ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। সূরা (আত-তাওবাহ-৬০)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/16226
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যাকাত শুধুমাত্র গরীবকেই দিতে হবে। আপনার বুয়া যদি গরীব হয়, এবং ঋণগ্রস্ত হয়, তাহলে তাকে যাকাত দিতে পারবেন।সাথে সাথে সুদের ভয়াবহতা সম্পর্কে তাকে অবগত করে দিবেন।
(২)
والأولى أن يفسر الفقير بمن له ما دون النصاب كما في النقاية أخذا من قولهم يجوز دفع الزكاة إلى من يملك ما دون النصاب أو قدر نصاب غير تام، وهو مستغرق في الحاجة،
ফকিরের উত্তম ব্যখা হলো,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।সুতরাং যার নেসাব পরিমাণ মালে নামী(ক্রমবর্ধমান) নাই বা যার নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(অক্রমবর্ধমান)আছে, তবে সে হাজতে লিপ্ত, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তিকে যাকাত দিতে পারবেন।
(৩)
কোনো আত্মীয়কে যাকাত নিয়ত করে হাদিয়া বলে দেয়া যাবে। যাকাত জানিয়ে দেয়া শর্ত নয়।
(৪)
যাকাত দেয়ার পর পরবর্তীতে যদি দেখা যায় যে সে যাকাত গ্রহণের উপযোক্ত, তাহলে আপনাকে আবার যাকাত আদায় করতে হবে।
(৫)
যাকাত টাকা না দিয়ে কাপড় কিনে দেয়া যাবে।