জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিছু কিছু কাফেরের কাছ থেকে হাদিয়া গ্রহণ করেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আবু হুমাইদ আল-সাঈদি বলেন: আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে তাবুক যুদ্ধ করেছি। 'আয়লা'-র বাদশা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে একটি সাদা রঙের খচ্চর উপহার দিয়েছেন এবং তাকে একটি চাদর দিয়েছেন।[সহিহ বুখারী (২৯৯০)]
আল-আব্বাস বিন আব্দুল মোত্তালিব হুনাইনের দিন সম্পর্কে বলেন: রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি সাদা রঙের খচ্চরের উপর ছিলেন; যে খচ্চরটি ফারওয়া বিন নুফাছা আল-জুযামি তাঁকে হাদিয়া দিয়েছিলেন।[সহিহ মুসলিম (১৭৭৫)]
আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে: এক ইহুদী মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে একটি বিষযুক্ত ভেড়া নিয়ে আসে এবং তিনি সে ভেড়া থেকে খেয়েছেন।[সহিহ বুখারী (২৪৭৪) ও সহিহ মুসলিম (২১৯০)]
আলী বিন আবু তালেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে 'দুমাত' (একটি স্থান) এর 'উকাইদির' (রাজা) একটি রেশমী কাপড় হাদিয়া দিয়েছেন। তখন তিনি সেটা আলী (রাঃ) কে দিয়ে বললেন: "এটাকে কেটে খিমার (নারীর অবগুণ্ঠন) বানিয়ে ফাতেমাদেরকে দাও।"[সহিহ বুখারী (২৪৭২) ও সহিহ মুসলিম (২০৭১)]
ইমাম নববী রহঃ বলেন:
"এ হাদিসে কাফেরের হাদিয়া গ্রহণ করা বৈধ হওয়ার পক্ষে দলিল রয়েছে।"[শারহু মুসলিম (১৪/৫০)]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন
মুসলমানদের জন্য অমুসলিমদের পক্ষ থেকে পেশকৃত ইফতারির খাবার গ্রহণ করতে কোন আপত্তি নেই।
তবে শর্ত হলো সেখানে যেনো কোনো হারাম বস্তু না থাকে।
তাদের থেকে ইফতারি গ্রহনকে হাদিয়া বলা হবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
ইফতার কোনো সুনির্দিষ্ট ইবাদত নয়।
(০২)
তারা যা বলছেন, তা সঠিক।