বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نَکَحۡتُمُ الۡمُؤۡمِنٰتِ ثُمَّ طَلَّقۡتُمُوۡہُنَّ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ تَمَسُّوۡہُنَّ فَمَا لَکُمۡ عَلَیۡہِنَّ مِنۡ عِدَّۃٍ تَعۡتَدُّوۡنَہَا ۚ فَمَتِّعُوۡہُنَّ وَ سَرِّحُوۡہُنَّ سَرَاحًا جَمِیۡلًا ﴿۴۹﴾
হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা মুমিন নারীদেরকে বিয়ে করবে, তারপর তাদেরকে স্পর্শ করার আগে তালাক দিবে, তখন তোমাদের জন্য তাদের পালনীয় কোন ইদ্দত নেই যা তোমরা গুণবে। সুতরাং তোমরা তাদেরকে কিছু সামগ্ৰী দেবে এবং সৌজন্যের সাথে তাদেরকে বিদায় করবে।
(সুরা আহযাব ৪৯)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যে স্ত্রীর সাথে কোনো রকম অন্তরঙ্গতা এবং নির্জনবাস হয়নি,তাকে এক তালাকে বায়েন দেয়া হলে তার জন্য এই বায়েন তালাকের ইদ্দতকাল থাকবেনা।
যেহেতু তাদের মাঝে খালওয়াতে সহীহাহ হয়নি,তাই এই তালাকের পর আরও তালাক দিলে তা প্রযোজ্য হবেনা।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-
(০২)
এক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত পুনরায় বিয়ে করতে পারবে।
ফাতওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-
قوله: وكذا في وقوع طلاق بائن آخر إلخ) في البزازية: والمختار أنه يقع عليها طلاق آخر في عدة الخلوة، وقيل: لا اهـ وفي الذخيرة: وأما وقوع طلاق آخر في هذه العدة، فقدقيل: لايقع، وقيل: يقع، وهو أقرب إلى الصواب؛ لأن الأحكام لما اختلفت يجب القول بالوقوع احتياطاً، ثم هذا الطلاق يكون رجعياً أو بائناً ذكر شيخ الإسلام أنه يكون بائناً اهـ ومثله في الوهبانية وشرحها".
সারমর্মঃ
খালওয়াতে সহীহাহ এর পর ইদ্দতের মধ্যে আরেকটি তালাক প্রদান করলে সেটি পতিত হবে কিনা,সেই ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে।
কেহ কেহ বলেছেন যে এই তালাক পতিত হবেনা।
কেহ কেহ বলেছেন যে তালাক পতিত হবে।
এটিই সঠিকতার বেশি নিকটতম মত।
কেননা শরয়ী আহকাম সংক্রান্ত যদি মতবিরোধ হয়,সেক্ষেত্রে সতর্কতামূলক পতিত হওয়ার হুকুমই ওয়াজিব হয়।
ফাতাওয়ায়ে শামী ৩/১১৯
বিস্তারিত জানতে উপরের লিংক দ্রষ্টব্য।
(০৩)
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)
মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭)
★স্বামী যদি পূর্বেও স্ত্রীকে তালাক দিয়ে থাকে,এবং এখন কেনায়া বাক্য বলেছে, সেক্ষেত্রে পরবর্তী তালাকের ক্ষেত্রে যদি স্ত্রী তালাকের আবেদন করে,আর স্বামী কেনায়া তালাকের বাক্য বলে,সেক্ষেত্রে তালাক পতিত হবে।
এটিকেই তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাকদীমূল ঈ'কা হয়নি।