আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
197 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (91 points)
১. আমি একদিন নামাজে দাড়াই, তার পরে মনে হয় মাথা মাছেহ করলাম কি না এরকম প্রায়ই হয়, তখন দেখলাম ঘাড় ভিজা, যেহেতু ঘাড় মাসেহ করেছি তাহলে তো মাথাও করেছি, চুল ও ভিজা ছিলো খানিক, তাই এই বিবেচনায়, নামাজে দাড়িয়ে যাই, তাছাড়া, হাত হালকা ভিজা ছিলো তা দিয়ে আরেবার মাসেহ করে নেই। তার পরেও শুধু সন্দেহ হচ্ছিলো।পরে নামাজ শেষে ভাবলাম আবার মাসেহ করেই আসি, পরে দেখলাম পিছনে অনেক মানিষ নামাজে তাই,আর গেলাম না, মাসেহ হয়েছে বিবেচনায় এশা এবং তারাবী নামাজ পরেছি,
নামাজ হয়েছে কি?

২.একটা কিতাবে দেখেছিলাম লেখা, " কেও আক্ষেপ করে যদি বলে যিনা,খুন খারাবী যদি হালাল হতো তবে সে কাফের হয়ে যাবে,কারণ তা কখনোই হালাল ছিলো না" এই মতের উপর কি ফতোয়া দেওয়া হয়?

৩. একটি বোতল পরিষ্কার করার সময়  আমি বলি " যদি এই বোতলের জান থাকতো তবে বুঝতো কি পাপ করছে" এটা বলার আগে ২ নং প্রশ্নের বিষয়টি মনে পরে, তাইন কনফিউশানে ছিলাম এটা কুফর হবে কি না, পরে ভাবলাম এটা তো ধর্ম সম্পর্কিত না  তাই বলে ফেলি,  এসব কথা ভেবে এই কথা বলার দরুন কি কুফর হতে পারে?

৪. খতমে তারাবীর কিছু অংশ তিলাওয়াত ছুটে গেলে, তা পরে তিলাওয়াত করলে বা অনলাইনে তিলাওয়াত শুনে ফেললে কি আমার খতম সম্পূর্ণ হবে?

৫. কলিমা তৈয়িবার উপর বিশ্বাস আছে,এমন কেও যদি বলে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ, এটা কলিমা তৈয়িবা " এই কথা এইভাবে কোরআন হাদীস কোথাও নাই, এটা কেও বললে কি কুফর হবে?

৬. কোনো মানুষকে,একজন  বলেছিলেন যে এভাবে (৫নং এর বক্তব্য) , কেও বললে তার তওবা করা দরকার ও সতর্কতা মূলক কলিমা শাহাদত পাঠ দরকার,যতোটুক মনে পরে এই কথা তার মাথায় ছিলো না তখন সে মনে মনে এই কথা বলে ফেলেছে। পরে স্মরন হওয়ার পর চিন্তায় আছে কুফর হয় কি না, এতে কি তার কুফর হবে?

৭. " আল্লাহ তার বান্দাদের বাঁচানোর জন্য উসিলা খোজেন" এই কথাতে কোনো সমস্যা আছে?ভুল হলে এই কথা কেও বললে কি কুফর হওয়ার সম্ভাবনা আছে?

৮.একটি হিন্দি গানের বাংলা অর্থ এমন "এখন জুদায়িকা (বিচ্ছেদের) মৌসুম, দুই মুহুর্তের মেহমান" / আরেকটি গান " কেন পিরিতি বাড়াইলা বন্ধু ছেড়ে যাইবা যদি"/ আরেক গান  "একদিন চেয়ে দেকি আমি তুমি হারা"

এসব গান যদি কেও নিজে নিজেই গায়, বা তার বউকে উদ্দেশ্যে করে বা বউকে শুনিয়ে গায় এতে কি বিবাহে সমস্যা হবে?( তার বউকে তালা* দেওয়ার কোনো নিয়তই নাই)

৯. কেও যদি অনিচ্ছায় বা ইচ্ছায় মনে মনে এমন কথা বলে ফেলে যা স্পষ্টত কুফরী, আবার অনিচ্ছায় কখনো আল্লাহ সম্পর্কে নুংরা কথা মনে মনে বলে ফেলে। সে এই কথা গুলো কখনোই মুখে বলবেনা তাও কি কারনে মনে মনে বলে ফেলে, কখনো ইচ্ছে করে বা কখনো অনিচ্ছায়। তবে তা ঠিক সে তা কখনোই মুখে বলবেনা এমন কনফিডেন্ট । বলে আবার টেনশন করে কুফর হলো কি না।
 তার মনে মনে এসব কুফরী কথা বলার ফলে কি কুফর হবে?

১০. কেও যদি মনে মনে বলে ফেলে " সে হিন্দু /সে বৌদ্ধ,  বলে আবার কথা ঘুরানের জন্য মনে মনেই অন্য শব্দ যোগ করে। বা মনে মনে ভাবে মাদরাসার সুপার কে বলবে " আমাদের /আমাদেরকে পুজার ছুটি দেন" (যেহেতু মাদরাসায় এসব ছুটি দেয় না)  বলে আবার টেনশন করছে মনে মনে কুফরী হলো কি না

এতে কি কুফরী হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে,
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু অজু করার পূর্বে অপবিত্রতা সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত, এখন অজু করেছেন কি না? সমস্ত অঙ্গ ধৌত করেছেন কি না? সে সম্পর্কে আপনার সন্দেহ বিরাজমান,  তাই আপনার পবিত্রতা অর্জন হবে না।বরং আপনাকে আবার নতুনকরে অজু করে নামায পড়তে হবে।

(২)
জ্বী, এটাই গ্রহণযোগ্য ফাতাওয়া।

(৩)
এসব বলার কারণে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৪)
খতমে তারাবীর কিছু অংশ তিলাওয়াত ছুটে গেলে, তা পরে তিলাওয়াত করে নিলে বা সরাসরি কারো কাছ থেকে শুনে নিলেই হবে।তবে অনলাইনে তিলাওয়াত শুনলে হবে না।

(৫)
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ, এটা কলিমা তৈয়িবা " এই কথা এইভাবে কোরআন হাদীস কোথাও নাই। এমনটা বলা সঠিক নয়।যেহেতু এটা ইজতেহাদি বিষয়, তাই এজন্য ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
কালেমা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/5265

(৬)
না, ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৭)
এই কথাতে কোনো সমস্যা নেই।

(৮)
এসব গান যদি কেউ নিজে নিজেই গায়, বা তার বউকে উদ্দেশ্যে করে বা বউকে শুনিয়ে গায়,তাহলে এতেকরে বিবাহে কোনো সমস্যা হবে না।বউ তালাক হবে না।

(৯)
কুফুর হবে না।

(১০)
মনে মনে এগুলো আসার কারণে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...