আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
এই  তথ্য কি সঠিক? আমি যেই বইয়ে পেয়েছি সেখানে লেখক কোন দলিল উল্লেখ করেননি৷
কিয়ামুল লাইল আদায়ের উদ্দেশ্যে ইশা থেকে ফজর পর্যন্ত পূর্ণরাত্রি জাগরণ করা সুন্নাহর বিপরীত। তবে রমযানের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। রমযান মাসের সুন্নাহ হলো, সামর্থ্য থাকলে কিয়ামুল লাইলের জন্য পূর্ণরাত্রি জাগরণ করা। যে এই আমল করতে সমর্থ তার জন্য উত্তম হলো রাতে না ঘুমিয়ে দিনের বেলা ঘুমানো

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


কিয়ামুল লাইল আদায়ের উদ্দেশ্যে ইশা থেকে ফজর পর্যন্ত পূর্ণরাত্রি জাগরণ করা সুন্নাহর বিপরীত। 
এ কথা সহীহ নয়। এটি সুন্নাহর বিপরীত নয়।

রমজানে মাসে পুরো রাত্র জাগরণ করা তথ্য সহীহ।
বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকে পুরো রাত্র৷ ইবাদত বান্দেগী করে জাগ্রত থাকা সংক্রান্ত স্পষ্ট হাদীস পাওয়া যায়।
,
এভাবে আমল করার বিশেষ ছওয়াব হবে। 
আরব দেশ গুলোতে এভাবে "রাতে আমল করে জাগ্রত থাকা আর দিনের কিছু অংশ ঘুমানোর" পদ্ধতি কিছু এলাকাতে এখনো চালু রয়েছে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْهَا، رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ العَشْرُ الأَوَاخِرُ مِنْ رَمَضَانَ، أَحْيَا اللَّيْلَ، وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ، وَجَدَّ وَشَدَّ المِئزَرَ. متفقٌ عَلَيْهِ

উক্ত রাবী (আয়েশা) রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে আরও বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যখন রমযানের শেষ দশক প্রবেশ করত, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে নিজে জাগতেন, নিজ পরিজনদেরকেও জাগাতেন, কঠোর পরিশ্রম করতেন এবং কোমরে লুঙ্গি বেঁধে নিতেন।’

(বুখারী,মুসলিম ১১৭৪, তিরমিযী ৭৯৬, নাসায়ী ১৬৩৯, আবূ দাউদ ১৩৭৬, ২৩৮৬৯, ইবনু মাজাহ ১৭৬৭, ১৭৬৮, ২৩৬১১, ২৩৮৫৬, ২৪৩৯২, ২৫৬৫৬)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...