জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سِبَابُ المُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ»
‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ কোন মুসলিমকে গাল দেয়া ফাসিকী কাজ (জঘন্য পাপ) আর কোন মুসলিমকে হত্যা করা কুফরী। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৭০৭৬]
وَفِي مَفْهُومِ قَوْلِهِ ” الْمُسْلِمِ ” دَلِيلٌ عَلَى جَوَازِ سَبِّ الْكَافِرِ، فَإِنْ كَانَ مُعَاهَدًا فَهُوَ أَذِيَّةٌ لَهُ، وَقَدْ نَهَى عَنْ أَذِيَّتِهِ فَلَا يُعْمَلُ بِالْمَفْهُومِ فِي حَقِّهِ، وَإِنْ كَانَ حَرْبِيًّا جَازَ سَبُّهُ إذْ لَا حُرْمَةَ لَهُ. (سبل السلام للصنعانى، كتاب الجامع، بَابُ التَّرْهِيبِ مِنْ مَسَاوِئِ الْأَخْلَاقِ، النَّهْي عَنْ السباب-2/663)
সারমর্মঃ-
এই হাদীস কাফেরদেরকে গালি দেয়ার বৈধতা বুঝায়,সেদিকে দলিল বহন করে।
তবে তারা যদি মুসলিমদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়,সেক্ষেত্রে তাদেরকে গালি দেয়া তাদেরকে কষ্ট দেয়ার নামান্তর।
আর তাদেরকে কষ্ট দেয়া হতে নিষেধ করা হয়েছে।
আর যদি তারা হারবী হয়,সেক্ষেত্রে তাদেরকে গালি দেয়া জায়েজ আছে। কেননা এখানে কোনো হারাম নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
أَنَّ صَفْوَانَ بْنَ سُلَيْمٍ، أَخْبَرَهُ عَنْ عِدَّةٍ، مِنْ أَبْنَاءِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنْ آبَائِهِمْ دِنْيَةً عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَلَا مَنْ ظَلَمَ مُعَاهِدًا، أَوِ انْتَقَصَهُ، أَوْ كَلَّفَهُ فَوْقَ طَاقَتِهِ، أَوْ أَخَذَ مِنْهُ شَيْئًا بِغَيْرِ طِيبِ نَفْسٍ، فَأَنَا حَجِيجُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীদের কিছু সন্তান তাদের পিতা সূত্রে বর্ণনা করেন যে, যারা ছিলেন পরস্পর ঘনিষ্ঠ। তিনি বলেনঃ সাবধান! যে ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ সম্প্রদায়ের কোনো ব্যক্তির উপর যুলম করবে বা তার প্রাপ্য কম দিবে কিংবা তাকে তার সামর্থের বাইরে কিছু করতে বাধ্য করবে অথবা তার সন্তুষ্টিমূলক সম্মতি ছাড়া তার কাছ থেকে কিছু গ্রহণ করবে, কিয়ামাতের দিন আমি তার বিপক্ষে বাদী হবো। [সূনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং-৩০৫২]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসকারী কাফেরকে কাফের হওয়ার কারণে গালাগাল করা জায়েজ নয়।
আর মুসলমানদের দুশমন বা যুদ্ধরত কাফেরকে গালি দেয়া বা তার নাম বিকৃত করা উচিত নয়। কঠোর কথা বলা জায়েজ। তবে সরাসরি গালি দেয়া শোভনীয় নয়।
সুতরাং কোন অমুসলিমকে তার মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষমুলক কথার কারনে গালি দিলে গুনাহ হবেনা।
তবে এটি শোভনীয় নয়।
কেননা হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلاَ اللَّعَّانِ وَلاَ الفَاحِشِ وَلاَ البَذِيءِ.
আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিন কখনো দোষারোপকারী ও নিন্দাকারী হতে পারে না, অভিসম্পাতকারী হতে পারে না, অশ্লীল কাজ করে না এবং কটুভাষীও হয় না। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৯৭৭]
أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: دَخَلَ رَهْطٌ مِنَ اليَهُودِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: السَّامُ عَلَيْكَ، فَفَهِمْتُهَا فَقُلْتُ: عَلَيْكُمُ السَّامُ وَاللَّعْنَةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَهْلًا يَا عَائِشَةُ، فَإِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الرِّفْقَ فِي الأَمْرِ كُلِّهِ» فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَوَلَمْ تَسْمَعْ مَا قَالُوا؟ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” فَقَدْ قُلْتُ: وَعَلَيْكُمْ “
‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার একদল ইয়াহূদী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললঃ আসসামু আলাইকা। (তোমার মরণ হোক)। আমি এ কথার অর্থ বুঝে বললামঃ আলাইকুমুস্ সামু ওয়াল লানাতু। (তোমাদের উপর মৃত্যু ও লা‘নাত)। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ! তুমি থামো। আল্লাহ সর্ব হালতে নম্রতা পছন্দ করেন। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! তারা যা বললোঃ তা কি আপনি শুনেননি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ জন্যই আমিও বলেছি, ওয়া আলাইকুম (অর্থাৎ তোমাদের উপরও)। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬২৫৬]
(০২)
এর কারনে গুনাহ হবেনা।
তবে বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ শোনার গুনাহ হবে।
(০৩)
এ সালামের জবাব দেয়া ওয়াজিব নয়।
তাদের পোশাক অশালীন হলে তাদের সালামের উত্তর নিলে আপনার গুনাহ হবে।
অশালীন পোশাকে কোনো গায়রে মাহরাম নারী সালাম দিলে সেই সালামের জবাব কোনো পুরুষ এর দেয়া জায়েজ নেই।