ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
রোযা অবস্থায় স্বামীর জন্য সহবাস ব্যতীত এবং অন্য যেকোনো ভাবে বীর্যপাত ব্যতীত নিজের স্ত্রীকে উপভোগ করা জায়েয আছে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، وَعَلْقَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُ وَهُوَ صَائِمٌ وَيُبَاشِرُ وَهُوَ صَائِمٌ، وَلَكِنَّهُ كَانَ أَمْلَكَ لِإِرْبِهِ صحيح
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওম অবস্থায় (তাকে) চুমু দিতেন এবং একত্রে অবস্থান করতেন। তিনি প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রনে অধিক সক্ষম ছিলেন।
(বুখারী,মুসলিম , আবু দাউদ ২২৮২)
‘উমার (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীস। তিনি বলেনঃ আমি একদিন উৎফুল্ল হয়ে সিয়ামরত অবস্থায় আমার স্ত্রীকে চুম্বন দেই, অতঃপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলি আমি আজ এক বড় (অপরাধের) কাজ করেছি। সিয়ামরত অবস্থায় আমি আমার স্ত্রীকে চুম্বন দিয়েছি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সিয়ামরত অবস্থায় পানি দ্বারা কুলি করলে কি হত বলে তুমি মনে কর? আমি বললাম এতে কোন ক্ষতি নেই। তিনি বললেন, তা হলে চুম্বনে আর কি (ক্ষতি)? (মুসনাদ আহমাদ ১/২১-২৫)
যদি নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয় তবে তার জন্য তা বৈধ পক্ষান্তরে যদি নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার আশংকা থাকে তবে তার জন্য তা বৈধ নয়। সুফ্ইয়ান সাওরী, ইমাম শাফি‘ঈ ও ইমাম আবূ হানীফার মত এটাই। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল-ও এ মত পোষণ করেন।
আরো জানুনঃ
রোযা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বনের ক্ষেত্রে যদি বীর্যপাত না হয়,স্ত্রীর মুখের পানি যদি নিজের গলায় প্রবেশ না করে,তাহলে রোযার কোনো সমস্যা হবেনা।
চুম্বনের সময় যদি স্ত্রীর মুখের পানি স্বামীর গলার প্রবেশ করে,তাহলেও রোযা ভেঙ্গে যাবে।
অনুরূপ ভাবে স্বামীর মুখের পানি যদি স্ত্রীর গলায় প্রবেশ করে,তাহলেও রোযা ভেঙ্গে যাবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যে রোযা আছেন,এটি আপনার মনে ছিলো,তবে অনিচ্ছাকৃতভাবে সেই পানি গিলে ফেলেছেন,তাই আপনার রোযা ভেঙ্গে যাবে।
আপনাকে শুধু কাজা আদায় করতে হবে।
কাফফারা নয়।
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে,
"স্বামীর সম্ভবত কিছু পানি এইভাবে লালার সাথে মিশে পেটে গিয়েছে"
এ সম্পর্কে কি আপনার স্বামী নিশ্চিত?
যদি নিশ্চিত না হয়,শুধু শুধু সন্দেহ হয়,তাহলে শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
যদি নিশ্চিত হয়,সেক্ষেত্রে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
সেক্ষেত্রে তাকে শুধু কাজা আদায় করতে হবে।
কাফফারা নয়।