আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
156 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল এর উত্তর দিলে উপকৃত হবো।

১.নামাজের মধ্যে ওয়াসওয়াসার জন্য আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইসলাম এর বিভিন্ন বিষয়,আলেম ওলামা দ্বীনি ভাই বোন সম্পর্কে গালি গালাজ, অপমানজনক জায়গায় চিন্তা আসলে গুণাহ থেকে বাঁচার জন্য  ওই সময় গালিকে ভালো অর্থে নিয়ে গেলে এবং অপমানজনক জায়গায় কল্পনা করলে ওই শব্দের মাঝে বা আগে শেষে অন্য কোন অক্ষর কল্পনা করে শব্দটিকে অন্য অর্থে নিয়ে যাই তাহলে আর নামাজ থেকে মনোযোগ না সড়ে তাহলে কি গুণাহ হবে?

২.মশার যে কয়েল আছে তা হলো মানুষের জন্য ক্ষতিকর। নিচের লিংকে এর ক্ষতি সম্পর্কে বলা আছে। সুতরাং কয়েল ব্যাবহার কি হারাম হবে?

লিংক: ‌‌https://www.sciencebee.com.bd/qna/16482/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0?show=17116

৩.অশ্লীল কথা বা স্যারেরা প্রেমের কথা বললে যদি আমার হাসি আছে তাহলে কি গুণাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
এমন ভাবে নামাজ পড়তে হবে যেনো আমি আল্লাহ তায়ালার সামনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছি। আর আল্লাহ তায়ালা নামাজ পড়া দেখছেন। 

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,

قَالَ مَا الإِحْسَانُ قَالَ " أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ".

‘আল্লাহর ইবাদত করো এমনভাবে যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫০; মুসলিম, হাদিস : ৮)
 
অন্য এক হাদীসে এসেছে-

ثُمَّ قَالَ مَنْ تَوَضَّأَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ نَفْسَهُ فِيهِمَا بِشَيْءٍ إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ

রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে সুন্দরভাবে অজু করে, অতঃপর মন ও শরীর একত্র করে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে (অন্য বর্ণনায় এসেছে যে নামাজে ওয়াসওয়াসা স্থান পায় না) তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়)। ’ (নাসাঈ, হাদিস : ১৫১; বুখারি, হাদিস : ১৯৩৪)

★কিরাআত, তাসবিহ,তাকবির,তাশাহুদ,দরুদ ইত্যাদি পড়ার সময় নিজের কানে আসে,এমন আওয়াজে জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করুন।

নামাজে ‘হুজুরে দিল’ বা একাগ্র থাকা; এটি নামাজের প্রাণ। এমনভাবে নামাজ পড়তে হবে যেন আল্লাহ আমাকে দেখছেন। 

নামাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই কল্পনা ধরে রাখার অনুশীলন করুন যে ‘আল্লাহ আমাকে দেখছেন’। এভাবে অনুশীলনের মাধ্যমে নামাজ শেষ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন।

নামাজে যা কিছু পাঠ করা হয়, তা বিশুদ্ধ উচ্চারণে পড়ার চেষ্টা করুন। এটি অন্তরের উপস্থিতিকে আরো দৃঢ় করে।

নামাজে  দাঁড়িয়ে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করুন। ভাবুন, এই নামাজই হয়তো বা আপনার জীবনের শেষ নামাজ।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইচ্ছাকৃতভাবে এগুলো নিয়ে ভাবাই যাবেনা। নামাজের মধ্যে পুরো সময় তিলাওয়াত তাসবিহ তাহলিলেই লিপ্ত থাকতে হবে।
ইচ্ছাকৃতভাবে অন্য কিছু ভাবা যাবেনা,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কোনো চিন্তাই করবেননা। 

এমন চিন্তা মাথায় আসলে সাথে সাথে নামাজের একাগ্রতার দিকে মনোযোগ দিবেন,পজিটিভ চিন্তা নিয়ে আসার চেষ্টা করলে সেদিকে মনোযোগ চলে যায়,তাই সেটিও করবেননা।

সেই বিষয় নিয়ে পজিটিভ নেগেটিভ কিছুই মাথায় আসতে দিবেননা।

(০২)
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে যদি আসলেউ কোনো মশার কয়েল মানব শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হয়,সেক্ষেত্রে সেই মশার কয়েল এর ধোয়া নেয়া মাকরুহে তাহরিমি হবে।
ঘরে কোনো মানুষ থাকলে সেই কয়েল জ্বলানো মাকরুহে তাহরিমি হবে। 

(০৩)
এসব কথা বলা ও শোনা সবই গুনাহ।
হাসি আসলেও গুনাহ হবে,হাসি না আসলেও গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...