ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতেকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কেফায়া। এতেকাফের জন্য ২০ রমজান সূর্যাস্তের পূর্বেই মসজিদে প্রবেশ করতে হবে। ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার পর মসজিদ থেকে বের হবে।
,
মহল্লার জামে মসজিদে ইতেকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়ার মানে হলো, সবার পক্ষ থেকে কমপক্ষে একজন হলেও আদায় করতে হবে। অন্যথায় পুরো এলাকাবাসী গুনাহগার হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُجَاوِرُ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ وَيَقُولُ تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ
‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন এবং বলতেনঃ তোমরা রমাযানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর [ক্বদর] অনুসন্ধান কর। (বুখারী ২০২০.২০১৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮৯০)
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، أَنَّ نَافِعًا، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ.
ইসমাঈল ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) ... ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশক ইতেকাফ করতেন।
(বুখারী ১৮৯৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতেকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কেফায়া। এটি ওয়াজিব ইতিকাফ নয়।
ওয়াজিব ইতিকাফ হলো কেহ ইতিকাফ করার মান্নত করলো,সেক্ষেত্রে তাহা পূরন করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
আপনাদের গ্রামে যে ৩ দিন বা এক দিনের জন্য ইতিকাফে বসছে,এটি নফল।
এটি এক মুহুর্তের জন্যেও বসা যায়,এতেও ছওয়াব আছে।
তবে রমজানের শেষ দশকে যে ১০ দিনের জন্য মহিল্লার মসজিদে ইতিকাফ করা সুন্নাত,এটি ১০ দিন না করলে সুন্নাত ইতিকাফ হবেনা।
যদি কোনো মহল্লার কেহই ঐ মসজিদে ১০ দিনের ইতিকাফ না করে,সেক্ষেত্রে পুরো মহল্লা বাসী গুনাহগার হবে।
(০২)
নির্দিষ্ট ভাবে এভাবে বলা যায়না।
তবে ফেরশতা সর্বদা আমাদের সাথে,পাশে আছেন।
(০৩)
বাচ্চাটি যদি বুঝমান হয় বিশেষ করে পাক-নাপাক সম্বন্ধে জ্ঞান রাখলে তার আযান, ইকামত সহিহ হবে।
তবে বালেগ কাউকে দিয়ে আযান ইকামত দেয়াই উত্তম।