আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
157 views
in সাওম (Fasting) by (26 points)
closed by

একজন বিশিষ্ট শায়েখ বলছেন, মুসলিমরা যেমন অন্য ধর্মের মানুষদের ইফতার দিতে পারে, তেমনি তাদের দেয়া খাবার দিয়ে ইফতার করতেও পারেন। এতে পরস্পরের প্রতি সৌহার্দ্য বাড়ে। সেইসঙ্গে বাড়বে ভালোবাসাও। 

আরেকজন শায়েখ বলছেন, ইফতার মূলত পানাহার বিরতি শেষ করার একটি প্রক্রিয়া। এটা কোনো সুনির্দিষ্ট ইবাদত নয়। যার কারণে অমুসলিমদের সঙ্গে নিয়ে ইফতার করলে তা দোষের হবে না। আবার তাদের দেয়া খাবার দিয়েও ইফতার করা যাবে। এতে রোজারও কোনো ক্ষতি হবে না।

তিনি আরও বলেন, কোনো অমুসলিম যদি ইফতার করার জন্য কোনো মুসলিমকে ইসলামি শরিয়াহ মতে হালাল মাংস এবং ইসলামে খাওয়া জায়েজ আছে এমন মাংস খেতে দেন তবে সে খাবার দিয়েও ইফতার করাতে কোনো বাধা নেই ইসলাম ধর্মে।

এখন আমার প্রশ্ন হলো:

১। ইফতার কি কোনো সুনির্দিষ্ট ইবাদত নয়?
২। তারা যা বলছেন, তা সঠিক কি না?

closed

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম 


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিছু কিছু কাফেরের কাছ থেকে হাদিয়া গ্রহণ করেছেন। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

আবু হুমাইদ আল-সাঈদি বলেন: আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে তাবুক যুদ্ধ করেছি। 'আয়লা'-র বাদশা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে একটি সাদা রঙের খচ্চর উপহার দিয়েছেন এবং তাকে একটি চাদর দিয়েছেন।[সহিহ বুখারী (২৯৯০)]

আল-আব্বাস বিন আব্দুল মোত্তালিব হুনাইনের দিন সম্পর্কে বলেন: রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি সাদা রঙের খচ্চরের উপর ছিলেন; যে খচ্চরটি ফারওয়া বিন নুফাছা আল-জুযামি তাঁকে হাদিয়া দিয়েছিলেন।[সহিহ মুসলিম (১৭৭৫)]

আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে: এক ইহুদী মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে একটি বিষযুক্ত ভেড়া নিয়ে আসে এবং তিনি সে ভেড়া থেকে খেয়েছেন।[সহিহ বুখারী (২৪৭৪) ও সহিহ মুসলিম (২১৯০)]

আলী বিন আবু তালেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে 'দুমাত' (একটি স্থান) এর 'উকাইদির' (রাজা) একটি রেশমী কাপড় হাদিয়া দিয়েছেন। তখন তিনি সেটা আলী (রাঃ) কে দিয়ে বললেন: "এটাকে কেটে খিমার (নারীর অবগুণ্ঠন) বানিয়ে ফাতেমাদেরকে দাও।"[সহিহ বুখারী (২৪৭২) ও সহিহ মুসলিম (২০৭১)]

ইমাম নববী রহঃ বলেন:
"এ হাদিসে কাফেরের হাদিয়া গ্রহণ করা বৈধ হওয়ার পক্ষে দলিল রয়েছে।"[শারহু মুসলিম (১৪/৫০)]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন
মুসলমানদের জন্য অমুসলিমদের পক্ষ থেকে পেশকৃত ইফতারির খাবার গ্রহণ করতে কোন আপত্তি নেই।
তবে শর্ত হলো সেখানে যেনো কোনো হারাম বস্তু না থাকে।

তাদের থেকে ইফতারি গ্রহনকে হাদিয়া বলা হবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
ইফতার কোনো সুনির্দিষ্ট ইবাদত নয়।

(০২)
তারা যা বলছেন, তা সঠিক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 718 views
...