বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত-
ذكر عنده الوضوء من الطعام، قال الأعمش مرة والحجامة للصائم، فقال : إنما الوضوء مما يخرج وليس مما يدخل، وإنما الفطر مما دخل وليس مما خرج.
শরীর থেকে (কোনো কিছু) বের হলে অযু করতে হয়, প্রবেশ করলে নয়। পক্ষান্তরে রোযা এর উল্টো। রোযার ক্ষেত্রে (কোনো কিছু শরীরে) প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যায়, বের হলে নয় (তবে বীর্যপাতের প্রসঙ্গটি ভিন্ন)।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪০২)
,
প্রশ্নের বিবরণ মতে রোজা রেখে দাঁত ফিলিং করলে রোজা ভেঙ্গে যাবেনা।
রোজার উপর এর কোন প্রভাব নেই। বরং এটি করা যেতে পারে।
তবে এক্ষেত্রে ঔষধ বা কোন কিছু গিলে ফেলা থেকে সাবধান থাকতে হবে।
ঔষধ বা কোন কিছু গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন
আপনি যদি নিশ্চিত হোন যে ঔষধ এর ছোট টুকরো গলা দিয়ে চলে গিয়েছে,সেক্ষেত্রে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
তবে নিশ্চিত না হলে শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
(০২)
আপনার সাধ্যের মধ্যে থেকে ঐ ব্যাক্তিকে ঈমান ভঙ্গের কথা বলে ঈমান নবায়ন করতে বলবেন।
(০৩)
মুখ দিয়ে উচ্চারণ না করলে ঈমাম চলে যাবেনা।
মুখদিয়ে উচ্চারণ করলে ঈমান চলে যাবে।
(০৪)
আপনি নিজ কাজে মগ্ন হয়ে যান। এদিকে বেশি মনোযোগ দিবেন না। কেননা, এইসব অবাঞ্ছিত চিন্তাকে গুরুত্ব দিয়ে কীভাবে তা দূর করা যায় এ চিন্তায় পড়ে গেলে আপনি এখানেই আটকা পড়ে যাবেন। সামনে অগ্রসর হওয়া আর সম্ভব হবে না। এভাবে শয়তানের উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যাবে।
,
যে কোনো ওয়াসওয়াসার প্রধান চিকিৎসা এটাই যে, একে গুরুত্ব না দেয়া। কী চিন্তা আসল, কী চিন্তা গেল-তা না ভেবে নিজের কাজে মশগুল থাকুন। কেননা, এটা মূলত শয়তানের কাজ।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّمَا النَّجْوَىٰ مِنَ الشَّيْطَانِ لِيَحْزُنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيْسَ بِضَارِّهِمْ شَيْئًا إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ
এই ওয়াসওয়াসা তো শয়তানের কাজ; মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার দেয়ার জন্যে। তবে (এই ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি করে) সে মুমিনদেরকে চুল পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে না, আল্লাহর হুকুম ছাড়া। মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপর ভরসা করা। (সূরা মুজাদালাহ ১০)
আপনি آمنت بالله ورسوله পড়ে নিবেন।
বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পরামর্শ থাকবে, এহেন চিন্তা মাথায় আসলেই অন্য মনস্ক হয়ে যাওয়া।
কোনো কাজ শুরু করে দেয়া।
মাথায় এগুলো আসতেই দিবেননা।
বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।
(০৫)
হ্যাঁ, নফস বা যাদুর কারনে ওয়াসওয়াসা হতে পারে।
(০৬)
এক্ষেত্রে ঐ বাক্য পুনরায় উচ্চারণ করবেন।
(০৭)
এক রুকন হলো তিন বার রুকু সেজদার তাসবিহ পাঠের সমপরিমাণ সময়।
এতটুকু সময়ের মধ্যে তিনবার চুলকালে আমলে কাসীর হওয়ায় নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
(০৮)
অনিচ্ছাকৃত সামনে আসলে সাথে সাথেই পালটে দিতে হবে।
তাহলে আর গুনাহ হবেনা।
ইচ্ছাকৃতভাবে নজর দিলে গুনাহ হবে।
(০৯)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা, তবে এহেন অবস্থায় বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।
(১০)
এতে ঈমান চলে যাবেনা।
(১১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে ঈমানে সমস্যা হবেনা।
(১২)
এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।
তবে এমনটি অনুচিত।
(১৩)
উপরের কোনো প্রশ্ন করা দ্বারা ঈমানে কোনো সমস্যা হবেনা।