ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لَأَنْ يَهْدِيَ اللَّهُ بِكَ رَجُلًا وَاحِدًا خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ يَكُونَ لَكَ حُمْرُ النَّعَمِ
“তোমার মাধ্যমে যদি আল্লাহ একজন লোককেও হেদায়েত দেন তবে তা তোমার জন্য একটি লাল উট পাওয়া থেকেও উত্তম।” (বুখারী ১২/৩৭)
তিনি আরো বলেন:
مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنْ الْأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا
“যে ব্যক্তি হেদায়েতের পথে আহবান করে সে ঐ পরিমাণ সওয়াবের অধিকারী হয় যে ব্যক্তি তদনুযায়ী আমল করে। কিন্তু এতে আহ্বানকারীর সওয়াব কমানো হয় না।”(সুনানু আবি দাউদ-৪৬০৯)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/31389
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি নিজের ঈমান আ'মল কে প্রথমে বিশুদ্ধ করতে ও বিশুদ্ধ ত্বরিকায় দাওয়াত দিতে প্রথমে ইলম অর্জন করবেন।ইলম অর্জন করার পর দাওয়াতের কাজে মনোনিবেশন করবেন। দাওয়াতের কাজও একটি ইবাদত। দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা।নিজের ফরয ওয়াজিব ও নফল ইবাদত আদায় করার সাথে সাথে দাওয়াতের কাজও করবেন। মনে রাখবেন ঐ ইবাদতই ফলপ্রসূ যে ইবাদত দাওয়াতের সাথে হয়ে থাকে।
দাওয়াতের অজুহাত দেখিয়ে নিজের ইবাদতকে বিসর্জন দেয়া যাবে না ঠিকতেমনিভাবে নফল ইবাদতের অজুহাত দেখিয়ে দাওয়াতের কাজকে বিসর্জন দেয়া যাবে না। কখনো যদি দেখেন যে, এই মুহূর্তে আপনার চেষ্টার ফলে আল্লাহর হুকুমে একজন মানুষ হেদায়ত প্রাপ্ত হবে, তাহলে তখন ব্যক্তিগত নফল ইবাদতের চেয়ে দাওয়াতকে প্রধান্য দিবেন।কেননা দাওয়াত এমন একটি ইবাদত যার ফায়দা নিজের কাছেও যেভাবে পৌছবে,অন্যর কাছেও গিয়ে পৌছবে।
(২)
আপনি যদি ফজরের পর ঘুম থেকে উঠে পবিত্রতাকে দেখেন, তাহলে যখন দেখবেন,তখন থেকেই পবিত্র মনে করবেন। সুতরাং ফজর কাযা পড়তে হবে না।