কারণ কি  তালাক হবে।তখন যদি ওয়াইফ এর কথা মনে আসে তাহলেও কি হবে নাকি।
এক হুজুর বলেছিল মনে মনে বললে সাখখি রাখলে নাকি তালাক হবে।
১৯.ফোন রিসিভ করার সাথে সাথে তালাক এর কথা মনে পড়ে। এজন্য ওয়াইফ এর সাথে খুবই কম কথা বলি মনে হয় যদি মুখ দিয়ে বের হয়ে যায়।
২০.ফতোয়া জানার জন্য প্রথমে নোট পেড এ লিখি তখন যদি ওয়াইফ এর চিন্তা মাথায় আসে তাহলে কি তালাক হবে?
২১.একবার এক পাকিস্তানি আলেমের ফতোয়া শুনে বার বার মনে মনে বলতে থাকি মে মেরে বিবি কো তালা* দেতাহো কানে আওয়াজ পেয়েছি কিনা সন্দেহ আছে?
২২.আমি যদি মুখ দিয়ে নিজের অজান্তে বলেও থাকি তাহলে কি তালাক হবে?
**আমার প্রসাবের ওয়াস ওয়াসা আসে। মাঝে মাঝে মনে প্রসাব বের হচ্ছে নামাজের মধ্যে যখন চেক করি তখন দেখি নাই আবার মাঝে মাঝে দেখি বের হয়।
**আমি যখন ইন্ডিয়া যাই তখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন এক পুরোহিত পূজা র পানি ছিটিয়ে দিচ্ছিল তখন পানি আমার গায়ে লাগে এতে কি কোন প্রব্লেম হবে?
**মাঝেমধ্যে আল্লাহ কে নিয়ে বিভিন্ন চিন্তা মাথায় আসে এতে কি প্রব্লেম হবে
**ইণ্ডিয়া তে গিয়ে যখন মন্দির দেখতাম তখনই বাযে চিন্তা মাথায় আসত তখন মন্দির দেখেই লা ইলাহা ইল্লালাহ পড়তাম।এতে কি কোন প্রব্লেম হবে লা ইলাহা ইল্লালাহ না পড়লে
**এ থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে পারি একটা দিনও শান্তি তে থাকতে পারতেছিনা।মাঝে মাঝে মনে হয় কেউ কালো যাদু করছে মনে হয়
**হুজুর দের বার বার প্রশ্ন করি এগুলো নিয়ে নিজের ই মাঝে মাঝে খারাপ লাগে।দয়া করে জানাবেন

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সবগুলো প্রশ্ন পড়েছি,
প্রশ্নের বিবরণমতে কোনো তালাক হবে না।কেননা ওয়াসওয়াসা রোগীদের তালাকের আবেদন এমনিতেই খারিজ হয়ে যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...