আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,

আমি খুবই ওয়াসওয়াসা রুগী ৩ বছর ধরে মানসিক ocd রোগের ওষধ খাচ্ছি।
হুজুর কিছু ক্ষন আগে মনে মনে বললাম রহমাতুল্লাহ আলামীন।
দিয়ে মনে মনে সন্দেহ হতে থাকলো। আমি কি নবী সাঃ এর কাছে কিছু চাইলাম। দিয়ে মনে হচ্ছে মনে মনে আমি কি নবী সাঃ এর কাছে কিছু চাইলাম। আস্তাগিরুল্লাহ।  আমর সঙ্গে সঙ্গে ভয় হয়ে জাই, হুজুর আমি তো জানি যা চাওয়ার আল্লাহর কাছে চাইতে হয়, আর আমি আল্লাহর কাছে ই চাই।কিন্তু তখন ওয়াসওয়াসা র জন্য মনে মনে হলো নবী সাঃ এর কাছে কিছু চাইলাম। আল্লাহ কসম করে বলছি যা হয়েছে মনে মনে আস্তাগিরুল্লাহ । আমি মুখে উচ্চরণ করিনি, আর এইসব মুখে উচ্চরণ করতে পারিনা।
হুজুর তার পর থেকে মনে হচ্ছে আমি কোনো হুজুর এর কাছে কিছু চাইছি, মনে মনে। কিন্তু আমি আল্লাহ কসম করে বলছি আমি চাইছিনা। আর আমি মুখে উচ্চরণ ও করিনি। আর করবো না। আমার ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন মনে হচ্ছে । আমর খুব ভয় হচ্ছে আমার ঈমান চলে গেলে আমি বাঁচবো না
হুজুর আমি তো মুখে উচ্চরণ করিনি। আর জীবনে এটা করতে পারিনা। মনে মনে এমন হয়েছে, হুজুর আল্লাহ কসম আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। যা চাইবো আল্লাহর কাছে চাইবো। ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন মনে হয়েছিল।
১. হুজুর আমি তো মুখে উচ্চরণ করিনি, মনে মনে শয়তানের ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন হয়েছে এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
২. হুজুর খেজুর খাচ্ছিলাম দিয়ে খেজুর চিবিয়ে খাচ্ছিলাম দাতে দাঁত লেগে শব্দ হচ্ছিল খাবার জন্য , মনে মনে ভয় হলো উচ্চরণ করে ফেললাম নাকি। তখন ওইসব মনে হচ্ছিল।তাই মনে হচ্ছে উচ্চরণ  করে ফেললাম নাকি। আসলে আমি খাচ্ছিলাম তাই ঐরকম মনে হচ্ছিল আসলে আমি উচ্চরণ করিনি। আল্লাহ কসম আমি উচ্চরণ করিনি।  খুব ভয় হচ্ছে ঈমান চলে যাবে নাকি হুজুর?? আল্লাহ কসম উচ্চরণ করিনি।
৩. আপনাদের কে বললাম ঘটনা টা তার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

৪. আমি ইউটিউব টা খুলেছি দিয়ে একটা হিন্দি  সিনেমার কমেডি ভিডিও সামনে এসেছে। ভিডিও টা দেখছিলাম আমি বিষয় টা বাংলাতে বলছি , দেখতে  দেখতে দেখছি দুটো  ভিখারী   আছে । একটা ভিখারী বলছে আল্লাহর নামে কিছু দিন। এবার পাসের আরেকটা ভিখারী কে এই ভিখারী বলছে , তুমিও বলো আল্লাহর নামে কিছু দিয়ে দাও। দিয়ে বলছে  হিন্দি না জানলে ইংলিশ এ বলো দিয়ে ওই ভিখারী " আল্লাহর নামে কিছু দিন " এই কথাটা ইংলিশ এ বলছে । দেখে হাসি পাবার মত করেই বলছে, এমন করে বলছে হাসি পাবে। আমি খুবই ওয়াসওয়াসা রুগী। তাই আমি দেখে মনে একটু হাসি পেল আমি আর মুখ খুলে হাসিনাই। আমর মনে হলো হাসলে হয়ত ঈমান চলে যাবে। কিন্তু আল্লাহ কসম করে বলছি আমার ভয় ও হয়েছে আর খুবই একদম মনে একদম হালকা একটু হাসি আসতে গিয়ে ও আমি হাসি নাই হুজুর। হাসির ভাব টা একটু এসেছিল কিন্তু মুখ খুলে হাসিনাই।
হুজুর যদি ভুল করে হাসি বেরিয়ে যেতো ভিডিও টা তে অভিনয় টা দেখে তাহলে কি ঈমান চলে যেত??

৫.আমি তো সেই ভাবে মুখ খুলে হাসিনাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম , মনে খুবই হালকা হাসি আসতে গিয়েও আমি হাসিনাই সেইভাবে আমার কি ঈমান চলে যাবে?? খুব ভয় হচ্ছে হুজুর
৬.হুজুর ওই টা তহ একটা মুভির কমেডি ভিডিও , কথাটা ইংলিশ এ এমন করে বলছে দেখে হাসি পাবার মত , কিন্তু আমার মন তহ আর আল্লাহ কে নিয়ে ঠাট্টা বা তামাশা এই রকম কোনো ভাবনা ছিলই না । আল্লাহ কসম করে বলছি ।
যদি হাসি  বেরিয়ে যেতো নরমালি , তাহলে কি ঈমান চলে যেত?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,

 يَأْتِي الشَّيْطَانُ أَحَدَكُمْ ، فَيَقُولَ : مَنْ خَلَقَ كَذَا وَكَذَا ؟ حَتَّى يَقُولَ لَهُ : مَنْ خَلَقَ رَبَّكَ ؟ فَإِذَا بَلَغَ ذَلِكَ ، فَلْيَسْتَعِذْ بِاللَّهِ وَلْيَنْتَهِ 
শয়তান তোমাদের কারো নিকট আসে এবং বলে, এটা কে সৃষ্টি করেছে, ওটা কে সৃষ্টি করেছে? পরিশেষে এ প্রশ্নও করে, তোমার রবকে কে সৃষ্টি করেছে? এ পর্যায়ে পৌঁছলে তোমরা আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর এবং এ ধরণের ভাবনা থেকে বিরত হও। ( বুখারী ৩২৭ )

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلُوهُ: إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ، قَالَ: وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ؟ قَالُوا: نَعَمْ، قَالَ: ذَاكَ صَرِيحُ الْإِيمَانِ.

সারমর্মঃ
একবার সাহাবায়ে কেরমের একদল রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা আমাদের অন্তরে কখনো কখনো এমন বিষয় অনুভব করি, যা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা আমাদের কাছে খুব কঠিন মনে হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, সত্যিই কি তোমরা এরকম পেয়ে থাক? তাঁরা বললেন হ্যাঁ, আমরা এরকম অনুভব করে থাকি। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, ذَاكَ صَرِيحُ الْإِيمَانِ এটি তোমাদের ঈমানের স্পষ্ট প্রমাণ। (মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, অনুচ্ছেদ: অন্তরের ওয়াসওয়াসা)
,

যে কোনো ওয়াসওয়াসার প্রধান চিকিৎসা এটাই যে, একে গুরুত্ব না দেয়া। কী চিন্তা আসল, কী চিন্তা গেল-তা না ভেবে নিজের কাজে মশগুল থাকুন। কেননা, এটা মূলত শয়তানের কাজ। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّمَا النَّجْوَىٰ مِنَ الشَّيْطَانِ لِيَحْزُنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيْسَ بِضَارِّهِمْ شَيْئًا إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ

এই ওয়াসওয়াসা তো শয়তানের কাজ; মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার দেয়ার জন্যে। তবে (এই ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি করে) সে মুমিনদেরকে চুল পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে না, আল্লাহর হুকুম ছাড়া। মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপর ভরসা করা। (সূরা মুজাদালাহ ১০)

আপনি آمنت بالله ورسوله পড়ে নিবেন।
বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
,
পরামর্শ থাকবে, এহেন চিন্তা মাথায় আসলেই অন্য মনস্ক হয়ে যাওয়া।
কোনো কাজ শুরু করে দেয়া।
মাথায় এগুলো আসতেই দিবেননা।
বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন। 

(০২)
এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।

(০৩)
আমাদেরকে ঘটনাটি বলার দরুন আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৪)
যদি ভুল করে হাসি বেরিয়ে যেতো ভিডিও টা তে অভিনয় টা দেখে, তাহলে ঈমান চলে যেতোনা।

(০৫)
আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৬)
না,তাহলে ঈমান চলে যেতোনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...