বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
কিয়ামুল লাইল আদায়ের উদ্দেশ্যে ইশা থেকে ফজর পর্যন্ত পূর্ণরাত্রি জাগরণ করা সুন্নাহর বিপরীত।
এ কথা সহীহ নয়। এটি সুন্নাহর বিপরীত নয়।
রমজানে মাসে পুরো রাত্র জাগরণ করা তথ্য সহীহ।
বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকে পুরো রাত্র৷ ইবাদত বান্দেগী করে জাগ্রত থাকা সংক্রান্ত স্পষ্ট হাদীস পাওয়া যায়।
,
এভাবে আমল করার বিশেষ ছওয়াব হবে।
আরব দেশ গুলোতে এভাবে "রাতে আমল করে জাগ্রত থাকা আর দিনের কিছু অংশ ঘুমানোর" পদ্ধতি কিছু এলাকাতে এখনো চালু রয়েছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْهَا، رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ العَشْرُ الأَوَاخِرُ مِنْ رَمَضَانَ، أَحْيَا اللَّيْلَ، وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ، وَجَدَّ وَشَدَّ المِئزَرَ. متفقٌ عَلَيْهِ
উক্ত রাবী (আয়েশা) রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে আরও বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যখন রমযানের শেষ দশক প্রবেশ করত, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে নিজে জাগতেন, নিজ পরিজনদেরকেও জাগাতেন, কঠোর পরিশ্রম করতেন এবং কোমরে লুঙ্গি বেঁধে নিতেন।’
(বুখারী,মুসলিম ১১৭৪, তিরমিযী ৭৯৬, নাসায়ী ১৬৩৯, আবূ দাউদ ১৩৭৬, ২৩৮৬৯, ইবনু মাজাহ ১৭৬৭, ১৭৬৮, ২৩৬১১, ২৩৮৫৬, ২৪৩৯২, ২৫৬৫৬)