আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in পবিত্রতা (Purity) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমার গত মাসে হায়েজ হয়েছিল ৬ তারিখ, হায়েজ থেকে পবিত্র হয়েছিলাম ১৪ তারিখ। এর এক সপ্তাহ পর আমার আবার ব্লিডিং শুরু হয়, এবং সেটা ২ দিন ছিল। তাই আমি ইস্তেহাযা ধরে নামাজ পড়েছি।

আজকে ২ তারিখ, ফজরের পর আমার হালকা ব্যাথা অনুভূত হয় এবং হালকা ব্লিডিং হয়। সাধারণ পিরিয়ড এ যেই পরিমাণে ব্যাথা হয় তেমন ব্যাথা ও হচ্ছেনা। আমার পিরিয়ড এর ডেট ৫,৬ তারিখ ছিল। আমার গত হায়েজ শেষ হওয়ার পর ১৮ দিন পবিত্র ছিলাম।

১/ মাঝে ২ দিন যে ব্লিডিং হয়েছিল সেইটা ইস্তেহাযা ছিল?

২/ ইস্তেহাযা হলে অনবরত ব্লিডিং হতে থাকলে প্যাড পড়েই নামাজ আদায় করতে হয়, নাহলে নামাজের কাপড় অপবিত্র হয়ে যায়। এক দিরহামের বেশি ব্লাড লেগে যায়, এই অবস্থায় কি করবো?

৩/ আজকে ব্লিডিং কি পিরিয়ড হিসেবে ধরে নামাজ আর রোযা ছেড়ে দিবো?

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
মাঝে ২ দিন যে ব্লিডিং হয়েছিল, সেটা ইস্তেহাযা ছিল।

(০২)
এক দিরহামের বেশি ব্লাড লাগলে আগে দেখতে হবে যে আপনি মা'যুর কিনা,যদি মা'যুর হোন,সেই অবস্থাতেই নামাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।

আর মা'যুর হলে উক্ত কাপড়ে নামাজ হবেনা।
পাক কাপড়ে নামাজ আদায় করতে হবে।

আপনি মা'যুর কিনা,সেটি জানতে পড়ুনঃ-

(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি এটি পূর্ণ তিন দিন তিন রাত হয়,সেক্ষেত্রে এটি হায়েজ।
সেক্ষেত্রে নামাজ রোযা বন্ধ রাখতে হবে।
,
★তিন দিন তিন রাতের আগেই এটি বন্ধ হলে বা স্পষ্ট সাদা স্রাব চলে আসলে অন্য কোনো কালার না আসলে সেক্ষেত্রে এটি ইস্তেহাজা।

এক্ষেত্রে আপনাকে নামাজ রোযা চালিয়ে যেতে হবে।

এখন আসলে এটি কতদিন পর্যন্ত চলবে,সেটি আপাততঃ আপনি ব্লিডিং এর অবস্থা দেখে প্রবল ধারনার উপর ভিত্তি করে এগিয়ে চলবেন।
যদি কোনো কিছু নির্ণয় করতে না পারেন,সেক্ষেত্রে নামাজ রোযা চালিয়ে যান,যদি এই ব্লিডিং ৩ দিন ধরেই চলে,সেক্ষেত্রে এই কয়দিনের রোযার পুনরায় কাজা আদায় করে নিবেন।
আর এই হায়েজ চলাকালীন নামার রোযার কারনে অনিচ্ছাকৃত হওয়ার দরুন আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ক্ষমা করবেন। 
তওবা করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 159 views
0 votes
1 answer 146 views
...